চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা করো। ভূমিকা: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন-শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতে যে সকল উপজাতি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল তারমধ্যে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঘাটশিলা প্রভৃতি অঞ্চলের 'চুয়াড় বিদ্রোহ' ছিল অন্যতম। 'চুয়াড়' কারা: 'চুয়াড়' শব্দটির অর্থ হলো দুর্বৃত্ত বা নিচ জাতিভুক্তত সম্প্রদায় । এরা স্থানীয় জমিদারদের অধীনে রক্ষীবাহিনীর কাজ করতো। তাই এরা 'পাইক' নামেও পরিচিত। এই কাজের বিনিময় তারা কিছুু নিষ্কর জমিও ভোগ করতে পারত। বিদ্রোহের কারণ: (পটভূমি ) বিভিন্ন কারণে চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এগুলি হল নিম্নরূপ : (i) উচ্চরাজস্ব: কোম্পানি উচ্চহারে রাজস্ব ধার্য করলে এবং তা আদায় করলে জমিদার ও চুয়াড় কৃষকরা চরম সংকটের সম্মুখীন হয়। (ii) সূর্যাস্ত আইন: গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলায় এক নতুন ধরণের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন। যা 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' নামে পরিচিত। এই বন্দোবস্তের অন্যতম ধারা 'সূর্যাস্ত আইন' দ্বারা বহু জমিদারের জমিদারি গ্রাস করা হলে তাদের কর্মচারীরাও নিষ্কর জমির ভোগদখল হারায়। (iii) ...
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...