ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথাও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা নতুন সামাজিক ইতিহাস নামে পরিচিত। নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য : নতুন সামাজিক ইতিহাসের প্রধানত তিনটি ধারা লক্ষ্য করা যায়। এই ধারা তিনটি বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১) মার্কসবাদী ধারা : উনিশ শতকে জার্মান দার্শনিক কার্ল মার্কস বলেন, সামান্য সংখ্যক ধনী মানুষ সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি - সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে। এই ধনীদের বিরুদ্ধে যুগে যুগে সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র শ্রেণির মানুষ সংগ্রাম করে আসছে। এই সংগ্রাম আসলে শ্রেণি সংগ্রাম । অতীতে শোষিত দরিদ্র শ্রেণির এই জীবন সংগ্রামের কথা ইতিহাসে জায়গা পেতো না। নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চায় এদের কথা গুরুত্ব পায়। এই ধারার ইতিহাসচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কার্ল...
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...