'গোরা' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হল গৌরমোহন বা সংক্ষেপে গোরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী উপন্যাসের এই মানুষটি কলকাতার নিকটবর্তী গ্রামগুলি ঘুরে ভারতের সত্যিকারের রূপটি প্রত্যক্ষ করে। গোরা উপলব্ধি করে শহরের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের চেয়ে পল্লীগ্রামের সামাজিক বন্ধন অনেক বেশি শক্ত। তবে, এই সমাজ .. প্রয়োজনে মানুষকে সহায়তা করে না। বিপদের সময় ভরসা দেয় না এই সমাজের সামাজিক আচার বিচার মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। গোরা এরূপ সমাজের ওপর তীব্র আঘাত হেনেছেন।
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে