মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল? ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে খুৎকাঠি প্রথা বা যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে। এছাড়া তাদের ১) চিরাচরিত আইন শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ভেঙে দেয়, ২) তাদের বেগার শ্রম দিতে বাধ্য করে, ৩) ইংরেজ আশ্রিত বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের জমি জায়গা দখল করে, ৪) নামমাত্র মজুরিতে চা বাগানে কাজ করতে বাধ্য করে এবং ৫) সর্বোপরি নানা কৌশলে মিশনারীরা তাদের খৃষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে থাকে। এ সমস্ত কারণে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে একটি নতুন ধর্মের প্রচার করে মুন্ডারা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বহিরাগতদের বিতাড়িত করে স্বাধীন মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠা করা। বিকল্প প্রশ্ন : ১) মুন্ডারা কেন বিদ্রোহ করেছিল? ২) মুন্ডা বিদ্রোহের কারণ কী ছিলো? অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্ম...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...