বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক' - বিশ্লেষণ করো। উনবিংশ শতকের প্রথমদিকে বাংলাদেশে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটলে বাঙালির ভাবজগতেরও এরকম এক বৌদ্ধিক আন্দোলন শুরু হয়, যা ‘ বাংলার নবজাগরণ ’ নামে পরিচিত। বিতর্ক বা মতপার্থক্য : তবে এই বৌধিক আন্দোলন ও অগ্রগতিকে প্রকৃত অর্থে নবজাগরণ বলা যায় কিনা তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। নবজাগরণের পক্ষে যুক্তি : ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার, সুশোভন সরকার প্রমূখ একে নবজাগরণ বলে স্বীকার করলেও অমলেশ ত্রিপাঠী এর সঙ্গে ইতালির নবজাগরণের মূলগত পার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ইতালিতে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বুর্জোয়া শ্রেণি নবজাগরণে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আর বাংলার নবজাগরণের নেতৃত্ব দিয়েছিল চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সৃষ্ট বাংলার জমিদার শ্রেণি। নবজাগরণের বিপক্ষে যুক্তি : কলকাতাকেন্দ্রিক অন্যদিকে, অশোক মিত্র, বিনয় ঘোষ, সুপ্রকাশ রায়, ডক্টর বরুণ দে, ডক্টর সুমিত সরকার প্রমূখ বাংলার এই বৌদ্ধিক অগ্রগতিকে নবজাগরণ বলে স্বীকার করেন না । অশোক মিত্র একে 'তথাকথিত নবজাগরণ' বলে উল্লেখ করেছেন। তার যুক্তি হলো, বাংলার এই নবজাগরণের ব্য
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে