ছয় দফা দাবিগুলো কী কী? এর গুরুত্ব লেখো। ছয় দফা দাবি ও তার গুরুত্ব ছয় দফা দাবি কী : ছয় দফা হল নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত এবং ন্যায্য সুবিধাবঞ্চিত বাঙালী জাতিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নাগপাশ থেকে মুক্ত করার জন্য বাঙালিদের প্রাণের দাবি। কিছু নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ৬ দফার মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল। ছয় দফা দাবি সমূহ : ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবিগুলো হল- প্রথম দফা : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের বৈশিষ্ট্য হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সংসদীয় পদ্ধতির; তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন হবে প্রত্যক্ষ এবং সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে। প্রদেশগুলোকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার প্রতিনিধি নির্বাচন জনসংখ্যার ভিত্তিতে হবে। দ্বিতীয় দফা : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের দায়িত্ব থাকবে কেবল প্রতিরক্ষা ও ব
১৯৬৬ সালের ছয়-দফা আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো ১৯৬৬ সালের ছয়-দফা আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব ১৯৬৬ সালের ছয়-দফা আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব ছয় দফা কর্মসূচি : তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের অর্থনৈতিক শোষণ, জাতিগত নিপীড়ন ও প্রশাসনিক বঞ্চনা পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীকে ক্রমান্বয়ে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল। এই পরিস্থিতে পূর্ব বাংলার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তা ছয় দফা কর্মসূচি বা ছয় দফা দাবি নামে পরিচিত। ছয়-দফা আন্দোলনের পটভূমি : ১. সামাজিক প্রেক্ষাপট : দেশ এক হলেও পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবধান ছিল বিস্তর। ফলে জন্ম নেয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা বাঙালির মুক্তি লাভের ব্যাপারে অনুপ্রেরণা যোগায়। ২. রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট : ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙালি জাতির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন যুক্তফ্রন্ট নির্বাচিত হয় এবং ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি গোষ্ঠী য