সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

(৫) পঞ্চম অধ্যায়। প্রশ্নের মান - ২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?  ভারতে ইংরেজদের প্রবর্তিত উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। কারণ - এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল পুঁথিগত। বাস্তবমুখী প্রযুক্তিবিদ্যার অভাব ছিল আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। ফলে উচ্চ পর্বের শহরের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা লাভের সুযোগ পেলেও ইংরেজি ভাষায় অজ্ঞ বাংলার বৃহত্তম গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষ এই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়নি।  কলেজ ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি।  এই শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। -----------xx------------ এই বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলি সংক্ষেপে লেখ

মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন?

ড. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন? ড. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন? Why is Dr. Mahendralal Sarkar memorable? ড: মহেন্দ্রলাল সরকার (১৮৩৩-১৯০৪ খ্রিঃ) ছিলেন ভারতের একাধারে একজন খ্যাতনামা এলোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। বাংলা তথা ভারতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা চর্চার ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ভারতের দ্বিতীয় MD ডিগ্রী অর্জনকারী চিকিৎসক এবং প্রথম খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন তিনি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে IACS (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স) প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে তাঁর দৃঢ় চিত্ততায় ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও চর্চার পথ সুগম হয়। ---------xx--------- এ বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সমূহ : বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকারস্মরণীয় কেন ? (প্রশ্নের মান - ৪) বাংলা তথা ভারতেরআধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতিতে মহেন্দ্রলাল সরকারেরভূমিকা বিশ্লেষণ করো । (প্রশ্নের মান - ৮)

বাংলার সংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার প্রভাব

বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার বিকাশের প্রভাব কতটা? বাংলার সংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার প্রভাব The influence of the printing press on the cultural life of Bengal বাংলার সংস্কৃতিক জীবনের ছাপাখানার বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। ছাপখানার বিকাশের ফলে বাংলা ভাষায় প্রচুর বই ছাপা হতে থাকে। ফলে, বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে র পথ মসৃণ হয়। ছাপাখানার বিকাশের ফলে সংবাদপত্র ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার দ্বারা জনগণ দেশবিদেশের বিভিন্ন সংবাদের সাথে পরিচিত লাভ করে।  ফলে, তাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। ------------xx-------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : বাংলার সংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার প্রভাব সংক্ষেপে লেখো। বাংলার সংস্কৃতিক জীবনের বিকাশে ছাপাখানার গুরুত্ব কী ছিল? এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-এর ভূমিকা ছাপাখানা বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যের ভূমিকা ছাপাখানা বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে কীরূপ পরিবর্তন এনেছিল ? বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে জেমস অগাষ্টস হিকির অবদান ভারতের ইতিহাসে অগাষ

বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে জেমস অগাষ্টস হিকির অবদান

 বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে জেমস অগাষ্টস হিকির অগাষ্টস হিকি : বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে আইরিশ শিল্প-উদ্যোগী জেমস অগাষ্টস হিকির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। দুই হাজার গচ্ছিত টাকা দিয়ে জেলে বসে ছাপাখানার টাইপ কিনে ছুতোর দিয়ে  ১৭৭৭ সালে কলকাতায়  প্রিন্টিং প্রেস বানিয়ে শুরু করেছিলেন ছাপাখানার ব্যবসা। প্রথম দিকে হ্যান্ডবিল,বিজ্ঞাপন,দলিল ইত্যাদি এবং পরে ব্রিটিশ সেনাদের জন্য আর্মি রেগুলেশন ছাপার কাজ পান তিনি। ফলে ছাপাখানার ব্যবসা দাড়িয়ে যায়। হিকির দেখাদেখি গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসএর দুই বন্ধু ছাপাখানা খুললে অর্ডার হারান হিকি। বিকল্প আয়ের সন্ধানে শুরু করেন খবরের কাগজ ছাপার কাজ।  ফলে ১৭৮০ সালে  প্রকাশ পেল  ভারতের প্রথম সংবাদপত্র  ' হিকিস বেঙ্গল গেজেট' । ভারতের সংবাদ পত্রের  এবং  ব্রিটিশ স্বৈরশাসনের  তৎকালীন ইতিহাসের   গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে আছে  এই কাগজ । ---------------------- আরও পড়তে পারো : ১)  ভারতের ইতিহাসে জেমস অগাষ্টস হিকির অবদান এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-

জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কী?

জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কী?  উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি দূর করে বিকল্প হিসেবে স্বদেশের জন্য একটি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে তা-ই জাতীয় শিক্ষা পরিষদ নামে পরিচিত। প্রসন্নকুমার ঠাকুর সর্বপ্রথম ‘ জাতীয় শিক্ষা’  কথাটি ব্যবহার করেন। এরপর স্বদেশী আন্দোলনের সময় ১৯০৬ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে  ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’  বা  ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন’  গড়ে ওঠে। ------------x ---------- বিকল্প প্রশ্ন : ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন কী? কেন এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়? আরও পড়ো : ১)  জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব

বাংলার মুদ্রণ এ ইতিহাসে ‘বটতলা প্রকাশনা’র গুরুত্ব কি? বাংলার মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব বিশেষ উল্লেখযোগ্য।  উনিশ শতকের কলকাতায় মূলত দর্জিপাড়া, শ্যামবাজার, জোড়াসাঁকো, শিয়ালদহ ইত্যাদি জায়গায় জনরুচি (Public Test) অনুযায়ী যেসব প্রকাশনা চলত তা ‘ বটতলার প্রকাশনা’  নামে পরিচিত। ব্রতকথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমসাময়িক ঘটনা রসালো কাহিনী সচিত্র গুপ্ত কথা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে লেখা বাংলা বই সস্তায় ছাপা হতো বটতলার প্রেসগুলিতে। বটতলা অঞ্চলের যেসব দেশগুলি প্রকাশনা ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কবিতা রত্নাকর, কমলালয়, গ্রেট ইডেন ইত্যাদি। পেপারের ব্যবহার এবং স্বদেশী কারিগরির মুন্সিয়ানা ইত্যাদির জন্য বটতলা প্রকাশনার বই এর দাম সস্তা হওয়ায় বিপুলভাবে এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। উনিশ শতকে জন শিক্ষার বিস্তারে একতলা প্রকাশনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ----------x-------- বিকল্প প্রশ্ন: বাংলার মুদ্রণ এ ইতিহাসে ‘বটতলা প্রকাশনা’র অবদান কি ছিল?

বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার-এর ভূমিকা কি ছিল?

বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার এর ভূমিকা কি ছিল? পঞ্চানন কর্মকার হচ্ছেন বাংলা ভাষায় ছাপাখানার হরফ নির্মাণের অন্যতম রূপকার। চার্লস উইলকিন্স -এর তৈরি বাংলা অক্ষরের টাইপ বা নকশাকে আরো মার্জিত রূপ দিয়ে তিনি আরও মার্জিত একটি নতুন হরফ নির্মাণ করেছিলেন। পঞ্চানন কর্মকারের  এই হরফে ছাপা হয় হ্যালহেড রচিত একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা বই, যার নাম ' এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ' ।  প্রকৃত অর্থে,  পঞ্চানন কর্মকারের  তৈরি হরফেই প্রথম শুরু হয় বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ বই ছাপার কাজ। এইভাবে  বাংলাদেশে ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার বা পঞ্চানন মল্লিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। -------x------- বিকল্প প্রশ্ন : পঞ্চানন কর্মকার স্মরণীয় কেন? বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের অবদান সংক্ষেপে লেখো ।  এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-এর ভূমিকা ছাপাখানা বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যের ভূমিকা ছাপাখানা বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে কীরূপ পরিবর্তন এনেছিল ? বাংলায় ছ

কাকে কেন বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়?

বাংলার গুটেনবার্গ চার্লস উইলকিন্স হলেন ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্মকর্তা। তিনি সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের টাইপ বা নকশা তৈরি করেন। এই কারণে তাকে  ‘বাংলা ছাপাখানার জনক’  বা  ‘বাংলার গুটেনবার্গ’  বলে অভিহিত করা হয়। বাংলায় ছাপার কাজ করার জন্য তিনি ১৭৭৮ সালে আমি জেলার চুঁচুড়ায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ------x----- বিকল্প প্রশ্ন : মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে চার্লস উইলকিন্স বিখ্যাত কেন? কাকে কেন ‘বাংলা ছাপাখানার জনক’ বলা হয়?

জাইলোগ্রাফি কী?

  জাইলোগ্রাফি পদ্ধতি কী? জাইলোগ্রাফি হল এক ধরনের মুদ্রণ পদ্ধতি। মুদ্রণ ব্যবস্থা বা ছাপাখানায় ব্যবহৃত ব্লক ভিত্তিক এই পদ্ধতিতে কাঠ বা পাথরের ব্লক ব্যবহার করা হয়। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের চীনে প্রথম এই মুদ্রণ কৌশল আবিষ্কৃত হয়।

জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

  জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলো লেখ। স্বদেশী আন্দোলনের সময় ১৯০৬ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে  ‘ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ’  বা  ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন’  গড়ে ওঠে। জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : ১) জাতীয় আদর্শ অনুসারে সাহিত্য বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা দান করা, ২) শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশ সেবার মনোভাব জাগিয়ে তোলা, ৩) নৈতিক শিক্ষা দান আবশ্যিক করে তোলা, ৪) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটানো ইত্যাদি তিনি এই পরিষদের অধীনে ১৯০৬ বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। ------------x----------- বিকল্প প্রশ্ন : জাতীয় শিক্ষাপরিষদ কী ? ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন’  গড়ে ওঠার কারণ কী?

গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য স্মরণীয় কেন?

গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য স্মরণীয় কেন? বাংলাদেশে ছাপাখানার বিকাশে ও সংবাদপত্র প্রকাশের ইতিহাসে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য একটি স্মরণীয় নাম। তিনি হলেন প্রথম বাঙালি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা । তিনি প্রথম সচিত্র বাংলা বই ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল প্রকাশ করেছিলেন। ভারতের প্রথম সংবাদপত্র  বেঙ্গল গেজেট  বা  হিকির গেজেট  প্রকাশিত হয় ১৭৮০ সালে। পরবর্তীকালে এই পত্রিকাটি গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। -----------------x----------------- বিকল্প প্রশ্ন : বাংলাদেশে ছাপাখানার বিকাশে ও সংবাদপত্র প্রকাশের ইতিহাসে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য-এর অবদান কী ? এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-এর ভূমিকা ছাপাখানা বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যের ভূমিকা ছাপাখানা বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে কীরূপ পরিবর্তন এনেছিল ? বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে জেমস অগাষ্টস হিকির অবদান ভারতের ইতিহাসে অগাষ্টস হিকি-এর অবদান কী ছিল ? বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার-এর ভূমিকা কি ছিল ? বাংলার ছাপ

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী স্মরণীয় কেন?

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন একাধারে একজন সাহিত্যিক চিত্রকর সঙ্গীতজ্ঞ বাদ্যযন্ত্র বাদক এবং প্রখ্যাত মুদ্রণ শিল্পী। সেই সঙ্গে একজন সফল উদ্যোগপতি। হাফটোন ব্লক উদ্ভাবন : তিনি ভারতে প্রথম হাফটোন ব্লক নির্মাণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং  'রঙিন ব্লক' তৈরি ও তার ব্যবহারের সূচনা করেন। ইউরোপের এনগ্রেভিং মুদ্রণ পদ্ধতির সংস্কার করে তাকে আরও উন্নত করে তোলেন। তাঁর গবেষণায় উদ্ভাবিত হয় স্ক্রিন এডজাস্টার যন্ত্র, ডায়াফ্রাম যন্ত্র, টিন্ট প্রসেস ইত্যাদি। ব্লক তৈরির বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ : তিনি ব্লক তৈরির বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন যা ইংল্যান্ডের বিখ্যাত মুদ্রণ বিষয়ক পত্রিকা ‛পেনরোজ অ্যানুয়াল ভল্যুম'-এ প্রকাশিত হয়। ছাপাখানা তৈরিতে উদ্যোগ : ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোর মুদ্রণ ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করেন এবং গড়ে তোলেন ‛ইউ এন রায় এন্ড সন্স‘ নামে একটি ছাপাখানা যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধিক নিখুঁত মুদ্রণযন্ত্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল।  এভাবে, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও তাঁর নেতৃত্বে ইউ এন রায় এণ্ড সন্স বাংলা তথা ভারতের মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নামে পরিণত হয় এবং বাংলার প্

বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে পঞ্চানন কর্মকার (মল্লিক) কী জন্য বিখ্যাত?

বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে পঞ্চানন কর্মকার  ১৭৭৮ সালে চার্লস উইলকিন্স সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের টাইপ বা নকশা তৈরি করেন। পঞ্চানন কর্মকার এই টাইপ বাহককে সংস্কার করে আরো মার্জিত বাংলা অক্ষরের টাইপ নকশা তৈরি করেন। এই নকশা দিয়েই বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ বই ছাপা শুরু হয়। তার এই হরফেই বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ বই 'এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' প্রকাশিত হয়। মূলত, চার্লস উইলকিন্স-এর বাংলা হরফকে মার্জিত চেহারা দিয়ে বাংলা মুদ্রণশিল্পকে একটি উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর এজন্যেই তিনি ছাপাখানার ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ------------xx---------- এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-এর ভূমিকা ছাপাখানা বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যের ভূমিকা ছাপাখানা বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে কীরূপ পরিবর্তন এনেছিল ? বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে জেমস অগাষ্টস হিকির অবদান ভারতের ইতিহাসে অগাষ্টস হিকি-এর অবদান কী ছিল ? বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার-এর ভূমিকা কি ছিল ? বাংলার ছাপাখ

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।