পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো? পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো? আধুনিক বিশ্বে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের জীবনধারন প্রণালী, রীতিনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন, তাদের সংস্কৃতি, ধর্মাচার ও সমাজের প্রকৃতি, এক কথায় মানব সভ্যতা, তার পরিবেশ দ্বারা গভীরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং যে পঠনপাঠন বিদ্যার মাধ্যমে মানব সভ্যতার ওপর পরিবেশের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এবং মানুষ পরিবেশ সচেতন হয়ে ওঠে, তাকে ‘ পরিবেশের ইতিহাস’ বলা হয়। সংক্ষেপে, একটি জাতি ও তার সভ্যতা পরিবেশ দ্বারা কতটা এবং কীভাবে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তা জানার জন্য পরিবেশের ইতিহাসচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর এটা জানাই পরিবেশের ইতিহাসচর্চার উদ্দেশ্য । ----xx---- এই প্রশ্নটি আর যেভাবে আসতে পারে : পরিবেশের ইতিহাস কী? পরিবেশের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? মানব সভ্যতার ওপর পরিবেশের ইতিহাসের প্রভাব কতটা? পরিবেশের ইতিহাস কাকে বলে?? এর গুরুত্ব লেখো। পরিবেশের ইতিহাস চর্চার উদ্দেশ্য কী? এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো হল :...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে। ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের...