সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

(১) প্রথম অধ্যায়। প্রশ্নের মান - ২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো?

 আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো? আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো? আত্মজীবনী : যে রচনায় লেখক তাঁর নিজের জীবনের ও সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং তা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন, তাকে আত্মজীবনী বলে।  যেমন,  সরলা দেবী চৌধুরানীর -  'জীবনের ঝরা পাতা'। স্মৃতিকথা : অতীতের কোন বিশেষ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কোন ব্যক্তি যদি পরবর্তীকালে তাঁর স্মৃতি থেকে প্রাপ্ত সেই ঘটনার অকপট বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন অথবা মৌখিকভাবে প্রকাশ করেন, তাহলে তাকে স্মৃতিকথা বলে।  যেমন,  দক্ষিণারঞ্জন বসুর -  'ছেড়ে আসা গ্রাম'। ---------xx------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : আত্মজীবনী বলতে কী বোঝো?  উদাহরণ দাও। স্মৃতি কথা বলতে কী বোঝো?  উদাহরণ দাও। এ বিষয়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কেন গুরুত্বপূর্ণ? বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী “সত্তর বছর” বছর কিভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে তা বিশ্লেষন কর। 

ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা

 আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা কী? ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায় সরকারের বিভিন্ন আদেশ উদ্যোগ পদক্ষেপ প্রতিবেদন প্রভৃতির নথিপত্র আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা গুলি হল - সরকারি নথিপত্রগুলো সরকারের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা হয়, জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষিত থাকে।  সরকারি নথিপত্র গুলিতে অনেক ক্ষেত্রে ভুল ও বিকৃত তথ্য থাকে। তাই এগুলো সমকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সরকারি নথিপত্রগুলো ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে রচিত হয় না। তাই ঐতিহাসিকদের তথ্য সংগ্রহের সময় সতর্ক থাকতে হয়। ----------------xx--------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো?  এর সীমাবদ্ধতা গুলি উল্লেখ করো। সরকারি নথিপত্র ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয় কেন?  ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের দুর্বলতা কোথায়? সরকারি নথিপত্র বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো ? আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদা

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে গুরুত্বপূর্ণ কেন? Why is 1911 important in the history of Indian nationalism? ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করা হয়। ইংল্যান্ডের রাজা জর্জ ১২ই ডিসেম্বর ১৯১১ সালে ঘোষণা করেন রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য রাজকীয় দরবার দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। মোহনবাগান হল প্রথম ভারতীয় দল হিসাবে বিদেশী দলের বিরুদ্ধে ১৯১১ সালে ফুটবলে জয় ছিনিয়ে আনে।  ---------------xx--------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন : ভারতের ইতিহাসে ১৯১১ সাল বিখ্যাত কেন? ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসে ১৯১১ সাল কীজন্য বিখ্যাত?

সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝায়?

'সরকারি নথিপত্র' বলতে কী বোঝায়? সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো What is meant by Government Documents? সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায় সরকারের বিভিন্ন আদেশ, উদ্যোগ, পদক্ষেপ, প্রতিবেদন প্রকৃতির নথিপত্র। যেমন, পুলিশ বিভাগের রিপোর্ট ও সরকারী চিঠিপত্র, গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট, বিভিন্ন তথ্য, সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন ও চিঠিপত্র, এসবকেই সরকারি নথিপত্র বলে অভিহিত করা হয়। আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এইসব সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। -----------------xx------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন : সরকারি নথিপত্র কী ? সরকারি নথিপত্রের উদাহরণ দাও। এ বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন : আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো । (প্রশ্নের মান -  ৪) সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো ? (তুমি এখন এই প্রশ্নের উত্তর  পড়ছো) ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতাকতটা?

হিকির বেঙ্গল গেজেটের (সংবাদপত্রটি) গুরুত্ব

হিকির বেঙ্গল গেজেট সংবাদপত্রটির গুরুত্ব কী ছিল? ভারতের প্রথম  সাপ্তাহিক  সংবাদপত্র হলো হিকির ‘ বেঙ্গল গেজেট’  বা ‘ হিকি’স গেজেট’। এই পত্রিকাটি থেকে সমকালীন ব্রিটিশ ভারতের সমাজ সংস্কৃতি অর্থনীতি ব্রিটিশদের অত্যাচার শাসন নীতি ভারতীয়দের প্রতিরোধ ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। --------x-------- বিকল্প প্রশ্ন : হিকির বেঙ্গল গেজেট কী? হিকির বেঙ্গল গেজেটের তাৎপর্য 

সোমপ্রকাশ পত্রিকা বন্ধের কারণ

ব্রিটিশ সরকার কেন সোমপ্রকাশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল? সোমপ্রকাশ ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম রাজনৈতিক পত্রিকা। এই পত্রিকা ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের পক্ষে প্রচার চালালেও এর রাজনৈতিক তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সঙ্গে এই পত্রিকা : ১) কৃষকদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার, ২) ইংরেজ শাসনের কুফল, ৩) দেশ শাসনের নামে দেশবাসীর উপর দমন-পীড়ন ইত্যাদি বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন করতে সচেষ্ট হয়। মূলত এই কারণেই, ক্রমাগত ব্রিটিশবিরোধী লেখা প্রকাশের দায়ে লর্ড লিটনের ‘ দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন’- এর অপপ্রয়োগ করে এই পত্রিকাটি ব্রিটিশ সরকার বন্ধ করে দেয়। ---------x--------- বিকল্প প্রশ্ন : কোন আইন দ্বারা সোমপ্রকাশ পত্রিকা ব্রিটিশ সরকার বন্ধ করে দেয়?

সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিষয়বস্তু

  সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিষয়বস্তু কি ছিল? সোমপ্রকাশ ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত  প্রথম   রাজনৈতিক পত্রিকা । এই পত্রিকা থেকে তৎকালীন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। ১) বাংলাদেশের কৃষকদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ২) সমকালীন সময় বিধবা বিবাহ প্রচলন, স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষিত বাঙালির চিন্তাভাবনা, ৩) ধর্ম ব্যবস্থার ত্রুটি, ইংরেজ শাসনের কুফল ও তাদের দমন-পীড়ন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মনোভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়। ---------x----------- বিকল্প প্রশ্ন : সোমপ্রকাশ পত্রিকার থেকে  বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণী সম্পর্কে কী তথ্য জানা যায়?

বঙ্গদর্শন পত্রিকা থেকে কি কি বিষয় জানা যায়?

বঙ্গদর্শন   পত্রিকা ও তার বিষয়বস্তু ১৮৭২ সালে প্রকাশিত ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বঙ্গদর্শন জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ও বলিষ্ঠ জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । এই পত্রিকায় প্রকাশিত রচনাবলী থেকে উনিশ শতকের বাংলায় ইংরেজ সরকার ও জমিদারদের শোষণ-অত্যাচার, সামাজিক পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের অবস্থা, সাহিত্য, রাজনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব প্রভৃতি সম্পর্কে বহু তথ্য পাওয়া যায়। এক কথায়, ১৮৭২ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ের বাঙালি মনীষার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে অবগত হতে চাইলে বঙ্গদর্শনের শরণাপন্ন হতেই হয়। -----------x---------- বিকল্প প্রশ্ন : বঙ্গদর্শন জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ও বলিষ্ঠ জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

সামরিক ইতিহাস বলতে কী বোঝায়?

সামরিক ইতিহাস বলতে কী বোঝায়? মানব সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্ব অপরিসীম। যুগ যুগ ধরে রাজনৈতিক জীবনে যুদ্ধ এবং যুদ্ধের পদ্ধতিগত বিবর্তন গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতিগত বিবর্তনের বিবরণী হল সামরিক ইতিহাস। যদুনাথ সরকারের  ‘মিলিটারি হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া’ , সুবোধ ঘোষের  ‘ভারতীয় ফৌজের ইতিহাস’  সামরিক ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ------------x-------------

আধুনিক ইতিহাস চর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্য

আধুনিক ইতিহাস চর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্য কি? আধুনিক ইতিহাস চর্চার বিষয় ও উপাদানগত বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে এর প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি। ১) আধুনিক ইতিহাস শুধু রাজকাহিনী নয়, তা হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষেরও ইতিহাস। ২) শুধুমাত্র যুদ্ধ-বিগ্রহ বা রাজ্যশাসন নয়, সমস্ত মানুষের জীবনধারণের প্রতিটি ক্ষেত্র (আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক) হয়েছে এর বিষয়বস্তু। ৩) আধুনিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে উঠে এসেছে নতুন নতুন সূত্র। পুরনো উপাদানগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে ইচ্ছাপত্র, আত্মকথা, চিঠিপত্র, সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র, চিত্রকলা, ফটোগ্রাফি, ইন্টারনেট ইত্যাদি। বিকল্প প্রশ্ন : আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র কী?

স্থানীয় ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

স্থানীয়   ইতিহাস চর্চা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনসমাজের নিজস্ব ইতিহাসকে সাধারণভাবে  স্থানীয় ইতিহাস  বলা হয়। কলহনের লেখা কাশ্মীর রাজ্যের ইতিহাস ‘ রাজ তরঙ্গিনী ’এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই ধরনের ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ১) এর দ্বারা স্থানীয় অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। ২) জাতীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে থেকে যাওয়া ফাঁকফোকর পূরণ করতে এই ধরনের ইতিহাস সাহায্য করে। ৩)  স্থানীয় মানুষ নিজেদের অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রাচীনত্ব জেনে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে। ৪) এবং এর থেকে তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মানসিকতায় সৃষ্টি হয়। -----------x-----------------

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি লেখো।

    ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি : বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অনেক। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা: ১) তথ্য সংগ্রহ সহজ :  অতি সহজে ঘরে বসে দুনিয়ার প্রায় যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ২) তথ্য সংগ্রহ দ্রুত হয় :  ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত খুঁজে বের করা যায়। ৩)  তথ্য সংগ্রহে স্বল্প ব্যয় :  প্রচুর অর্থ ব্যয় না করে বই না কিনে অতি সামান্য অর্থের বিনিময় ডাটা ব্যবহার ওরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ৪) পৃথিবীর বিখ্যাত লাইব্রেরী ব্যবহার :  ঘরে বসেই সারা পৃথিবীর অনলাইন লাইব্রেরী থেকে দুষ্প্রাপ্য মূল গ্রন্থ কিংবা রিপোর্ট সংগ্রহ করা যায়। তবে সবকিছুর মত ইন্টারনেট ব্যবস্থারও সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই আছে। তাই অসুবিধার বিষয়ে সচেতন থেকে এই ব্যবস্থার ব্যবহার ইতিহাসচর্চার পক্ষে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে - একথা নিসন্দেহে বলা যায়। ।  -----------শেষ-------------- বিকল্প প্রশ্ন : ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন : প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ১) ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব লেখো।  ২) আ

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।