জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কী? উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি দূর করে বিকল্প হিসেবে স্বদেশের জন্য একটি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে তা-ই জাতীয় শিক্ষা পরিষদ নামে পরিচিত। প্রসন্নকুমার ঠাকুর সর্বপ্রথম ‘ জাতীয় শিক্ষা’ কথাটি ব্যবহার করেন। এরপর স্বদেশী আন্দোলনের সময় ১৯০৬ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ বা ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন’ গড়ে ওঠে। ------------x ---------- বিকল্প প্রশ্ন : ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন কী? কেন এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়? আরও পড়ো : ১) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...