তারিখ ই মোহাম্মদিয়া'র গুরুত্ব লেখ। ‘তারিখ ই মোহাম্মদিয়া’ কথার অর্থ হল মোহাম্মদ প্রদর্শিত পথ। আব্দুল ওয়াহাব নামে জনৈক ব্যক্তি অষ্টাদশ শতকে আরব দেশে এক ধরনের সংস্কার আন্দোলন শুরু করেন, যার মূল ভিত্তি ছিল তারিখ ই মোহাম্মদিয়া । এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামের শুদ্ধিকরণ ঘটানো। আব্দুল ওহাবের নাম অনুসারে এই আন্দোলন ওয়াহাবি আন্দোলন নামে ইতিহাসে পরিচিত। ভারতে এই আন্দোলনের সূচনা করেন শাহ ওয়ালীউল্লাহ এবং তার পুত্র আজিজ। বাংলাদেশে তিতুমীরের নেতৃত্বে এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই আন্দোলন ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও তিতুমীর এই আন্দোলনকে অচিরেই কৃষক আন্দোলনে রূপান্তরিত করেন। -----------x---------- বিকল্প প্রশ্ন : ওয়াহাবী আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...