ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা : ১৪৫৪ সালে জার্মানির জোহানেস গুটেনবার্গ আধুনিক ছাপাখানা আবিষ্কার করলে ইউরোপে মুদ্রণ শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। ভারতের গোয়াতে ১৫৫৬ সালে পর্তুগিজরা সর্বপ্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করলেও বাংলাদেশের কলকাতায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৭৭ সালে। ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত ফলশ্রুতিতে বাংলা তথা ভারতের ব্যাপকভাবে শিক্ষার বিস্তার ঘটতে থাকে। ছাপাখানার গুরুত্ব (ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের সম্পর্ক) : ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করলে বিকল্প চিন্তার বিকাশে ছাপাখানার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। ১) ছাপা বইয়ের সহজলভ্যতা: ছাপাখানা আবিষ্কার এর ফলে প্রচুর বই মুদ্রিত হতে থাকে, যার দাম হাতে লেখা পুঁথির তুলনায় কম। এর ফলে সাধারণ মানুষ নিজের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়। ২) লেখার স্পষ্টতা: ছাপা বইয়ের লেখা খুবই স্পষ্ট হয়। ফলে, ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিকভাবে এই বই পড়তে এবং লিখতে সক্ষম হয়। ৩) পাঠ্যপুস্তক রচনা : উনিশ শতকে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ছাপাখানা গুলিতে প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক ছাপা হতে থাকে। ফলে সহজে ও সুলভে এইসব বই গ্রামগঞ্জে পৌঁছে যা...
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...