'ব্রাহ্মসভা' প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য পাশ্চাত্য ধ্যান-ধারণার সংস্পর্শে এসে রাজা রামমোহন রায় হিন্দু ধর্মের প্রচলিত মূর্তি পূজা ও আচার অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেন এবং একেশ্বরবাদের প্রতি অনুরক্ত হয়ে ওঠেন। ১৮২৮ সালে তিনি হিন্দু সমাজ ও ধর্মের প্রচলিত কুসংস্কার, অনুষ্ঠান সর্বস্বতা, লোকাচার এবং পুরোহিত তন্ত্রের মূঢ় আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য এবং যথার্থ হিন্দু সমাজ ও ধর্মপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ‘ব্রাহ্ম সভা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই সভায় বেদ, উপনিষদ পাঠ করার ব্যবস্থা হয়।
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...