বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার এর ভূমিকা কি ছিল? পঞ্চানন কর্মকার হচ্ছেন বাংলা ভাষায় ছাপাখানার হরফ নির্মাণের অন্যতম রূপকার। চার্লস উইলকিন্স -এর তৈরি বাংলা অক্ষরের টাইপ বা নকশাকে আরো মার্জিত রূপ দিয়ে তিনি আরও মার্জিত একটি নতুন হরফ নির্মাণ করেছিলেন। পঞ্চানন কর্মকারের এই হরফে ছাপা হয় হ্যালহেড রচিত একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা বই, যার নাম ' এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ' । প্রকৃত অর্থে, পঞ্চানন কর্মকারের তৈরি হরফেই প্রথম শুরু হয় বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ বই ছাপার কাজ। এইভাবে বাংলাদেশে ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার বা পঞ্চানন মল্লিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। -------x------- বিকল্প প্রশ্ন : পঞ্চানন কর্মকার স্মরণীয় কেন? বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের অবদান সংক্ষেপে লেখো । এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-এর ভূমিকা ছাপাখানা বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যের ভূমিকা ছাপাখানা বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে কীরূপ পরিবর্তন এনেছ...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...