স্থানীয় ইতিহাস চর্চা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনসমাজের নিজস্ব ইতিহাসকে সাধারণভাবে স্থানীয় ইতিহাস বলা হয়। কলহনের লেখা কাশ্মীর রাজ্যের ইতিহাস ‘ রাজ তরঙ্গিনী ’এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই ধরনের ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ১) এর দ্বারা স্থানীয় অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। ২) জাতীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে থেকে যাওয়া ফাঁকফোকর পূরণ করতে এই ধরনের ইতিহাস সাহায্য করে। ৩) স্থানীয় মানুষ নিজেদের অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রাচীনত্ব জেনে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে। ৪) এবং এর থেকে তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মানসিকতায় সৃষ্টি হয়। -----------x-----------------
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...