ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী একজন বীরাঙ্গনা নারী হচ্ছেন মাতঙ্গিনী হাজরা । গান্ধীজির মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ইনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে তিনি গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত হন। ১৯৪২ সালে তিনি মেদিনীপুরের তমলুক থানা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ হিসাবে এই অভিযানে অংশ গ্রহণ করে পুলিশের গুলিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর এই আত্মত্যাগের কারণেই তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...