দশম শ্রেণির (মধ্যমিকের) ইতিহাস, দ্বিতীয় অধ্যায়ের অতি সংক্ষিপ্ত (প্রশ্নের মান - ১) প্রশ্নোত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস - ২০২২ দ্বিতীয় অধ্যায় এক বাক্যে উত্তর একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১) বাংলায় ‘বন্দিনী বামা মুক্তির যুগ’ বলা হয় কোন সময়কে? উনিশ শতককে বাংলায় বন্দিনী বামা মুক্তির যুগ বলে অভিহিত করা হয়। মনে রেখো : উনিশ শতকে ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’র মাধ্যমে নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো, নারী সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের যোগ্য করে তোলা হয়। এই কারণে উনিশ শতককে বাংলায় বন্দিনী বামা মুক্তির যুগ বলে অভিহিত করা হয়। ২) গ্রামবার্তা প্রকাশিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন? গ্রামবার্তা প্রকাশিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন হরিনাথ মজুমদার, বুঝিনি কাঙাল হরিনাথ নামে ও সমধিক পরিচিত ছিলেন। ৩) আনন্দমঠ উপন্যাসটি কার লেখা? আনন্দমঠ উপন্যাসটি লিখেছিলেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ৪) দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর বলা হয় কাকে? দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর বলা হয় কান্দুকুরি বীরসালিঙগম পানতুলু। মনে রেখো : এই প্রশ্নটি সিলেবাসের বাইরে থেকে দেওয়া। ৫) হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম ...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে। ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের...