কীভাবে কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি হয়? কীভাবে কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি হয়? How did the Kashmir problem arise? কাশ্মীরের পরিচয় : পাঞ্জাবের শিখ মহারাজা রনজিৎ সিংহ দূরাণী বংশের (উপজাতীয়) পতন ঘটিয়ে ১৮২০ সালে কাশ্মীর দখল করেছিলেন। এরপর ইংরেজ-ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানি তা দখল করে এবং ১৮৪৬ খ্রিঃ জম্মুর হিন্দু রাজা গুলাব সিংহকে বিক্রি করেন। অতপর উত্তরাধিকার সূত্রে ১৯২৫-এ মহারাজা হন ইন্দোর মহিন্দর হরি সিং। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বাধীন কাশ্মীর নামে স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের ওপর জোর দেন। হিন্দু রাজা হলেও প্রজারা ছিল সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়। তারা ভারত বা পাকিস্তান কোনও রাষ্ট্রে যোগ না দিতে মনস্থ করেন। যদিও ন্যাশানাল কনফারেন্সের প্রধান শেখ আবদুল্লা ভারতবর্ষে যোগদানের পক্ষে মত দেন। পাকিস্তান সেনার অনুপ্রবেশ : এমতাবস্থায় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২২শে অক্টোবর পাক মদত পুষ্ট হানাদার বাহিনী ও পাক সেনাদল কাশ্মীরে প্রবেশ করে এবং লুন্ঠন ও হত্যালীলা চালায়। মহারাজা হরি সিং ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন। মহারাজ হরিশিঙ্গের সাহায্য প্রার্থনা : মহারাজ হরি সিং ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের সামরিক সাহ...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...