‘ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব’ আইন কি? ভারতের প্রাচীনতম আদিবাসীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য গোষ্টি হলো মুন্ডা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে মুন্ডাদের খুৎকাঠি প্রথা বা যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা বাতিল হলে ১৮৯৯ সালে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ইংরেজ ও জমিদারদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, যা ‘ উলগুলান ’ নামে পরিচিত। দমননীতি চালিয়ে এই বিদ্রোহ দমন করলেও ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয় মুন্ডাদের অনুকূলে প্রজাস্বত্ব আইন বা টেন্যান্সি অ্যাক্ট - ১৯০৮ ঘোষণা করতে, যা ‘ ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন’ নামে পরিচিত। এই আইনের ফলে, ১) গুন্ডাদের খুৎকাঠি প্রথা কিছুটা স্বীকৃতি লাভ করে, ২) মুন্ডাদের বিনা বেতনে বেগার খাটা নিষিদ্ধ হয়, ৩) সরকার মুন্ডাদের অভাব-অভিযোগের সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে