ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে লেখা ও রেখার ভূমিকা : উনিশ শতকের ভারতীয়় জাতীয়তাবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেছেছিল বিভিন্ন লেখক (লেখায়) ও চিত্রশিল্পী (রেখায়)। এ বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'আনন্দমঠ' , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গোঁরা' , স্বামী বিবেকানন্দের ' বর্তমান ভারত' এবং গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ভারতমাতা' চিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের"আনন্দমঠ"এর অবদান বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ প্রগাঢ় ও প্রভাব ফেলেছিল জাতীয়তাবাদীদের ওপর । 1) আনন্দমঠ এর সন্তানদের উচ্চারিত বন্দেমাতরাম মন্ত্র দেশবাসীকেে মুক্তি আন্দোলনে আন্দোলিত করে। 2) এই গ্রন্থে দেশমাতৃকার অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত মূর্তিগুলি তুলে ধরেন বঙ্কিমচন্দ্রবঙ্কিমচন্দ্রের "মা যাহা হইয়াছেন"- দশ জননীর এই মূর্তি হৃতসর্বস্ব নগ্নিকা দেশ এর মূর্তি। এই উক্তির মাধ্যমে। 3) এই মূর্তির মাধ্যমে শোষণ মুক্তা, কল্যাণী, জগদ্ধাত্রী দেশমাতৃকার মূর্তিকে তুলে ধরেছেন । 4) আনন্দমঠ এর সন্তানদের আদর্শ ভারতের শিক্ষিত যুব সমাজকে বিশেষ করে কংগ্রেসী নেত...
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...