গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছেন? বাংলা চিত্রশিল্প ও কার্টুন শিল্পের (ব্যঙ্গচিত্র) ক্ষেত্রে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর বিরূপ বজ্র , অদ্ভুত লোক , নবহুল্লোড় প্রভৃতি গ্রন্থে অংকিত ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তিনি ঔনইবেশিক বাঙালি সমাজের ইংরেজ প্রীতি, বাবু কালচার, ধনী ও অভিজাত শ্রেণির 'সাহেব' সাজার চেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি 'খল ব্রাহ্মণ' চিত্রের মাধ্যমে দেখিয়েছেন একজন ব্রাহ্মণ কীভাবে ধর্মের প্রতি অনুরাগের পরিবর্তে মাংস, মদ ও মহিলায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। ' প্রচন্ড মমতায়' তিনি তুলে ধরেছেন ব্রিটিশের নিপীড়ন। 'জাঁতাসুর' চিত্রের মাধ্যমে বাঙালির ফুটবলপ্রীতি ও মোহনবাগানের ১৯১১ সালের আইএফএ শিল্ড জেতাকে কেন্দ্র করে যে স্বদেশ প্রেম জেগে উঠেছিল তার দুর্বলতাকে নির্মোহ চোখে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর অঙ্কিত ব্যঙ্গচিত্র সে সময় বাঙালিদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। রসিক বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রের রসাস্বাদনের সাথে সাথে ঔপনিবেশিক সমাজ...
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...