সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

(২) দ্বিতীয় অধ্যায়। প্রশ্নের মান - ৪ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ

শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ ব্যাখ্যা করো। শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতবর্ষের ধর্ম ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর ধর্মীয় আদর্শের মূল কথা ছিল ‘ সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন ’ । ধর্ম-দর্শনের প্রেক্ষাপট : উনিশ শতকে হিন্দু ধর্ম যখন একদিকে খ্রিস্ট ধর্ম ও ব্রাহ্ম ধর্মের সাঁড়াশি আক্রমণ এবং অন্যদিকে জাতপাত ও আচার সর্বস্বতায় জর্জরিত, ঠিক তখনই সহজিয়া আধ্যাত্মিকতা এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শকে তুলে ধরেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী কালী মন্দিরের পুরোহিত। তথাকথিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও পাশ্চাত্য আদব-কায়দা বর্জিত একজন নিত্যান্ত গ্রাম্য সাধক হয়েও তিনি ভারতীয় সনাতন ধর্ম-দর্শন ও সংস্কৃতির নির্যাসকে উপলব্ধি করেছিলেন একজন আলোকিত মানুষের মতই। রামকৃষ্ণের ধর্ম-দর্শনের মূল কথা : শ্রীরামকৃষ্ণের সহজ সরল জীবনযাপন পদ্ধতি, গল্পচ্ছলে ধর্মের গুরুবাণী বুঝিয়ে দেওয়া, অসীম ঈশ্বরে বিশ্বাস, লোভ ও মোহ ত্যাগ করে জীবন যাপনের চর্চা, তাঁকে এক বিশিষ্ট আসনে আসীন করেছে। তাঁর দর্শন...

লর্ড মেকলেকে কী এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তক বলা যায়?

লর্ড মেকলে-কে কী এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তক বলা যায়? লর্ড মেকলেকে কী এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তক বলা যায়? পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে অনিহা : ইংরেজ ইস্ট কোম্পানি এদেশে ক্ষমতা দখলের পর পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাদের ধারনা ছিল এদেশের আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারিত হলে ভারতবাসীর মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধি পাবে ও তারা ক্রমশ ব্রিটিশ বিরোধী হয়ে উঠবে। ফলে তারা প্রাচ্য ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চাকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ : ১) মিশনারীদের চেষ্টা : কোম্পানি উৎসাহী না হলেও খ্রিষ্টান মিশনারীরা এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেয়। তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খ্রিষ্ট ধর্মের প্রচার ও প্রসার।  ২) শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্ধ : সমকালীন শিক্ষার দীনতা উপলব্ধি করে ১৮১৩ খ্রিঃ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চাটার আইনের মাধ্যমে কোম্পানি সরকারকে বাৎসারিক ১ লক্ষ টাকা শিক্ষাখাতে ব্যয় করার নির্দেশ দেয়। তবে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের ফলে তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। ৩) জনশিক্ষা কমিটি তৈরি : জনশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে ১৮২৩ খ্রিঃ জনশিক্ষা কমিটি তৈরি হয়। গভর্নর জেনারে...

বাংলায় নারীশিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্তদেবের ভূমিকা

উনিশ শতকে বাংলায় নারীশিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্তদেব কীরূপ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন? - ২০২২ বাংলায় নারীশিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্তদেবের ভূমিকা ভূমিকা : রাজা রাধাকান্তদেব শুধুমাত্র রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিপক্ষ বা রক্ষনশীল হিন্দু সমাজের দলপতি ছিলেন না, তিনি ছিলেন উনিশ শতকে পাশ্চাত্য ও নারীশিক্ষার অন্যতম সমর্থক এবং প্রচারক।  নারী শিক্ষায় অবদান : ১) তিনি নিজের পরিবারের মহিলাদের শিক্ষাদানের জন্য ইংরেজি শিক্ষায়িত্রী নিযুক্ত করেছিলেন।  ২) ব্যাপটিস্ট মিশনারীদের উদ্যোগে নারীশিক্ষার জন্য ক্যালকাটা ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি স্থাপিত হলে তা রাধাকান্তদেবের সমর্থন ও সহযোগিতা লাভ করে। ৩) রাজা রাধাকান্তদের সম্ভ্রান্ত মহিলাদের অন্তঃপুর শিক্ষা এবং ছোট ছোট বালিকাদের গৃহস্থ পাঠশালায় শিক্ষা প্রদান করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি শোভাবাজারে নিজ বাড়িতে বালিকাদের পড়ানোর এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।  ৪) মেয়েদের লেখাপড়ায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য পারিতোষিকেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। ৫) নারী শিক্ষার মূল বাধা ছিল তৎকালীন রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মানসিকতা। তাই তাঁর উৎসাহ এবং সহযোগিতায় ‘স্কুল বুক সোসাইটি’র প্রধান প...

বাংলায় ধর্মসংস্কার আন্দোলনে রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকা

উনিশ শতকে বাংলায় ধর্মসংস্কার আন্দোলনে রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা কর। উনিশ শতকে বাংলায় ধর্মসংস্কার আন্দোলনে রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকা আধুনিক ভারতের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হলেন শ্রীরামকৃয় (১৮৩৬-১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ)। সামাজিক গোঁড়ামি ও ধর্মীয় রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে তাঁর সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ জাতীয় জীবনে এক বড় প্রাপ্তি। ১)  যত মত তত পথ : ধর্ম নিয়ে সনাতনপন্থীদের সঙ্গে নব্যপর্থীদের দ্বন্দ্বে রামকৃয় ছিলেন সমন্বয়ের মূর্ত প্রতীক। তিনি বুঝেছিলেন সর্বধর্মের সমন্বয় হল যুগের আদর্শ। বৈষ্ণব ও শক্তি সাধনার বিচিত্রপথ, ইসলাম থেকে খ্রীস্টীয় সাধনা, দ্বৈত থেকে অদ্বৈত, সাকার থেকে নিরাকার, সগুণ থেকে নির্গুণ - সব সাধনার মধ্যে বিরোধের তিনি মীমাংসা ঘটালেন- ' যত মত তত পথ '- এই মত দিয়ে। তিনি বলেন, মতের ভিত্তিতে পথ আলাদা হলেও লক্ষ্য সবারই এক -ঈশ্বরের সান্নিধ্য। শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বরলাভের জন্য বিশেষ কোন আচার-আচরণ, যাগ-যজ্ঞের প্রয়োজন নেই বলে মত প্রকাশ করেন। ২)  ভক্তির ঈশ্বর উপলব্ধি : তিনি বলেন, ঈশ্বরলাভের জন্য পান্ডিত্য, শাস্ত্রজ্ঞান, মন্ত্র-তন্ত্র, জপ-তপ, সংসার ত্যাগ, শু...

বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে রামমোহন রায়ের ভূমিকা

উনিশ শতকের বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে রামমোহন রায়ের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার অনুরাগী ছিলেন। বিজ্ঞান, রাষ্ট্রনীতি, গণিত, অর্থনীতি, পাশ্চাত্য আইন বিভিন্ন বিষয়ে ভারতীয়দের সামিল করতে চেয়েছিলেন।  ১) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রামমোহন কলকাতায় অ্যাংলো হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠার সময়ে বিশেষভাবে সাহায্য করেন। পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি তাঁর নিজ একটি বাড়ি দান করতে প্রস্তুত ছিলেন। ২) ১৮১৩ খ্রিঃ সনদ আইনে সরকার যে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে তা যাতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের জন্য ব্যয় করা হয়, সেই জন্য ১৮২৩ খ্রিঃ লর্ড আমহার্স্টকে তিনি পত্র লেখেন।  ৩) শিক্ষার্থীদের মন থেকে কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে পাশ্চাত্য সমাজ বিজ্ঞান ও পদার্থবিদ্যা শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে ১৮২৬ খ্রিঃ বেদান্ত কলেজ স্থাপন করেন।  ৪) ১৮৩০ খ্রিঃ জেনারেল অ্যাসেমব্রিজ ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠায় ডাফকে এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে ডেভিড হেয়ারকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। ---------xx--------- 👉  সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনে রামমোহন রায় ।

ধর্মসংস্কার আন্দোলনরূপে ব্রাহ্মআন্দোলনের মূল্যায়ন

ধর্মসংস্কার আন্দোলনরূপে ব্রাহ্ম আন্দোলনের মূল্যায়ন করো। ভূমিকা ১৮২৮ খ্রিঃ একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে, বহুদেববাদ, মূর্তিপূজা, পৌত্তলিকতা বিরোধী আন্দোলন গড়তে ' ব্রাহ্মসভা ' গঠন করা হয় ।  রামমোহন ও ধর্মসংস্কার রাজা রামমোহন রায় নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার সমর্থনে (বেদ, ঈশ, কেন, কঠ, মন্ত্রক ও মাণ্ডুক্য) উপনিষদের বাংলা অনুবাদ ও বিশ্লেষণ করেন। সর্বধর্ম সমন্বয়, মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসভা পরবর্তীকালে ১৮৩০ খ্রিঃ 'ব্রাহ্মসমাজ' নামে পরিচিত হয়। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ধর্মসংস্কার তারপরে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তত্ত্ববোধিনী সভা' ধর্ম আলোচনায় বিশেষ ভূমিকা নেন, খ্রিস্টান পাদরী ও উগ্র পাশ্চাত্যপন্থীদের হাত থেকে হিন্দু সমাজকে রক্ষা করেন। ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে 'তিন আইন' পাস করায়, যার ফলে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হয়।  কেশবচন্দ্র সেন ও ধর্মসংস্কার কেশবচন্দ্র সেন তাঁর 'সুলভ সমাচার' পত্রিকার মাধ্যমে ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শ প্রচার করেন এবং বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ, সতীদাহ প্রথা...

ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র (সমাজ সংস্কার আন্দোলনের) ফলাফল কী হয়েছিল?

ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র ফল কী হয়েছিল? অথবা,  ব্রাহ্মসমাজের দুটো সমাজসংস্কারমূলক কাজের উদাহরণ দাও। ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসাবের আগে বাংলার সমাজ জীবন ছিল নানা ধরণের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামিতে নিমজ্জিত। রাজা রামমোহন রায়-সহ পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী কিছু যুবক  'ব্রাহ্মসমাজ'  প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে এসমস্ত কুসংস্কার ও কুপথা দূর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাদের এই আন্দোলন  'ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন'  নামে পরিচিত।  তাঁদের উদ্যোগে --- ১) সমাজ থেকে  সতীদাহপ্রথা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, দেবদাসীপ্রথা, জাতিভেদপ্রথা, অস্পৃশ্যতা, গঙ্গাজলে সন্তান বিসর্জন  ইত্যাদি কুপ্রথা দূর হয়। ২) রাজা রামমোহন রায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, অক্ষয় কুমার দত্ত, শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু প্রমুখের প্রচেষ্টায়  সর্বধর্মসমন্বয় সাধন ও মানবতাবাদ-এর প্রচার ও প্রসার  ঘটে। ৩) ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ-এর নেতা কেশবচন্দ্র সেনের আন্দোলনের প্রভাবে ১৮৭২ সালের সরকার  'তিন আইন'  পাস করে  বাল্যবিবাহ ,...

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে শ্রীরামপুর ত্রয়ীদের অবদান কী ছিল?

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে শ্রীরামপুর ত্রয়ীদের অবদান কী ছিল? শ্রীরামপুর ত্রয়ীর ভূমিকা / অবদান : উনিশ শতকে বিকল্প চিন্তার বিকাশে / বিস্তারে / প্রসারে  কিংবা শিক্ষার প্রসারে  শ্রীরামপুর ত্রয়ীর  'শ্রীরামপুর মিশন প্রেস' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।  এই তিনজন মিশনারির প্রচেষ্টায় এই মিশন প্রেস থেকে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ,  প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য প্রকাশ,  পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে   ছাত্র-ছাত্রীদের  হাতে কম দামে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে মার্শম্যানের সম্পাদনায়  ১৮১৮ সাল থেকে 'দিগদর্শন' নামে একটি মাসিক এবং 'সমাচার দর্পণ' নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে।  শ্রীরামপুরের মিশনারিরা শিক্ষা-বিস্তারের উদ্যেশ্যে ১৮১৮ সালের মধ্যে ১০৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। এছাড়া নারী-শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষার জন্য শ্রীরামপুরে প্রথম ডিগ্রি কলেজ (এশিয়ায় প্রথম) গড়ে তোলেন।  সুতরাং দেখা যাচ্ছে, উনিশ শতকে শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত বইপত্রগুলি জ্ঞান ও শিক্ষার (গণশিক্ষার) প্রসারে গরুত্...

কাকে কেন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের 'ম্যাগনাকার্টা' বলা হয়?

কাকে, কেন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের 'ম্যাগনাকার্টা' বলা হয়? কাকে কেন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের 'ম্যাগনাকার্টা' বলা হয়? উত্তর : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের জন্য  লর্ড হার্ডিঞ্জ  ১৮৪৪ সালে ঘোষণা করেন যে, সরকারি চাকরিতে ইংরেজি ভাষা জানা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই কাজকে আরও উৎসাহিত করার জন্য ১৮৫৪ সালে কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি  চার্লস উড  একটি নির্দেশনামা প্রকাশ করেন। (এই নির্দেশনামা  ' উডের ডেসপ্যাস '  নামে পরিচিত।) এই নির্দেশনামায় প্রকাশিত হওয়ার ফলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই পর্বেই (১৮৫৪ সালে) বোর্ড অফ কন্ট্রোল সভাপতি চার্লস উডের শিক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। ১) কোলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।  ২) একটি পৃথক শিক্ষাদপ্তর প্রতিষ্ঠা হয় এবং 'ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন' পদের সৃষ্টি করা হয়। ৩) শিক্ষক-শিক্ষন বিদ্যালয় স্থাপন করা।  ৪) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫) সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে পাঁচটি ভাগের নির্দেশ ৬) দে...

ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী'?

ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী'? জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ১৮৩৫ সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবিতে লর্ড বেন্টিং-এর কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেন, যা  মেকলে মিনিটস   বা  'মেকলে প্রস্তাব'  নামে পরিচিত। তাঁর মতে, এ দেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে  ' চুইয়ে পড়া নীতি '  অনুসারে তা ক্রমশ সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে ভারতে এমন একটি সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ ঘটবে যারা  ‘রক্তবর্ণে ভারতীয় হলেও রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায়’  ইংরেজদের সমতুল্য হয়ে যাবে। তাঁর সুপারিশ মেনে লর্ড বেন্টিং এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে সরকারি নীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলে এদেশে  পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার  ঘটে। ----------xx-------- এই প্রশ্নটিই অন্য যেভাবে আসতে পারে : কে কত সালে মেকলে মিনিটস পেশ করেন? মেকলে মিনিটস এর উদ্দেশ্য কী ছিল? মেকলে মিনিটস কী? এর গুরুত্ব কী ছিল? পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে মেকলেড় প্রস্তাব কী ছিল? ভারতের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় তার কী প্রভাব পড়েছিল? এই...

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা           টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল—  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে। ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :  ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের...

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর...

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন। --------xx------- এই প্রশ্নটিই অন্য যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ কী ছিল? ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী ছিল? ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কী? কত সালে, কোথায়, কোন লক্ষ্যে ফোর্ট উইলিয...

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার।...

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত। 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহ...

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি...

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  ' মেকলে মিনিটস '  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি '   নামে পরিচিত। ------------xx----------- এই প্রশ্নের বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : মেকলে মিনিটস কী?মেকলে মিনিটস এর অন্তর্ভুক্ত চুইয়ে পড়া নীতি ব্যাখ্যা করো। চুঁইয়ে পড়া নীতি কাকে বলে? এই নীতি কী ভাবে কাজ করে? কে কেন এবং কোথায় চুইয়ে পড়া নীতির কথা বলেছিলেন? এই বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী '? মেকল...

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল?