সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বারাসাত বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

বারাসাত বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন? বারাসাত বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন? বারাসাত বিদ্রোহ ইসলামের পুনরুজ্জীবন ও ইসলাম ধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হিসাবে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হলেও অচিরেই তা কৃষক আন্দোলনের চেহারা নেয়। এই আন্দোলনের ব্যর্থতার পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায় : দুর্বল সংগঠন ও আদিম অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার, গেরিলা যুদ্ধনীতি ত্যাগ, বৃহত্তর হিন্দু সমাজের সঙ্গে অনৈক্য,  মুসলিম মৌলবীদের একাংশের বিরোধিতা ইত্যাদি। মূলত এই সমস্ত কারণে বারাসাত বিদ্রোহ সাফল্য লাভ করতে পারেনি। --------xx-------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : বারাসাত বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ কী? তিতুমীরের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল কেন? বাঁশেরকেল্লা ধ্বংস হল কেন? বারাসাত বিদ্রোহের উপর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : বারাসাত বিদ্রোহের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো । তিতুমীর কে ছিলেন? তিনি কী কারণে খ্যাতি লাভ করেছিলেন ? বাঁশেরকেল্লা কী ? বারাসাত বিদ্রোহ কী ?

বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব

বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব : বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের কীরূপ মনোভাব ছিল? ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তুলার দাম কমে যাওয়া ও ৩০ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে গুজরাটের বারদৌলি তালুকের কৃষকরা ১৩টি স্থানে ব্যাপক কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলন  ‘বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলন’ নামে পরিচিত। বারদৌলি সত্যাগ্রহের কারণ : তবে তুলোর দাম কমে যাওয়া ও রাজস্ব বৃদ্ধি ছাড়াও এই আন্দোলনের পিছনে আরও কিছু কারণ ছিল। যেমন, উচ্চবর্ণের ‘ উজালীপারাজ ’ বা সাদা মানুষদের দ্বারা ‘ কলিপারাজ’  বা কালো মানুষদের ওপর অত্যাচার ও নারী নির্যাতন। ‘হালিপ্রথা’ র মাধ্যমে বংশানুক্রমিকভাবে বাধ্যতামূলক শ্রমদান মহাজনদের শোষণ । দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি , ইত্যাদি। এ সমস্ত কারণে স্থানীয় নেতা কল্যানী মেহতা ও কুনবেরজি মেহতা এবং দয়ালজি দেশাই কৃষকদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। বারদৌলি সত্যাগ্রহ ও কংগ্রেসের মনোভাব : প্রথমদিকে এই আন্দোলনের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু ১৯২৫ সালে বারদৌলিতে ভয়ংকর বন্যা এবং ১৯২৭ সা...

ভারত সভার প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির ভূমিকা

ভারত সভার প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ভারত সভার প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির ভূমিকা জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ে তোলার ভাবনায় প্রভাবিত হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার কথা, প্রথম সংহতভাবে চিন্তা করেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায় প্রমুখদের নিয়ে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে ‘ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ’ বা ‘ ভারত সভা ’ প্রতিষ্ঠা করেন।  সর্বসাধারণের প্রতিষ্ঠান : ভারত সভা প্রতিষ্ঠার পূর্বে প্রায় সব ‘ সভা-সমিতি ’ ছিল একদিকে আঞ্চলিক এবং অন্যদিকে জমিদার ও ধনী শ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভারত সভা’র দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের জন্য। এখানে বাৎসরিক চাঁদার হার ৫ টাকা হলেও কৃষকদের দিতে হত মাত্র এক টাকা।  মধ্যবিত্ত জন্য দাবী : শুধু জমিদার শ্রেণির নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণির দাবী ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেও ‘ ভার...

মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব

মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব কীরূপ ছিল? মহাবিদ্রোহের প্রতিশিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের সূত্রপাত বাংলার বহরমপুর ও বারাকপুর থেকে হলেও বাংলায় এই বিদ্রোহের প্রভাব ও প্রসার সেভাবে ঘটেনি। সংবাদপত্রের মনোভাব : দিল্লি ও উত্তর ভারতে উর্দু সংবাদপত্রগুলি বিদ্রোহ চলাকালীন বিদ্রোহীদের আত্মবিশ্বাস ও মনোভাব বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। অন্যদিকে বাংলায় ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সংবাদ ভাস্কর’, ‘অরুনদয়’-এর মত সংবাদপত্রগুলি বিদ্রোহীদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ প্রদর্শন করে ও ব্রিটিশ শাসনের প্রতি অবিচল আনুগত্য প্রদর্শন করে। সভা সমিতির মনোভাব : ‘ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ’, ‘ মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালকাটা ’র মত অনেক সভা-সমিতি এই বিদ্রোহকে নিন্দা করে সরকারকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেয়। বাঙালি বুদ্ধিজীবীর মনোভাব : সেই সময়ের শিক্ষিত বাঙালি সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে অক্ষয় কুমার দত্ত, ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত, কিশোরী চাঁদ মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমূখরা এই বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি। ব্রিটিশের পক্ষে সহযোগিতা : ...

শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ

শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ ব্যাখ্যা করো। শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতবর্ষের ধর্ম ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর ধর্মীয় আদর্শের মূল কথা ছিল ‘ সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন ’ । ধর্ম-দর্শনের প্রেক্ষাপট : উনিশ শতকে হিন্দু ধর্ম যখন একদিকে খ্রিস্ট ধর্ম ও ব্রাহ্ম ধর্মের সাঁড়াশি আক্রমণ এবং অন্যদিকে জাতপাত ও আচার সর্বস্বতায় জর্জরিত, ঠিক তখনই সহজিয়া আধ্যাত্মিকতা এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শকে তুলে ধরেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী কালী মন্দিরের পুরোহিত। তথাকথিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও পাশ্চাত্য আদব-কায়দা বর্জিত একজন নিত্যান্ত গ্রাম্য সাধক হয়েও তিনি ভারতীয় সনাতন ধর্ম-দর্শন ও সংস্কৃতির নির্যাসকে উপলব্ধি করেছিলেন একজন আলোকিত মানুষের মতই। রামকৃষ্ণের ধর্ম-দর্শনের মূল কথা : শ্রীরামকৃষ্ণের সহজ সরল জীবনযাপন পদ্ধতি, গল্পচ্ছলে ধর্মের গুরুবাণী বুঝিয়ে দেওয়া, অসীম ঈশ্বরে বিশ্বাস, লোভ ও মোহ ত্যাগ করে জীবন যাপনের চর্চা, তাঁকে এক বিশিষ্ট আসনে আসীন করেছে। তাঁর দর্শন...

ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন?

ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন? ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন? ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ননীবালা দেবী স্মরণীয় হয়ে আছেন। কারণ — বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে তিনি বিপ্লবীদের আশ্রয়দান ও গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। এজন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। জেলে থাকাকালীন অকথ্য অত্যাচার সত্ত্বেও তিনি বিপ্লবীদের কোন গোপন তথ্য প্রকাশ করেননি। তিনি ১৮১৮ সালে ৩ নম্বর আইনে সাজাপ্রাপ্ত প্রথম মহিলা রাজবন্দী ছিলেন। তাঁর দেশ ভক্তির আদর্শ বিপ্লবীদের মনে উৎসাহের সঞ্চার করেছিল।  এই সমস্ত কারণেই হাওড়ার ননীবালা দেবী ‘বিপ্লবীদের পিসিমা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। --------xx---------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : ননীবালা দেবী কে ছিলেন? ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে ননীবালা দেবীর অবদান কী ছিল? কাকে কেন ‘বিপ্লবীদের পিসিমা’ বলা হয়? ১৮১৮ সালে ‘ তিন নম্বর আইনে ’ সাজাপ্রাপ্ত প্রথম রাজবন্দীর নাম কী? তিনি কীজন্য খ্যাতিলাভ করেছেন? বিপ্লবী আন্দোলন সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : মাস্টারদা সূর্যসেন কে ছিলেন?  তিনি কীজন্য বিখ্যাত ? রশিদ আলী দিবস কত সালে কোথায় পালিত হয় ? রশিদ আলী কে ছিলেন ? স্ট্যানলি জ্য...

কি উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয়?

কি উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয়?  কি উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয়? জয়প্রকাশ নারায়ণ , ডক্টর রাম মনোহর লোহিয়া, অচ্যুত পট্টবর্ধন প্রমুখের উদ্যোগে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয়।  এই দলের উদ্দেশ্য ছিল - জাতীয় কংগ্রেসের সহায়তায় দেশে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের রূপায়ণ ঘটানো।  কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণিকে একজোট করে তাদের দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করা। কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল করা। এই দলের লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী শক্তিকে সুসংহত করা। i) উৎপাদনকারী শক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ii) দেশীয় রাজা ও জমিদারদের বিলুপ্ত করা iii) কৃষিঋণ মকুব --------xx------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? এই দল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল? কারা কী উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠা করেন? কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল কত সালে গড়ে ওঠে? এই দল গড়ে তোলার কারণ কী ছিল? এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন :  কী উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজ...

১৯০৫ সালে ১৬ই অক্টোবর বাংলার নারী সমাজ কেন অরন্ধন পালন করে?

 ১৯০৫ সালে ১৬ই অক্টোবর বাংলার নারী সমাজ কেন অরন্ধন পালন করে?  ১৯০৫ সালে ১৬ই অক্টোবর বাংলার নারী সমাজ কেন অরন্ধন পালন করে? ব্রিটিশ সরকার তাদের নগ্ন সাম্রাজ্যবাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ১৯০৫ সালে ১৬ ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করে।  এই ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার নারী সমাজ ঐদিন অরন্ধন পালন করেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গের বিষয়টিকে তারা জাতীয় শোকে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।  প্রকৃতপক্ষে, অরন্ধন পালনের মাধ্যমে বাংলার নারী সমাজ বঙ্গভঙ্গ রদ করার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের উপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। --------xx------- এই প্রশ্নটিই অন্য যেভাবে আসতে পারে : অরন্ধন কী? কী উদ্দেশ্যে বাংলার নারী সমাজ অরন্ধন পালন করেছিলেন? বাংলার নারী সমাজ কত সালে কী কারণে অরন্ধন দিবস পালন করেছিলেন? ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর বাংলার ইতিহাসে কী কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে? ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর কীজন্য বিখ্যাত? 'অরন্ধন দিবস' পালনের ডাক দিয়েছিলেন কে? এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য কী ছিল?  বঙ্গভঙ্গ বিষয়ক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের স...

পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় কেন?

ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় কেন? পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় কেন? মধুসূদন গুপ্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজে চারজন সহযোগী ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম শবদেহ ব্যবচ্ছেদ করেন। এটি ছিল হিন্দু সমাজের জন্য একটি বৈপ্লবিক কার্যক্রম। মূলত, এই কারণেই ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় হয়ে আছে। -------xx------ এই প্রশ্নটি যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন ? তিনি কী জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন? ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাসে ১৮৩৬ সাল বিখ্যাত কেন?  আধুনিক ভারতে কত সালে, কোথায় প্রথম শবদেহ ব্যবচ্ছেদ করা হয়? কার নেতৃত্বে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছিল? কলকাতা মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে ১৮৩৬ সাল স্মরণীয় কেন?  এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল : মেকলে মিনিটস কী? ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী'? 'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণীয় কেন ? হার্...

পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো?

 পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো?  পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো? আধুনিক বিশ্বে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের জীবনধারন প্রণালী, রীতিনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন, তাদের সংস্কৃতি, ধর্মাচার ও সমাজের প্রকৃতি, এক কথায় মানব সভ্যতা, তার পরিবেশ দ্বারা গভীরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং যে পঠনপাঠন বিদ্যার মাধ্যমে মানব সভ্যতার ওপর পরিবেশের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এবং মানুষ পরিবেশ সচেতন হয়ে ওঠে, তাকে ‘ পরিবেশের ইতিহাস’ বলা হয়। সংক্ষেপে, একটি জাতি ও তার সভ্যতা পরিবেশ দ্বারা কতটা  এবং  কীভাবে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তা জানার জন্য পরিবেশের ইতিহাসচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর এটা জানাই পরিবেশের ইতিহাসচর্চার উদ্দেশ্য । ----xx---- এই প্রশ্নটি আর যেভাবে আসতে পারে : পরিবেশের ইতিহাস কী? পরিবেশের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? মানব সভ্যতার ওপর পরিবেশের ইতিহাসের প্রভাব কতটা? পরিবেশের ইতিহাস কাকে বলে?? এর গুরুত্ব লেখো। পরিবেশের ইতিহাস চর্চার উদ্দেশ্য কী? এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো হল :...

কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল?

কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল? - ২০২০, ২০২৩ কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল? স্বাধীন ভারত সরকার তেলেগু ভাষাভাষীদের দাবির ভিত্তিতে ১৯৫৩ সালে স্বতন্ত্র ভাষাভিত্তিক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ গঠন করলে এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ভারতের অন্যান্য ভাষা গোষ্ঠীর মানুষরাও আন্দোলনের নামে। ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে গঠিত আন্দোলনের হিংসাত্মক প্রভাব কমাতে এবং অঙ্গরাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণ নির্ধারণের নীতি তৈরীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ১৯৫৩ সালে আগস্ট মাসে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করেন।  কমিশনের মোট সদস্য ছিলেন তিনজন। এরা হলেন বিচারপতি ফজল আলী, কে. এম পানিক্কর, ও হৃদয়নাথ কুঞ্জুর। ---------xx------- এই প্রশ্নটি আর যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : কত সালে কেন রাজ্য  পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল? রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের পটভূমি উল্লেখ করো। কে কী উদ্দেশ্যে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করেছিলেন? কত সালে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছিল? এই কমিশনের সদস্যদের নাম লেখো। রাজ্য পুনর্গঠন বিষয়ক আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ১৯৫৩ কেন...

'চুইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

কোম্পানির শিক্ষাক্ষেত্রে 'চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝায়? 'চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? উঃ জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি লর্ড মেকলে ভারতে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর এক প্রস্তাবে লর্ড বেন্টিঙ্ক'কে বলেন যে, জল যেভাবে ওপর থেকে নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ভারতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটলে তা ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। মেকলের এই নীতিই ' চুঁইয়ে পড়া নীতি' নামে পরিচিত। -------xx------ এই প্রশ্নটি আর যে যে ভাবে আসতে পারে : চুইয়ে পড়া নীতি কী? কে কি উদ্দেশ্যে চুইয়ে পড়া নীতির প্রস্তাব করেছিলেন? চুইয়ে পড়া নীতি তত্ত্বটি কোন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত? কিভাবে এই নীতি কার্যকরী হবে বলেভাবা হয়েছিল? চুইয়ে পড়া নীতির প্রবর্তক কে? কেন তিনি এই নীতির প্রস্তাব করেছিলেন? চুইয়ে পড়া নীতিগ্রহণ করার কারণ কি ছিল? শিক্ষা সংস্কার বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি হল : মেকলে মিনিটস কী? ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী'? 'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? কাদম্বিনী ...

মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী?

মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী? মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী? What is the cause of Moplah rebellion? ১৯২১ সালে মালাবার উপকূলের মোপলা কৃষকরা মহম্মদ হাজির নেতৃত্বে জমিদার শ্রেণীর সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ মোপলা বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহের কারণগুলি হলো - কেরালার মালাবার অঞ্চলে রাজস্বের হার ছিল অত্যন্ত বেশি। অত্যধিক হারে রাজস্ব দিতে গিয়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে যেত।  এই অঞ্চলের অস্পষ্ট প্রজাস্বত্ব আইনের সুযোগ নিয়ে সরকার ও জমিদাররা মোপলা কৃষকদের উপর তীব্র শোষণ চালাত। ব্রিটিশ সরকার তাদের এই অভিযোগের সমাধান করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না। ----------xx----------- এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : মোপলা বিদ্রোহের ঐতিহাসিক পটভূমি।

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?  ভারতে ইংরেজদের প্রবর্তিত উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। কারণ - এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল পুঁথিগত। বাস্তবমুখী প্রযুক্তিবিদ্যার অভাব ছিল আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। ফলে উচ্চ পর্বের শহরের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা লাভের সুযোগ পেলেও ইংরেজি ভাষায় অজ্ঞ বাংলার বৃহত্তম গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষ এই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়নি।  কলেজ ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি।  এই শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। -----------xx------------ এই বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলি সংক্ষেপে লেখ

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান উনিশ শতকে জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির কিরূপ অবদান ছিল? আনন্দমঠ উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 1882 সালে রচনা করেন। উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদের উত্থানে এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। যেমন - এই গ্রন্থটি স্বদেশপ্রেমের উত্থান ঘটায়। কারণ গ্রন্থটিতে বলা হয়েছিল যে দেশপ্রেম হলো ধর্ম এবং দেশ সেবা হল পূজা।  এই উপন্যাসে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে রচিত বন্দে মাতারাম সংগীতটি পরাধীন ভারতের বিপ্লবী মন্ত্রী পরিণত হয়েছিল?  এই গ্রন্থটি দেশের যুবসমাজকে স্বদেশ ভক্তি, ত্যাগ ও সেবা ধর্মের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে স্বদেশ প্রেমের গীতারূপে চিহ্নিত হয়। -------------xx-------------- এই অধ্যায়ের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে লেখা ও রেখার কীভাবে ফুটে উঠেছিল ?

ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?

 ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?  ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল? হাজী শরীয়তুল্লাহ ইসলাম ধর্মের সংস্কার ও শুদ্ধিকরণের জন্য ফরাজি আন্দোলনের সূচনা করলেও পরবর্তীকালে তার পুত্র দদুমিয়া এই আন্দোলনকে ধর্মীয় মোড়ক থেকে বের করে এনে একে সার্থক কৃষক আন্দোলনে উন্নীত করেছিলেন। জমি আল্লাহর দান সেখানে কর ধার্য করার অধিকার জমিদারের নেই -  দুদুমিয়ার এই বক্তব্যে হিন্দু মুসলমান কৃষক আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং ঐক্যবদ্ধ জমিদার বিরোধী তথা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই এই আন্দোলনকে নিছক ধর্মীয় আন্দোলন না বলে একে জমিদার মহাজন ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন বলাই শ্রেয়। -----------xx-------- ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর : ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী ? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ? দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন ?

চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব

 চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল? চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব Significance of Chuar Rebellion ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এই বিদ্রোহের ( চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব ) হল - চুয়াড় বিদ্রোহে জমিদার ও নিরক্ষর ছোঁয়ার কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়. এই বিদ্রোহের পর সরকার বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করে। এই বিদ্রোহের পর সরকার এই অঞ্চলে নিলামের মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নীতি ত্যাগ করে। --------------------xx---------------- চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর ঃ চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা করো । ( প্রশ্নের মান - ৮ ) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল ? ( প্রশ্নের মান - ৪ ) চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব উল্লেখ করো। ( প্রশ্নের মান - ২ )

নববিধান কী?

 নববিধান কী? নববিধান কী? কেশবচন্দ্র সেনের হিন্দু মতে নিজ কন্যার বিবাহ, রামকৃষ্ণ প্রীতি, খ্রিস্টপ্রীতি, চৈতন্য প্রীতি ইত্যাদি বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু, দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ তরুণ ব্রাহ্মরা ১৮৭৮ সালে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই পরিস্থিতিতে কেশবচন্দ্র সেন তার উদারপন্থী অনুগামীদের নিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শে নববিধান ঘোষণা করেন। এই ঘোষিত আদর্শ নববিধান নামে পরিচিত। আর কেশবচন্দ্র সেন-এর নেতৃত্বে নববিধানকে আদর্শ করে গড়ে ওঠা সংগঠনটি নববিধান  সমাজ নামে পরিচিত। --------------xx------------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : কে কবে নববিধান সমাজ গড়ে তোলেন? এর উদ্দেশ্য কি ছিল? কেশবচন্দ্র সেন কেন নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন? নববিধান বলতে কী বোঝো?  এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর ঃ কে, কবে, কেন 'নববিধান সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন ? 'ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ' কেন বিভক্ত হয় ? 'ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র ফল কী হয়েছিল ? ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র (সমাজ সংস্কার আন্দোলনের) ফলাফল ...

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য

 এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল? পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে মিশনারিদের উদ্দেশ্য  ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল : খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটানো?  পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার ও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো।  বিভিন্ন প্রকার সামাজিক ও কুসংস্কার ও গোঁড়ামি দূর করা। ------------xx------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : ১) খ্রিস্টান মিশনারীরা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার চেয়েছিলেন কেন? ২) ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে খ্রিস্টান মিশনারিদের আগ্রহের কারণ কি ছিল? ৩) খ্রিস্টান মিশনারিরা কোন উদ্দেশ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছিলেন? পাশ্চাত্য শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : উডের ডেসপ্যাচ কী ? উডের নির্দেশনামার গুরুত্ব কী ? হার্ডিঞ্জের ঘোষণার গুরুত্ব কী ? ' চুইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ ? কাকে কেন পাশ্চাত্য শিক্ষার ম্যাগনাকার্টা বলা হয় ? ডেভিড হেয়ার স্মরণীয় কেন ? রাধাকান্ত দেব স্মরণীয় কেন ? পাশ্চা...

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো?

 আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো? আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো? আত্মজীবনী : যে রচনায় লেখক তাঁর নিজের জীবনের ও সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং তা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন, তাকে ‘ আত্মজীবনী’ বলে।  যেমন,  সরলা দেবী চৌধুরানীর -  ‘ জীবনের ঝরা পাতা’ । স্মৃতিকথা : অতীতের কোন বিশেষ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কোন ব্যক্তি যদি পরবর্তীকালে তাঁর স্মৃতি থেকে প্রাপ্ত সেই ঘটনার অকপট বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন অথবা মৌখিকভাবে প্রকাশ করেন, তাহলে তাকে ‘ স্মৃতিকথা ’ বলে।  যেমন,  দক্ষিণারঞ্জন বসুর -  ‘ ছেড়ে আসা গ্রাম ’। ---------xx------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : আত্মজীবনী বলতে কী বোঝো?  উদাহরণ দাও। স্মৃতি কথা বলতে কী বোঝো?  উদাহরণ দাও। এ বিষয়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কেন গুরুত্বপূর্ণ? বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী “সত্তর বছর” বছর কিভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে তা বিশ্লেষন কর। 

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর...

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন। --------xx------- এই প্রশ্নটিই অন্য যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ কী ছিল? ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী ছিল? ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কী? কত সালে, কোথায়, কোন লক্ষ্যে ফোর্ট উইলিয...

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার।...

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত। 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহ...

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি...

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  ' মেকলে মিনিটস '  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি '   নামে পরিচিত। ------------xx----------- এই প্রশ্নের বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : মেকলে মিনিটস কী?মেকলে মিনিটস এর অন্তর্ভুক্ত চুইয়ে পড়া নীতি ব্যাখ্যা করো। চুঁইয়ে পড়া নীতি কাকে বলে? এই নীতি কী ভাবে কাজ করে? কে কেন এবং কোথায় চুইয়ে পড়া নীতির কথা বলেছিলেন? এই বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী '? মেকল...

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল?