সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী?

মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী? মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী? What is the cause of Moplah rebellion? ১৯২১ সালে মালাবার উপকূলের মোপলা কৃষকরা মহম্মদ হাজির নেতৃত্বে জমিদার শ্রেণীর সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ মোপলা বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহের কারণগুলি হলো - কেরালার মালাবার অঞ্চলে রাজস্বের হার ছিল অত্যন্ত বেশি। অত্যধিক হারে রাজস্ব দিতে গিয়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে যেত।  এই অঞ্চলের অস্পষ্ট প্রজাস্বত্ব আইনের সুযোগ নিয়ে সরকার ও জমিদাররা মোপলা কৃষকদের উপর তীব্র শোষণ চালাত। ব্রিটিশ সরকার তাদের এই অভিযোগের সমাধান করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না। ----------xx----------- এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : মোপলা বিদ্রোহের ঐতিহাসিক পটভূমি।

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?  ভারতে ইংরেজদের প্রবর্তিত উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। কারণ - এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল পুঁথিগত। বাস্তবমুখী প্রযুক্তিবিদ্যার অভাব ছিল আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। ফলে উচ্চ পর্বের শহরের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা লাভের সুযোগ পেলেও ইংরেজি ভাষায় অজ্ঞ বাংলার বৃহত্তম গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষ এই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়নি।  কলেজ ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি।  এই শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। -----------xx------------ এই বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলি সংক্ষেপে লেখ

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান উনিশ শতকে জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির কিরূপ অবদান ছিল? আনন্দমঠ উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 1882 সালে রচনা করেন। উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদের উত্থানে এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। যেমন - এই গ্রন্থটি স্বদেশপ্রেমের উত্থান ঘটায়। কারণ গ্রন্থটিতে বলা হয়েছিল যে দেশপ্রেম হলো ধর্ম এবং দেশ সেবা হল পূজা।  এই উপন্যাসে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে রচিত বন্দে মাতারাম সংগীতটি পরাধীন ভারতের বিপ্লবী মন্ত্রী পরিণত হয়েছিল?  এই গ্রন্থটি দেশের যুবসমাজকে স্বদেশ ভক্তি, ত্যাগ ও সেবা ধর্মের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে স্বদেশ প্রেমের গীতারূপে চিহ্নিত হয়। -------------xx-------------- এই অধ্যায়ের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে লেখা ও রেখার কীভাবে ফুটে উঠেছিল ?

ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?

 ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?  ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল? হাজী শরীয়তুল্লাহ ইসলাম ধর্মের সংস্কার ও শুদ্ধিকরণের জন্য ফরাজি আন্দোলনের সূচনা করলেও পরবর্তীকালে তার পুত্র দদুমিয়া এই আন্দোলনকে ধর্মীয় মোড়ক থেকে বের করে এনে একে সার্থক কৃষক আন্দোলনে উন্নীত করেছিলেন। জমি আল্লাহর দান সেখানে কর ধার্য করার অধিকার জমিদারের নেই -  দুদুমিয়ার এই বক্তব্যে হিন্দু মুসলমান কৃষক আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং ঐক্যবদ্ধ জমিদার বিরোধী তথা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই এই আন্দোলনকে নিছক ধর্মীয় আন্দোলন না বলে একে জমিদার মহাজন ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন বলাই শ্রেয়। -----------xx-------- ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর : ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী ? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ? দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন ?

চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব

 চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল? চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব Significance of Chuar Rebellion ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এই বিদ্রোহের ( চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব ) হল - চুয়াড় বিদ্রোহে জমিদার ও নিরক্ষর ছোঁয়ার কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়. এই বিদ্রোহের পর সরকার বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করে। এই বিদ্রোহের পর সরকার এই অঞ্চলে নিলামের মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নীতি ত্যাগ করে। --------------------xx---------------- চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর ঃ চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা করো । ( প্রশ্নের মান - ৮ ) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল ? ( প্রশ্নের মান - ৪ ) চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব উল্লেখ করো। ( প্রশ্নের মান - ২ )

নববিধান কী?

 নববিধান কী? নববিধান কী? কেশবচন্দ্র সেনের হিন্দু মতে নিজ কন্যার বিবাহ, রামকৃষ্ণ প্রীতি, খ্রিস্টপ্রীতি, চৈতন্য প্রীতি ইত্যাদি বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু, দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ তরুণ ব্রাহ্মরা ১৮৭৮ সালে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই পরিস্থিতিতে কেশবচন্দ্র সেন তার উদারপন্থী অনুগামীদের নিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শে নববিধান ঘোষণা করেন। কেশবচন্দ্র সেন-এর নেতৃত্বে নববিধানকে আদর্শ করে গড়ে ওঠা সংগঠনটি নববিধান   নামে পরিচিত। --------------xx------------- এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর ঃ কে, কবে, কেন 'নববিধান সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন ? 'ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ' কেন বিভক্ত হয় ? 'ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র ফল কী হয়েছিল ? ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র (সমাজ সংস্কার আন্দোলনের) ফলাফল কী হয়েছিল ?

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য

 এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল? পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে মিশনারিদের উদ্দেশ্য  ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল : খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটানো?  পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার ও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো।  বিভিন্ন প্রকার সামাজিক ও কুসংস্কার ও গোঁড়ামি দূর করা। ------------xx------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : ১) খ্রিস্টান মিশনারীরা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার চেয়েছিলেন কেন? ২) ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে খ্রিস্টান মিশনারিদের আগ্রহের কারণ কি ছিল? ৩) খ্রিস্টান মিশনারিরা কোন উদ্দেশ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছিলেন?

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো?

 আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো? আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝো? আত্মজীবনী : যে রচনায় লেখক তাঁর নিজের জীবনের ও সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং তা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন, তাকে আত্মজীবনী বলে।  যেমন,  সরলা দেবী চৌধুরানীর -  'জীবনের ঝরা পাতা'। স্মৃতিকথা : অতীতের কোন বিশেষ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কোন ব্যক্তি যদি পরবর্তীকালে তাঁর স্মৃতি থেকে প্রাপ্ত সেই ঘটনার অকপট বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন অথবা মৌখিকভাবে প্রকাশ করেন, তাহলে তাকে স্মৃতিকথা বলে।  যেমন,  দক্ষিণারঞ্জন বসুর -  'ছেড়ে আসা গ্রাম'। ---------xx------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : আত্মজীবনী বলতে কী বোঝো?  উদাহরণ দাও। স্মৃতি কথা বলতে কী বোঝো?  উদাহরণ দাও। এ বিষয়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কেন গুরুত্বপূর্ণ? বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী “সত্তর বছর” বছর কিভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে তা বিশ্লেষন কর। 

ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা

 আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা কী? ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায় সরকারের বিভিন্ন আদেশ উদ্যোগ পদক্ষেপ প্রতিবেদন প্রভৃতির নথিপত্র আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা গুলি হল - সরকারি নথিপত্রগুলো সরকারের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা হয়, জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষিত থাকে।  সরকারি নথিপত্র গুলিতে অনেক ক্ষেত্রে ভুল ও বিকৃত তথ্য থাকে। তাই এগুলো সমকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সরকারি নথিপত্রগুলো ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে রচিত হয় না। তাই ঐতিহাসিকদের তথ্য সংগ্রহের সময় সতর্ক থাকতে হয়। ----------------xx--------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো?  এর সীমাবদ্ধতা গুলি উল্লেখ করো। সরকারি নথিপত্র ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয় কেন?  ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের দুর্বলতা কোথায়? সরকারি নথিপত্র বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো ? আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদা

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে গুরুত্বপূর্ণ কেন? Why is 1911 important in the history of Indian nationalism? ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করা হয়। ইংল্যান্ডের রাজা জর্জ ১২ই ডিসেম্বর ১৯১১ সালে ঘোষণা করেন রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য রাজকীয় দরবার দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। মোহনবাগান হল প্রথম ভারতীয় দল হিসাবে বিদেশী দলের বিরুদ্ধে ১৯১১ সালে ফুটবলে জয় ছিনিয়ে আনে।  ---------------xx--------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন : ভারতের ইতিহাসে ১৯১১ সাল বিখ্যাত কেন? ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসে ১৯১১ সাল কীজন্য বিখ্যাত?

সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝায়?

'সরকারি নথিপত্র' বলতে কী বোঝায়? সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো What is meant by Government Documents? সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায় সরকারের বিভিন্ন আদেশ, উদ্যোগ, পদক্ষেপ, প্রতিবেদন প্রকৃতির নথিপত্র। যেমন, পুলিশ বিভাগের রিপোর্ট ও সরকারী চিঠিপত্র, গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট, বিভিন্ন তথ্য, সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন ও চিঠিপত্র, এসবকেই সরকারি নথিপত্র বলে অভিহিত করা হয়। আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এইসব সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। -----------------xx------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন : সরকারি নথিপত্র কী ? সরকারি নথিপত্রের উদাহরণ দাও। এ বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন : আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো । (প্রশ্নের মান -  ৪) সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো ? (তুমি এখন এই প্রশ্নের উত্তর  পড়ছো) ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতাকতটা?

ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী?

ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী? ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী? What is the reason for the failure of the Faraji Movement? ১৮২০ সালে ফরিদপুর জেলার বাহাদুরপুরের মৌলবি হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরাজী আন্দোলন শুরু করেন। ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও এটা ছিল মূলত কৃষক আন্দোল।  বিভিন্ন কারণে এই আন্দোলন ব্যর্থ হয় : দুদুমিয়াঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র নোয়া মিয়া ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করে ইসলামের শুদ্ধিকরণ আরম্ভ করায় হিন্দুরা এর থেকে সরে যায় । এই আন্দোলন শুধুমাত্র বাংলায় সীমাবদ্ধ ছিল? সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েনি। কোম্পানির সরকার, জমিদার, নীলকর সাহেব, মহাজনদের মিলিত জোটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অসফল হন। ------------xx------------ ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন :   ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ?   দার উল হারব এবং দারুল ইসলাম কথার অর্থ কি ? দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন ? ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী? (তুমি এখন এখানে আছো)

মহারাণির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রকৃত উদ্দেশ্য

মহারাণির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল? মহারাণির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রকৃত উদ্দেশ্য What was the real purpose of the Queen's Proclamation -1858? ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে মহারানির ঘোষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল : কোম্পানির অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটিশ রাজশক্তি কর্তৃক ভারতের প্রত্যক্ষ শাসনভার গ্রহণ করা।  ব্রিটিশ সরকারের নতুন নীতি ও আদর্শের সঙ্গে ভারতবাসীর যোগসাধন ঘটানো। মহাবিদ্রোহের মত কোন ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহ যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তা নিশ্চিত করা। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের নিরাপত্তা বিধান করা এবং তাকে দীর্ঘস্থায়ী করার ব্যবস্থা করা। ----------------xx----------------- এ বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন : মহারানীর ঘোষণপত্রের মূল উদ্দেশ্য কী ছিলো ? (প্রশ্নের মান -  ২) মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল বক্তব্য কী ছিল ? (প্রশ্নের মান -  ২) মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী ? (প্রশ্নের মান -  ৪)

জমিদারসভা ও ভারতসভার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো

জমিদারসভা ও ভারতসভার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো জমিদারসভা ও ভারতসভার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো Write two differences between Zamindar Sabha and Bharat Sabha জমিদার সভা ও ভারতসভার পার্থক্য ক্রমিক সংখ্যা  জমিদার সভা  ভারত সভা ১) মূল উদ্দেশ্য ছিল জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা।  মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের জনগণকে বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শামিল করা ২) দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে ও রাজা রাধা কান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।  সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দমোহন বসু প্রমুখদের দ্বারা ভারত সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।  --------------xx------------- এ বিষয়ে আরও কিছু প্রশ্ন : জমিদারসভা ও ভারতসভার পার্থক্য নির্ণয় করো ।

মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন?

ড. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন? ড. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন? Why is Dr. Mahendralal Sarkar memorable? ড: মহেন্দ্রলাল সরকার (১৮৩৩-১৯০৪ খ্রিঃ) ছিলেন ভারতের একাধারে একজন খ্যাতনামা এলোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। বাংলা তথা ভারতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা চর্চার ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ভারতের দ্বিতীয় MD ডিগ্রী অর্জনকারী চিকিৎসক এবং প্রথম খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন তিনি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে IACS (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স) প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে তাঁর দৃঢ় চিত্ততায় ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও চর্চার পথ সুগম হয়। ---------xx--------- এ বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সমূহ : বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকারস্মরণীয় কেন ? (প্রশ্নের মান - ৪) বাংলা তথা ভারতেরআধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতিতে মহেন্দ্রলাল সরকারেরভূমিকা বিশ্লেষণ করো । (প্রশ্নের মান - ৮)

বাংলার সংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার প্রভাব

বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার বিকাশের প্রভাব কতটা? বাংলার সংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার প্রভাব The influence of the printing press on the cultural life of Bengal বাংলার সংস্কৃতিক জীবনের ছাপাখানার বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। ছাপখানার বিকাশের ফলে বাংলা ভাষায় প্রচুর বই ছাপা হতে থাকে। ফলে, বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে র পথ মসৃণ হয়। ছাপাখানার বিকাশের ফলে সংবাদপত্র ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার দ্বারা জনগণ দেশবিদেশের বিভিন্ন সংবাদের সাথে পরিচিত লাভ করে।  ফলে, তাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। ------------xx-------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : বাংলার সংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার প্রভাব সংক্ষেপে লেখো। বাংলার সংস্কৃতিক জীবনের বিকাশে ছাপাখানার গুরুত্ব কী ছিল? এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনস-এর ভূমিকা ছাপাখানা বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যের ভূমিকা ছাপাখানা বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে কীরূপ পরিবর্তন এনেছিল ? বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে জেমস অগাষ্টস হিকির অবদান ভারতের ইতিহাসে অগাষ

আল্লুরি সীতারাম রাজু কে ছিলেন?

আল্লুরি সীতারাম রাজু কে ছিলেন? আল্লুরি সীতারাম রাজু কে ছিলেন? Who was Alluri Sitaram Raju? আল্লুরি সীতারাম রাজু ছিলেন রম্পা বিদ্রোহের নেতা। ৪ জুলাই ১৮৯৭ সালে জন্ম নেন এবং ৭ই মে ১৯২৪ পরলোক গমন করেন। তাঁর অন্য নাম ছিল রামচন্দ্র রাজু।  তিনি একজন ভারতীয় বিপ্লবী, যিনি অরণ্যের উপর আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ বিরোধী কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তিনি 'মান্যম বীরুদ উপাধি পান। যার অর্থ 'অরণ্যের বীর'। ---------xx--------- এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : রামচন্দ্র রাজু কে ছিলেন? কাকে কেন অরণ্যের বীর বলা হয়? অসহযোগ আন্দোলন পর্বে দক্ষিণ ভারতের একটি আদিবাসী বিদ্রোহের নাম লেখ।  এই বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?  রম্পা বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন? তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা কী?

'মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা'টি কী? মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা কী? What is Meerut Conspiracy Case? ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টির ৩৩ জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা  সদস্য মুজাফফর আহমেদ, এসএ ডালো, মিরাজ কর, পি.সি যোশি, গঙ্গাধর অধিকারী প্রমুখ। মূলত, কমিউনিষ্ট আন্দোলনকে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই মামলা শুরু করা হয়। ----------------xx------------- এ বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন : কত সালে, কাদের বিরুদ্ধে, কেন মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হয়?  মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার কয়েকজন অভিযুক্তের নাম লেখ। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার উদ্দেশ্য কি ছিল?

দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?

দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? Why was the Dipali Sangha established? ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় দীপালি সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য ছিল : মেয়েদের শিক্ষিত, আত্মসচেতন, স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা ও  অন্য দিকে স্বদেশ প্রেম ও বৈপ্লবিক চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটানো।  মূলত উপরোক্ত উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ১৯২৩ সালে ঢাকায় লীলা (নাগ) রায় দিপালী সংঘ গড়ে তোলেন। উল্লেখ্য প্রথম দিকে এই সংগঠনের সঙ্গে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার যুক্ত ছিলেন। -----------xx------------ বিকল্প প্রশ্ন সমূহ : কে, কি উদ্দেশ্যে দিপালী সংঘ গড়ে তোলেন?  কে, কত সালে কোথায় দিপালী সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন?   দিপালী সংঘ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কি ছিল ?

গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় কেন?

 গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? Why is Guru Chand Tagore memorable? হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুর উত্তরাধিকার সূত্রে ধর্মগুরুর পদ লাভ করে। নমঃশূদ্রদের রাজনৈতিকভাবে, সংগঠিত করেন।  এজন্য তিনি নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলেন। এছাড়া নমঃশূদ্রের রাজনৈতিক ও সামজিক উন্নতির জন্য গড়ে ওঠে 'নিখিল বঙ্গ নমঃশূদ্র সমিতি ও বেঙ্গাল নমঃশূদ্র অ্যাসোসিয়েশন', 'বেঙ্গাল ডিপ্রেসড ক্লাসেস অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি গড়ে তোলেন।  তাঁর আন্দোলনের ফলেই  ১৯১৯ সালের আদমশুমারিতে নমঃশূদ্র আইনটি স্বীকৃত হয় ও নমঃশূদ্র নাম ও আইনি স্বীকৃতি পায়।  তাঁর উদ্যোগে ৩৯৫২টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।  মেয়েদের ধাত্রীবিদ্যা ও নার্সিং ট্রেনিং দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়। মূলত এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ এবং রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় হয়ে আছেন।

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।