উনিশ শতকের বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে রামমোহন রায়ের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার অনুরাগী ছিলেন। বিজ্ঞান, রাষ্ট্রনীতি, গণিত, অর্থনীতি, পাশ্চাত্য আইন বিভিন্ন বিষয়ে ভারতীয়দের সামিল করতে চেয়েছিলেন। ১) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রামমোহন কলকাতায় অ্যাংলো হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠার সময়ে বিশেষভাবে সাহায্য করেন। পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি তাঁর নিজ একটি বাড়ি দান করতে প্রস্তুত ছিলেন। ২) ১৮১৩ খ্রিঃ সনদ আইনে সরকার যে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে তা যাতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের জন্য ব্যয় করা হয়, সেই জন্য ১৮২৩ খ্রিঃ লর্ড আমহার্স্টকে তিনি পত্র লেখেন। ৩) শিক্ষার্থীদের মন থেকে কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে পাশ্চাত্য সমাজ বিজ্ঞান ও পদার্থবিদ্যা শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে ১৮২৬ খ্রিঃ বেদান্ত কলেজ স্থাপন করেন। ৪) ১৮৩০ খ্রিঃ জেনারেল অ্যাসেমব্রিজ ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠায় ডাফকে এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে ডেভিড হেয়ারকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। ---------xx--------- 👉 সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনে রামমোহন রায় ।
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...