বাঙালির বিজ্ঞানচর্চাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু তাঁদের অন্যতম। এই লক্ষ্যে ১৯১৭ সালে তাঁর তৈরি বসু বিজ্ঞান মন্দির বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছে। বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : ইংল্যান্ডের রয়েল সোসাইটির অনুকরণে জগদীশচন্দ্র বসু ভারতে একটি বিজ্ঞান গবেষণাগার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য হল বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও জ্ঞানের প্রসার ঘটানো। তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ আবিষ্কার: জগদীশচন্দ্র বসুর একটি অবিস্মরণীয় কাজ হলো বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ , যা বেতার তরঙ্গ নামে পরিচিত, আবিষ্কার। এই তরঙ্গ এক ঘর থেকে অন্য ঘরে পাঠানোর যন্ত্রও তাঁর আবিষ্কার। এই গবেষণার জন্য তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অফ সাইন্স উপাধি লাভ করেন। উদ্ভিদের প্রাণের অস্তিত্ব প্রমাণ : তিনিই বিশ্বে প্রথম প্রমাণ করেছিলেন যে গাছের চেতনা আছে, সে কষ্ট বা যন্ত্রণা পায়। বৈজ্ঞানিক যন্ত্র আবিষ্কার : উদ্ভিদের উত্তেজনার বেগ মাপার যন্ত্র 'রিজোনাস্ট রেকর্ডার' , উদ্ভিদের বৃদ্ধি মাপার যন্ত্র '...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...