ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কেন গুরুত্বপূর্ণ? বর্তমান সময়ে ইতিহাস লেখার জন্য বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করতে হয় তার মধ্যে লিখিত অবদান হল গুরত্বপূর্ন । লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে- 1.আত্মজীবনী 2. স্মৃতিকথা এই দুটি থেকে বহু তথ্য পাওয়া যায় । তাই তৎকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাগুলিও হল এক ধরনের সাহিত্য। লেখক তার চোখে দেখা বিভিন্ন ঘটনা ও নিজের অভিজ্ঞতার কথা এই জীবনীগ্রন্থে প্রকাশ করেন। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা গুরুত্বঃ- প্রথমত , সাধারণ মানুষের কথা, লেখক এর পারিপার্শিক পরিবেশ, কোন কোন ঘটনার বিবরণী প্রভৃতি ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তথ্যের জোগান দেয়। দ্বিতীয়ত , রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্নধর্মী ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। তৃতীয়ত, স্থানীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই উপাদান সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চতুর্থত, বৃহত্তম বা জাতীয় ইতিহাসের বহু উপেক্ষিত বিষয়ের উপর আলোকপাত করে। সীমাবদ্ধতাঃ- যদিও এ প্রসঙ্গে বলতে হয় যেহেতু স্মৃতিকথা লেখক স্মৃতিপট থেকে সংগ্রহ করে আনেন তাই অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে। ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের...