ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বর্তমান সময়ে ইতিহাস লেখার জন্য বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করতে হয় তার মধ্যে লিখিত অবদান হল গুরত্বপূর্ন । লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে- 1.আত্মজীবনী
2. স্মৃতিকথা
এই দুটি থেকে বহু তথ্য পাওয়া যায় । তাই তৎকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাগুলিও হল এক ধরনের সাহিত্য। লেখক তার চোখে দেখা বিভিন্ন ঘটনা ও নিজের অভিজ্ঞতার কথা এই জীবনীগ্রন্থে প্রকাশ করেন।
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা গুরুত্বঃ-
প্রথমত, সাধারণ মানুষের কথা, লেখক এর পারিপার্শিক পরিবেশ, কোন কোন ঘটনার বিবরণী প্রভৃতি ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তথ্যের জোগান দেয়।
দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্নধর্মী ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, স্থানীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই উপাদান সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চতুর্থত, বৃহত্তম বা জাতীয় ইতিহাসের বহু উপেক্ষিত বিষয়ের উপর আলোকপাত করে।
সীমাবদ্ধতাঃ- যদিও এ প্রসঙ্গে বলতে হয় যেহেতু স্মৃতিকথা লেখক স্মৃতিপট থেকে সংগ্রহ করে আনেন তাই অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত ঘটনা এবং স্মৃতিকথায় বর্ণিত ঘটনায় অসংগতি বা অতিরঞ্জিত ব্যাপার চোখে পড়ে।
মূল্যায়ন
তবে সতর্কভাবে অন্যান্য তথ্যের দ্বারা যাচাই করে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার বিভিন্ন ঘটনাবলী ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ব্যবহার করলে একটি সুষ্ঠু ইতিহাস রচনা করা সম্ভব হবে বলে ঐতিহাসিক এবং গবেষকেরা মনে করেন। এদিক দিয়ে বিচার করলে আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন