জমিদার সভার দুটি সীমাবদ্ধতা লেখ। ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠনের নাম হল জমিদার সভা বা ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি । জমিদার সভার ঘোষণাপত্রে বলা হয় যে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতের মাটির সঙ্গে শর্তযুক্ত সকল মানুষই এই প্রতিষ্ঠান সদস্য হতে পারে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহক সমিতির সকল সদস্য ছিলেন প্রতিষ্ঠান জমিদার। জমিদার সভার দুটি সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো : ১) সবার জন্য এই প্রতিষ্ঠান খাতায়-কলমে উন্মুক্ত থাকলেও সাধারণ মানুষ এই সভার সদস্য হবার বিশেষ সুযোগ পেতেন না। ২) দাবি আদায়ের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের স্বার্থের চেয়ে জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ------------------x------------------ বিকল্প প্রশ্ন : ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটির সীমাবদ্ধতা কী ছিল?
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...