রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জমিদার সভা :
ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠনের নাম হল 'জমিদার সভা' বা 'ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি'। দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, রাজা রাধকান্ত দেবের সভাপতিত্বে এবং প্রসন্নকুমার ঠাকুরের সম্পাদনায় ১৮৩৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রধান উদ্দেশ্য :
এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল: ১) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা, ২) ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে জমিদারদের স্বপক্ষে আনা, ৩) ভারতের সর্বোচ্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানো, ৪) পুলিশ বিচার ও রাজস্ব বিভাগের সংস্কার সাধন করা।সদস্যমণ্ডলী :
এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন রামকমল সেন,ভবনীচরণ মিত্র প্রমুখ। বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্ত ব্রিটিশরা এই সবার সদস্য হতে পারলেও সাধারণ মানুষের সেই সুযোগ ছিলো না।
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ :
একটি বড়ো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের মাধ্যমে ভারতীয়দের অভাব-অভিযোগ ব্রিটিশ সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়ে তার সমাধান করার উদ্দেশ্যে ১৮৫১ সালে লন্ডনের 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি'র সাথে যুক্ত হয়ে 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েশন' গড়ে তোলেন।
গুরুত্ব বা তাৎপর্য :
জমিদার সভার আবেদনের ভিত্তিতে সরকার ১০ বিঘা পর্যন্ত ব্রহ্মোত্তর জমির খাজনা করে। এই সংগঠন দীর্ঘস্থায়ী না হলেও ভারতে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারার সূচনা করে। ডক্টর রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাই জমিদার সভাকে ভারতের স্বাধীনতার অগ্রদূত বলে অভিহিত করেছেন।
------------------------------
বিকল্প প্রশ্ন :
১) ভারতের প্রথম বড়ো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জমিদার সভার গুরুত্ব বা তাৎপর্য নির্ণয় করো।
২) কারা কী উদ্দেশ্যে ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন? রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে এর গুরুত্ব আলোচনা করো।
অন্যান্য প্রশ্ন :
প্রশ্নের মান - ২ (দুই-তিন বাক্যে উত্তর) :
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন