গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? Why is Guru Chand Tagore memorable? হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুর উত্তরাধিকার সূত্রে ধর্মগুরুর পদ লাভ করে। নমঃশূদ্রদের রাজনৈতিকভাবে, সংগঠিত করেন। এজন্য তিনি নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলেন। এছাড়া নমঃশূদ্রের রাজনৈতিক ও সামজিক উন্নতির জন্য গড়ে ওঠে 'নিখিল বঙ্গ নমঃশূদ্র সমিতি ও বেঙ্গাল নমঃশূদ্র অ্যাসোসিয়েশন', 'বেঙ্গাল ডিপ্রেসড ক্লাসেস অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি গড়ে তোলেন। তাঁর আন্দোলনের ফলেই ১৯১৯ সালের আদমশুমারিতে নমঃশূদ্র আইনটি স্বীকৃত হয় ও নমঃশূদ্র নাম ও আইনি স্বীকৃতি পায়। তাঁর উদ্যোগে ৩৯৫২টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। মেয়েদের ধাত্রীবিদ্যা ও নার্সিং ট্রেনিং দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়। মূলত এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ এবং রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুর স্মরণীয় হয়ে আছেন।
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...