সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রশ্নের মান - ২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আনন্দমঠ উপন্যাসে সন্তানদলের মূল লক্ষ্য কী ছিল?

অনন্দমঠ উপন্যাসে সন্তানদলের মূল লক্ষ্য আঠারো শতকের বাংলার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের ' আনন্দমঠ' উপন্যাস ও  সন্তানদলের উচ্চারিত  'বন্দেমাতরাম মন্ত্র'  জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে গভীরভাবে উদ্দীপ্ত করেছিল। সন্তানদলের মূল লক্ষ্য : সাম্রাজ্যবাদী শাসনে বাংলার মানুষ যখন শোষিত, অর্থনৈতিক অবস্থা মুহ্যমান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন যখন দিশাহীন তখন মুক্তির পথ দেখানোর চেষ্টা করেন এই উপন্যাসের সন্তানদল নামে একটি সন্ন্যাসী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর সদস্য ভবানন্দ, জীবানন্দ, সত্যানন্দ সকলেই দেশকে 'মা' বলে অভিহিত করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন  ইংরেজদের অধীনে থেকে নিষ্কন্টক ধর্মাচরণ বা জ্ঞানলাভ নয়, পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনই তাদের মূল লক্ষ্য। গুরুত্ব : এই লক্ষ্য পূরণে সন্তানদলের সদস্য সত্যানন্দ  এই গ্রন্থে দেশমাতৃকার  অতীত ( মা যা ছিলেন ), বর্তমান ( মা যা হয়েছেন ) ও ভবিষ্যত ( মা যা হবেন ) এই তিনটি রূপ তুলে ধরে  স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্য -   'আমরা অন্য মা মানি না .... জন্মভূমিই জননী'  এবং 

আনন্দমঠ উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল?

অনন্দমঠ উপন্যাসে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা : আঠারো শতকের বাংলার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের ' আনন্দমঠ' উপন্যাসটি  জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে গভীরভাবে উদ্দীপ্ত করেছিল। ১) আনন্দমঠ-এর সন্তানদলের উচ্চারিত  'বন্দেমাতরাম মন্ত্র'  দেশবাসীকে মুক্তি আন্দোলনে যোগ দিতে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।  যদু ভট্ট  সুরারোপিত এই গান ক্রমে বিপ্লবীদের কাছে  জাতীয় সংগীতে পরিণত  হয়। ২) এই গ্রন্থে দেশমাতৃকার  অতীত ( মা যা ছিলেন ), বর্তমান ( মা যা হয়েছেন ) ও ভবিষ্যত ( মা যা হবেন ) মূর্তিগুলি তুলে ধরে  বঙ্কিমচন্দ্র স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। ৩) আনন্দমঠ-এর সন্তানদলের সদস্য  সত্যানন্দের বক্তব্য ,  'আমরা অন্য মা মানি না .... জন্মভূমিই জননী' এবং  'দেশমাতা হলেন মা, দেশপ্রেম হল ধর্ম, এবং দেশসেবা হল পূজা' - ভারতের শিক্ষিত যুব সমাজকে, বিশেষ করে, কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দের একাংশকে অনুপ্রাণিত করে। এইভাবে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসটি সংগ্রামী জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার প্রচারে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। এই কারণে অনন্দমঠকে 

জমিদার সভার ( ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি) উদ্দেশ্য কি ছিল?

জমিদার সভার ( ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি) উদ্দেশ্য : ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠনের নাম হল ' জমিদার সভা' বা ' ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি' । উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য : ১৮৩৮ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজা রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে  প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:  ১) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা,  ২) ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে জমিদারদের স্বপক্ষে আনা,  ৩) ভারতের সর্বোচ্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানো,  ৪) পুলিশ বিচার ও রাজস্ব বিভাগের সংস্কার সাধন করা। গুরুত্ব বা তাৎপর্য : জমিদার সভার আবেদনের ভিত্তিতে সরকার ১০ বিঘা পর্যন্ত ব্রহ্মোত্তর জমির খাজনা করে। এই সংগঠন দীর্ঘস্থায়ী না হলেও ভারতে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারার সূচনা করে। ডক্টর রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাই জমিদার সভা কে ভারতের স্বাধীনতার অগ্রদূত বলে অভিহিত করেছেন। --------------------------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) জমিদার সভার উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব উল্লেখ করো। ২) কারা কী উদ্দেশ্যে ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন? ৩) জমিদার সভার প্রধান লক্ষ্য কী ছিল? লক্ষ্য ক

ভারতমাতা চিত্রটির তাৎপর্য কী?

ভারতমাতা চিত্রটির তাৎপর্য : ভারতমাতা চিত্রটি শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অসামান্য সৃষ্টি। হিন্দুদের ধনসম্পদের অধিকারিণী দেবী লক্ষীর অনুকরণে চতুর্ভুজা এই চিত্রটি ভগিনী নিবেদিতা ভারত-মাতা নামে অভিহিত করেন। এই চিত্রে দেখা যাচ্ছে ভারতমাতার পরনে গৈরিক বস্ত্র, চার হতে যথাক্রমে ধানের শিস,শ্বেতবস্ত্র,পুথি বা পুস্তক অর্থাৎ বেদ এবং জপের মালা। গৈরিক বসন ও চার হাতে ধরা চারটি বিষয় সম্বলিত চিত্রটি সর্বার্থে ভারত মায়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যে তাঁর সন্তানদের চার হাত দিয়ে আগলে রেখেছেন। এই চিত্র ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টি করে। বিকল্প প্রশ্ন : ভারতমাতা চিত্রটি কার আঁকা? এই চিত্রটি শিল্পী কাকে অনুকরণ করে এঁকেছিলেন  এবং কে এই নাম করণ করেছিলেন? ভারতমাতা চিত্রটির গুরুত্ব লেখ।  অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতমাতা চিত্রের বৈশিষ্ট্য কী? এই চিত্রটি ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টিতে কীভাবে কতটা সাহায্য করেছে?  (প্রশ্নের মান - ৪) ভারতমাতা চিত্রটি ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টিতে কীভাবে কতটা সাহায্য করেছে?   (প্রশ্নের মান - ৪) 'ভারতমাতা' চিত্রটি কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী

ডেভিড হেয়ার স্মরণীয় কেন?

উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মূলত তারই উদ্যোগে ১৮১৭ সালে 'ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি' গড়ে ওঠে, পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে সহায়তা করার জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা, প্রকাশ ও বিতরণের উদ্দেশ্যে তিনি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁরই সক্রিয় উদ্যোগে ১৮১৭ সালে গড়ে ওঠে হিন্দু কলেজ, ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন 'পটলডাঙ্গা একাডেমি' যা বর্তমানে 'হেয়ার স্কুল' নামে পরিচিত। তাঁর উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় সিমলা স্কুল ও আরপুলি স্কুল নামে আরও দুটি স্কুল।  নারীশিক্ষার প্রসারেও তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নেন। কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য তিনি এদেশীয় ছাত্রদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেন। এইভাবে বাংলা তথা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে তার সর্বস্ব ত্যাগ করে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। বিকল্প প্রশ্ন : ১) বাংলায় শিক্ষা সংস্কারের ইতিহাসে ডেভিড হেয়ার কী কারণে খ্যাতি লাভ করে আছেন? (পূর্ণমান - ৪ ) ২) উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা কী ছিল? (পূর্ণমান - ৪ ) 📗 পূর্ণমান ৪-এর (৪ নং প্রশ্নের) উত্

ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি কে কী উদ্দেশ্যে গড়ে তোলেন? বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে তারা কীভাবে অবদান রেখেছে?

উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মূলত তারই উদ্যোগে ১৮১৭ সালে 'ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি' গড়ে ওঠে। পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে সহায়তা করার জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা, প্রকাশ ও বিতরণের উদ্দেশ্যে তিনি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শিক্ষার প্রসারের জন্য কম খরচে অথবা বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের বিতরনের জন্য এই প্রতিষ্ঠান প্রচুর পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে। এই প্রস্তাব প্রকাশের দায়িত্ব পায় ' শ্রীরামপুর মিশন প্রেস' সহ একাধিক প্রেস। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হিন্দুস্থানী প্রেস, পার্শিয়ান প্রেস, সংস্কৃত প্রেস ইত্যাদি। এইভাবে পাঠ্যপুস্তক রচনার বরাত দিয়ে উৎসাহিত করে বাংলায় ছাপাখানার বিস্তার ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এই সংস্থাটি। বিকল্প প্রশ্ন : 📗📗 বাংলায় ছাপাখানার বিস্তার ও বিকাশে 'স্কুল বুক সোসাইটি'র ভূমিকা কী ছিল? ডেভিড হেয়ার সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন পেতে এখানে ক্লিক করো । এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : হ্যালহেডের 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর

কারা 'শ্রীরামপুর ত্রয়ী' নামে পরিচিত এবং কেন?

বাংলার হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে ১৮০০ সালে একটি ছাপাখানা গড়ে ওঠে। নাম 'শ্রীরামপুর মিশন প্রেস'। এই প্রেসটি গড়ে তোলেন উইলিয়াম কেরি, উইলিয়াম ওয়ার্ড এবং জোসুয়া মার্শম্যান নামে তিনজন মিশনারি। বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে এঁরা 'শ্রীরামপুর ত্রয়ী' নামে পরিচিত। বাংলা ১৯ শতকে ছাপাখানা তথা মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল 'শ্রীরামপুর মিশন প্রেস'। আর এই প্রেস গড়ে তুলতে এই তিনজন মিশনারির গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তাঁদের সমবেত চেষ্টায় এই ছাপাখানায় ১৮৩২ সালের মধ্যে দু'লক্ষ ১২ হাজার গ্রন্থ ছাপা হয়েছিল। ছাপাখানার ইতিহাসে তিনজনের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতেই এদেরকে 'শ্রীরামপুর ত্রয়ী' নামে অভিহিত করা হয়। বিকল্প প্রশ্ন : ১) বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে উইলিয়াম কেরি, উইলিয়াম ওয়ার্ড এবং জোসুয়া মার্শম্যান নামে তিনজন মিশনারির অবদান নির্ণয় করো। (পূর্ণমান - ৮) বিশেষ দ্রষ্টব্য :

বাংলায় মুদ্রণশিল্পের জনক'

কাকে, কেন 'বাংলা মুদ্রণশিল্পের জনক' বলা হয়? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা চার্লস উইলকিন্স 'বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক' নামে পরিচিত। চার্লস উইলকিন্স 1778 সালে হুগলির চুঁচুড়ায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানায় তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের টাইপ বা নকশা তৈরি করেন। এবং বাংলা ভাষায় বই প্রকাশ শুরু করেন। এই কারণে তাকে 'বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক' বলা হয়।

কাকে কেন ছাপাখানার জনক বলা হয়?

কাকে কেন ছাপাখানার জনক বলা হয়? আনুমানিক ৮৬৮ সালে চীনে প্রথম মুদ্রণ শিল্পের উদ্ভব ঘটে। পরবর্তীকালে আরবদের হাত ধরে তা ইউরোপে প্রবেশ করে। এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে ১৪৫৪ সালে জার্মানির জোহানেস গুটেনবার্গ আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। ফলে ছাপাখানার জগতে বিপ্লব ঘটে যায়। আর এই জন্য জোহানেস গুটেনবার্গকে ছাপাখানার জনক বলা হয়। বিকল্প প্রশ্ন : কে কতসালে আধুনিক মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করেন? এর ফলাফল কী হয়েছিল?

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন?

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র : 'খল ব্রহ্মণ'  গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? বাংলা চিত্রশিল্প ও কার্টুন শিল্পের (ব্যঙ্গচিত্র) ক্ষেত্রে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর অঙ্কিত  'খল ব্রাহ্মণ',   ' প্রচন্ড মমতায়',   'জাঁতাসুর' প্রভৃতি   ব্যঙ্গচিত্র সে সময় বাঙালিদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। রসিক বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রের রসাস্বাদনের  সাথে সাথে ঔপনিবেশিক সমাজব্যবস্থার কুফল সম্বন্ধে সচেতন এবং জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এটাই তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের তাৎপর্য এবং এ কারণেই তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।  ---------------------------- বিকল্প প্রশ্ন : চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র উপনিবেশ বিরোধী জাতীয় চেতনা সৃষ্টিতে কীভাবে কতটা প্রভাব ফেলেছিল? জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রের ভূমিকা / তাৎপর্য / গুরুত্ব লেখ।  অন্যান্য প্রশ্ন :  ১)   গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছেন ? ✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏ এই বিভাগের (সংক্ষিপ্ত

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।