সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন?

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র : 'খল ব্রহ্মণ'  গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? বাংলা চিত্রশিল্প ও কার্টুন শিল্পের (ব্যঙ্গচিত্র) ক্ষেত্রে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর অঙ্কিত  'খল ব্রাহ্মণ',   ' প্রচন্ড মমতায়',   'জাঁতাসুর' প্রভৃতি   ব্যঙ্গচিত্র সে সময় বাঙালিদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। রসিক বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রের রসাস্বাদনের  সাথে সাথে ঔপনিবেশিক সমাজব্যবস্থার কুফল সম্বন্ধে সচেতন এবং জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এটাই তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের তাৎপর্য এবং এ কারণেই তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।  ---------------------------- বিকল্প প্রশ্ন : চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র উপনিবেশ বিরোধী জাতীয় চেতনা সৃষ্টিতে কীভাবে কতটা প্রভাব ফেলেছিল? জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রের ভূমিকা / তাৎপর্য / গুরুত্ব লেখ।  অন্যান্য প্রশ্ন :  ১)   গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছেন ? ✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏✏ এই বিভাগের (সংক্ষিপ্ত

ভারতমাতা চিত্রের বৈশিষ্ট্য কী? এই চিত্রটি ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টিতে কীভাবে কতটা সাহায্য করেছে?

'ভারতমাতা' চিত্রের বৈশিষ্ট্য কী? ভারতমাতা চিত্রটি শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অসামান্য সৃষ্টি। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি 'বঙ্গমাতা' নামে এই চিত্রটি অংকন করেছিলেন। হিন্দুদের ধনসম্পদের অধিকারিণী দেবী লক্ষীর অনুকরণে চতুর্ভুজা এই চিত্রটি ভগিনী নিবেদিতা  ভারত-মাতা নামে অভিহিত করেন। এই চিত্রটির বৈশিষ্ট্য (তাৎপর্য) হল, ভারতমাতার পরনে গৈরিক বস্ত্র, যা ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতির ধারণাকে প্রকাশ করে।  তাঁর এক হাতে শস্য অর্থাৎ ধানের শিষ, যা তাঁর সন্তানের জন্য অন্ন সংস্থানের বার্তা প্রকাশ করে।  তাঁর দ্বিতীয় হাতে শ্বেতবস্ত্র। এটা সন্তানের জন্য মাযের পরিধান যোগানোর ইঙ্গিত করে।  তাঁর তৃতীয় হাতে পুথি বা পুস্তক অর্থাৎ বেদ। শিক্ষা দানের নিশ্চয়তা বিধান করছেন ।  চতুর্থ হাতে জপের মালা। দীক্ষা দানের নিশ্চয়তা বিধান করছেন। এভাবে এই চিত্রটি হয়ে উঠেছে সর্বার্থে ভারত মায়ের প্রতীক যে তাঁর সন্তানদের চার হাত দিয়ে আগলে রেখেছেন। এই চিত্র ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টি করে।  বিকল্প প্রশ্ন : ভারতমাতা চিত্রটি ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টিতে কীভাবে কতটা স

গোরা উপন্যাসের গোরা পল্লিগ্রামের সমাজে কীরূপ ত্রুটি লক্ষ্য করেছেন?

'গোরা' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হল গৌরমোহন বা সংক্ষেপে গোরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী উপন্যাসের এই মানুষটি কলকাতার নিকটবর্তী গ্রামগুলি ঘুরে ভারতের সত্যিকারের রূপটি প্রত্যক্ষ করে। গোরা উপলব্ধি করে শহরের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের চেয়ে পল্লীগ্রামের সামাজিক বন্ধন অনেক বেশি শক্ত। তবে, এই সমাজ ..  প্রয়োজনে মানুষকে সহায়তা করে না। বিপদের সময় ভরসা দেয় না  এই সমাজের সামাজিক আচার বিচার মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। গোরা এরূপ সমাজের ওপর তীব্র আঘাত হেনেছেন। 

মঙ্গল পান্ডে স্মরণীয় কেন?

মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন : ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ব্যারাকপুর সেনানিবাসের ৩৪ নং নেটিভ ইনফ্যানট্রির সিপাহি ছিলেন মঙ্গল পান্ডে। মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহ : এনফিল্ড রাইফেল হল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একধরণের বন্দুক। এই বন্দুকের টোটার খোলসটি দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হয়। গুজব ছড়ায়, এই টোটায় হিন্দু ও মুসলিম সিপাহিদের ধর্ম নষ্ট করার জন্য গরু ও শূকরের চর্বি মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে উভয় ধর্মের সিপাহিরা এই বন্দুক ব্যবহার করতে অস্বীকার করে। মহাবিদ্রোহের বিদ্রোহের প্রথম শহীদ :  ব্রিটিশ সরকার জোরাজুরি করলে ১৮৫৭ ২৯ মার্চ মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়।  এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা ভারতের বিভিন্ন সেনানিবাসে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় মহাবিদ্রোহ। তিনিই হলেন এই মহাবিদ্রোহের বিদ্রোহের প্রথম শহীদ। 

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহকে 'প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ' বলে অভিহিত করেন কে এবং কেন?

বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকর ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহকে 'ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম' বলে অভিহিত করেন।  তাঁর যুক্তি ছিল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে এত ব্যাপক ইংরেজ-বিরোধী আন্দোলন আর হয় নি। তাই একে 'ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম' বলা যায়।  অধ্যাপক সুশোভন সরকার, অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখও এই অভিমত সমর্থন করেন। 

মহারানীর ঘোষণপত্রের মূল উদ্দেশ্য কী ছিলো?

মহারানীর ঘোষণপত্রের মূল উদ্দেশ্য : ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহ দমনের উদ্দেশ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কঠোর দমননীতি গ্রহণ করে। ফলে মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হলেও এই বিদ্রোহ ভারতীয়দের ক্ষুব্ধ করে এবং ব্রিটিশ শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১) ভারতীয়দের ক্ষোভ প্রশমন করে ২) ব্রিটিশ শাসনকে পুনরায় দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য 'ভারত শাসন আইন' পাস করে। এই আইনকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাগু করে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নিজ হাতে শাসনভার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত এই উদ্দেশ্যেই মহারানীর ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়। ------------------- বিকল্প প্রশ্ন : মহারানীর ঘোষণপত্র জারী করা হয় কেন? ভারত শাসন আইন (১৮৫৮) কেন পাস করা হয় এবিষয়ে আরও প্রশ্নোত্তর : ১)  মহারানীর ঘোষণপত্রের মূলকথা কী ছিলো ? ২)  মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী ? ৩)  মহারাণির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল ?

মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল বক্তব্য কী ছিল?

মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল মূলকথা 'মহারানীর ঘোষণাপত্র : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পর ১৪৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটান। নিজের হাতে তুলে নেন ভারতের শাসনভার। তার প্রতিনিধিরূপে প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং আনুষ্ঠানিকভাবে এলাহাবাদে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন  'মহারানীর ঘোষণাপত্র'  নামে।   ঘোষণাপত্রের মূল বক্তব্য: মহারানীর ঘোষণাপত্রে বলা হয় যে--- [1] ভারতবর্ষের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার কোন রকম হস্তক্ষেপ করবেন না। [2] জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতবাসী সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবে। [3] স্বত্ববিলোপ নীতি প্রত্যাহার করা হবে এবং দেশীয় রাজারা দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবেন। [4] ব্রিটিশ সরকার ভারতে আর সাম্রাজ্য বিস্তারের আগ্রহী নয়। [5] দেশীয় রাজাদের আশ্বস্ত করে ঘোষণা হয় যে, কোম্পানির সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলা হবে। ----------------------- বিকল্প প্রশ্ন : মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল তাৎপর্য কী ছিল?  (৪ নম্বরের জন্য) মহারানীর ঘোষণা বলতে কী বোঝ? ----------------

মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?

ঘোষণাপত্রের  মূল্যায়ন: 'মহারানীর ঘোষণাপত্র : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটান। নিজের হাতে তুলে নেন ভারতের শাসনভার। তার প্রতিনিধিরূপে প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং আনুষ্ঠানিকভাবে এলাহাবাদে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন 'মহারানীর ঘোষণাপত্র' নামে পরিচিত। ঘোষণাপত্রের মূল বক্তব্য: মহারানীর ঘোষণাপত্রে বলা হয় যে--- [1] ভারতবর্ষের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার কোন রকম হস্তক্ষেপ করবেন না। [2] জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতবাসী সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবে। [3] স্বত্ববিলোপ নীতি প্রত্যাহার করা হবে এবং দেশীয় রাজারা দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবেন। [4] ব্রিটিশ সরকার ভারতে আর সাম্রাজ্য বিস্তারের আগ্রহী নয়। [5] দেশীয় রাজাদের আশ্বস্ত করে ঘোষণা হয় যে, কোম্পানির সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলা হবে। ঘোষণাপত্রের  মূল্যায়ন: দীর্ঘ ১০০ বছর ধরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে যে অপশাসন চালিয়েছিল মহারানীর ঘোষণাপত্র সেই অপশাসনে মধুর প্রলেপ দিয়

ডিরোজিও ও নব্যবঙ্গ আন্দোলন

ভূমিকা: উনিশ শতকে সমাজ সংস্কারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। তাঁর নেতৃত্বে তাঁর অনুগামী একদল যুবক ছাত্রদল সমাজের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামীদের বলা হত নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল এবং তাঁদের গড়ে তোলা আন্দোলনকে বলা হয় নব্যবঙ্গ আন্দোলন।  মতাদর্শ: ডিরোজিও ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত। তিনি তাঁর ছাত্রদের লক, হিউম, টম পেইন, রুশো, ভলতেয়ার প্রমুখ দার্শনিকের মতবাদের সাথে পরিচয় ঘটান এবং তাঁদের মধ্যে যুক্তিবাদ, জাতীয়তাবোধ এবং দেশপ্রেমের বীজ বপন করেন। তাঁর লেখা 'ফকির অব জঙ্গীরা' কাব্যগ্রন্থের 'আমার স্বদেশভূমি, ভারতের প্রতি' কোবতে তাঁর স্বদেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। একাডেমিক এসোসিয়েশন : ডিরোজিও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তিবাদের বিকাশ ঘটানোর জন্য ১৮২৭ খ্রি. একাডেমিক এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তাঁরা অস্পৃশ্যতা, জাতভেদপ্রথা, সতিদাহপ্রথা, মূর্তিপূজা প্রভৃতি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতেন। তাঁদের মুখপত্র ছিল 'এথেনিয়াম'।  অন্যা

সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনে রামমোহন রায়ের ভূমিকা কি ছিল?

সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনে রামমোহন রায়ের ভূমিকা  উনবিংশ শতকেও বাংলা তথা ভারতের হিন্দুসমাজে সতীদাহ প্রথা নামে একটি অমানবিক প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথা অনুসারে স্বামীর মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় পুড়িয়ে মারা হত। এই নিষ্ঠুর প্রথার অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে রামমোহন রায় গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।   জনমত গঠন: 1. লোকশিক্ষার মাধ্যমে সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে তিনি ১৮১৮ খ্রি. এই প্রথার বিরুদ্ধে একটি বাংলা পুস্তিকা প্রকাশ করেন। 2. মনুসংহিতা-সহ বিভিন্ন হিন্দুশাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি নিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেন যে সতীদাহ প্রথা হিন্দুধর্ম ও শাস্ত্র বিরোধী। 3. তিনি নিজ-পরিচালিত 'সম্বাদ কৌমুদি'-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত সতীদাহ বিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশ করতেন। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ : রামমোহন নতুন গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্ক-এর কাছে সতীদাহপ্রথা রদের অনুরোধ জানিয়ে বাংলার বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র জমা দেন।  সতীদাহ প্রথার অবসান: তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে উদারমনষ্ক বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর ১৭ নং রেগুলেশন এক্ট প

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত। 

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত।