সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনে রামমোহন রায়ের ভূমিকা
উনবিংশ শতকেও বাংলা তথা ভারতের হিন্দুসমাজে সতীদাহ প্রথা নামে একটি অমানবিক প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথা অনুসারে স্বামীর মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় পুড়িয়ে মারা হত। এই নিষ্ঠুর প্রথার অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে রামমোহন রায় গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
জনমত গঠন:
1. লোকশিক্ষার মাধ্যমে সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে তিনি ১৮১৮ খ্রি. এই প্রথার বিরুদ্ধে একটি বাংলা পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
2. মনুসংহিতা-সহ বিভিন্ন হিন্দুশাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি নিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেন যে সতীদাহ প্রথা হিন্দুধর্ম ও শাস্ত্র বিরোধী।
3. তিনি নিজ-পরিচালিত 'সম্বাদ কৌমুদি'-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত সতীদাহ বিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশ করতেন।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ :
রামমোহন নতুন গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্ক-এর কাছে সতীদাহপ্রথা রদের অনুরোধ জানিয়ে বাংলার বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র জমা দেন।
সতীদাহ প্রথার অবসান:
তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে উদারমনষ্ক বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর ১৭ নং রেগুলেশন এক্ট পাশ করে সতীদাহ প্রথার অবসান ঘটান।
অবদান / ভূমিকা :
মুঘল সম্রাট আকবর ব্যর্থ হলেও বেন্টিঙ্ক সতীদাহ রদে সফল হয়েছিলেন। এই সাফল্যের পিছনে রামমহনের জনমত গঠন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ বিষয়ক আন্দোলন ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এভাবেই বাংলার সমাজ সংস্কারের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
খুব সুন্দর
উত্তরমুছুনThank you
উত্তরমুছুনভালো হয়নি
উত্তরমুছুন