ধর্মসংস্কার আন্দোলনরূপে ব্রাহ্ম আন্দোলনের মূল্যায়ন করো।
ভূমিকা
১৮২৮ খ্রিঃ একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে, বহুদেববাদ, মূর্তিপূজা, পৌত্তলিকতা বিরোধী আন্দোলন গড়তে 'ব্রাহ্মসভা' গঠন করা হয় ।রামমোহন ও ধর্মসংস্কার
রাজা রামমোহন রায় নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার সমর্থনে (বেদ, ঈশ, কেন, কঠ, মন্ত্রক ও মাণ্ডুক্য) উপনিষদের বাংলা অনুবাদ ও বিশ্লেষণ করেন। সর্বধর্ম সমন্বয়, মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসভা পরবর্তীকালে ১৮৩০ খ্রিঃ 'ব্রাহ্মসমাজ' নামে পরিচিত হয়।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ধর্মসংস্কার
তারপরে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তত্ত্ববোধিনী সভা' ধর্ম আলোচনায় বিশেষ ভূমিকা নেন, খ্রিস্টান পাদরী ও উগ্র পাশ্চাত্যপন্থীদের হাত থেকে হিন্দু সমাজকে রক্ষা করেন। ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে 'তিন আইন' পাস করায়, যার ফলে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হয়।কেশবচন্দ্র সেন ও ধর্মসংস্কার
কেশবচন্দ্র সেন তাঁর 'সুলভ সমাচার' পত্রিকার মাধ্যমে ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শ প্রচার করেন এবং বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ, সতীদাহ প্রথা, পর্দাপ্রথা প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
---------xx--------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন