সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২২

মাধ্যমিক ইতিহাস সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - ২০২২

    দুটি বা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

    ৩.১) সামরিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?

    সামরিক ইতিহাসে শুধুমাত্র যুদ্ধের কারণ ও ফলাফলের মধ্যে যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সীমাবন্ধ নেই —

    ১) যুদ্ধের খুটিনাটি বিষয়ও যে যুদ্ধকে প্রভাবিত ও ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করে তা সামরিক ইতিহাসে আলোচিত হয়েছে।

    ২) সামরিক ইতিহাস থেকে কোন রাষ্ট্র বা জাতি বা সংগঠনের যুদ্ধাস্ত্র, রণকৌশল, সামরিক পোশাক-পরিচ্ছদ প্রভৃতির বিবর্তন সহ বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত যুদ্ধের কারণ, পদ্ধতি, সমরসজ্জা, যুশ্বের আদর্শগত দিক প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়, যেগুলি যুদ্ধকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে।

    তাই আধুনিক সামাজিক ইতিহাসে সামরিক ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ।

    ৩২) 'সরকারি নথিপত্র' বলতে কী বোঝায়?

    'সরকারি নথিপত্র' বলতে বোঝায় পুলিশসহ সরকারি আধিকারিকদের গোপন ও প্রকাশ্য লেখা চিঠিপিত্র, প্রতিবেদন, বিবরণ, সমীক্ষা, নোটিশ প্রভৃতি। এই সব নথিপত্র থেকে সরকারি মনোভাব, পদক্ষেপ, উদ্যোগ প্রভৃতি জানার পাশাপাশি ঐ নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, হান্টার কমিশনের রিপোর্ট থেকে শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়, নীল কমিশনের রিপোর্ট থেকে কৃষক বিদ্রোহের কথা জানতে পারা যায়।

    মনে রাখা দরকার, সরকারি নথিপত্রগুলি সরকারের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লেখা হয় বলে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী উপেক্ষিত থাকে এবং অনেকক্ষেত্রে বিকৃত তথ্যের উপস্থাপনা সমকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

    ৩.৩) স্কুল বুক সোসাইটি কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?

    অষ্টাদশ শতকের শেষ দিক থেকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্দ্যোগে বাংলা তথা ভারতে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হলে সর্বস্তরে পাঠ্যপুস্তকের অভাব লক্ষ্য করা যায়।

    ইংরাজি ও বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা, মুদ্রণ ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে ১৮১৭ খ্রিঃ ডেভিড হেয়ার কলকাতায় স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।

    ৩.৪) মধুসুদন গুপ্ত স্মরনীয় কেন?

    কলকাতা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র মধুসূদন গুপ্ত সামাজিক কুসংস্কার ও জাতিচ্যুত হওয়ার ভয় না পেয়ে —

    ১) ১৮৩৬ খ্রিঃ ১০ই জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ (মৃতদেহ কাটা / অ্যানাটমি শিক্ষা) করেন যা ছিল রক্ষণশীল গোষ্ঠীর বিপ্রতীপে যুগান্তরকারী ঘটনা।

    ২) তাছাড়া তিনি 'লন্ডন ফার্মাকোপিয়া' ও 'অ্যানাটমি' গ্রন্থ দুটি বাংলায় অনুবাদ করে ভারতে আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা চর্চাকে সহজসাধ্য করে তোলেন।

    ৩.৫) লর্ড হার্ডিও-এর 'শিক্ষাবিষয়ক নির্দেশ নামা' গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    ১৮৪৪ খ্রিঃ লর্ড হার্ডিঞ্জ এক নির্দেশনামার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে ইংরাজি ভাষা জানা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের নীতি ঘোষণা করলে —
    ১) ভারতীয় মধ্যবিত্তশ্রেণি ইংরাজি ভাষা ও পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিল।

    ২) এই প্রবল আগ্রহ ইংরাজি স্কুল স্থাপনে বাঙালি তথা ভারতীয়দের উদ্যোগ বাড়িয়েছিল।

    ৩) অন্যদিকে দেশীয় ভাষা ও শিক্ষা পদ্ধতির গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছিল।

    ৩.৬) 'বাংলার নবজাগরণ' বলতে কী বোঝায়?

    উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রভাবে বাংলা তথা ভারতের মধ্যযুগীয় কুসংস্কার ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তে যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ প্রভৃতি ধ্যান-ধারণা প্রসার ঘটে। এর ওপর ভিত্তি করে বাংলায় ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতি সকলক্ষেত্রে সংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয়। ইউরোপের রেনেসাঁর সাথে তুলনা করে, বেশীরভাগ ঐতিহাসিক এই আন্দোলনকে 'বাংলার নবজাগরণ' আখ্যা দিয়েছেন।

    ৩.৭) ফরাজি আন্দোলন ব্যর্থ হল কেন?

    ফরাজি আন্দোলন বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হয়েছিল-

    ১) দুদুমিওজ্ঞা (মহম্মাদ মহসীন)-এর মৃত্যুর পর নোয়া মিঞা ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচীর পরিবর্তে অতিরিত্ব পরিমানে ধর্মের উপর গুরুত্ব আরোপ করায় এই আন্দোলন মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের মধ্যে সীমাবন্ধ হয়ে পড়লে আন্দোলনের সামাজিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

    ২) দুদুমিঞার পরবর্তীকালে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব ও সাংগঠনিক দুর্বলতা, ফরজি আন্দোলনকে ব্যর্থতার পর্যবসিত করেছিল।

    ৩) ফরাজিবা পুরানো অস্ত্রশস্থ যেমন- লাঠি, বল্লম, দাঁ, কুড়ুল বা কুঠার প্রভৃতি নিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ ও অন্যান্য শাসকশ্রেণি (জমিদার, মহাজন)-এর বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে পরাজয় স্বীকার করেছিল।

    ৩.৮) তিতুমীর স্মরনীয় কেন?

    বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা তিতুমীর (মীর নিশার আলি) ইসলাম ধর্মের সংস্কারের পাশাপাশি

    ১) ইংরেজ সরকার, জমিদার, মহাজন ও নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।

    ২) এবং এই উদ্দেশ্যো উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার নারকেলবেড়িয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা তৈরী করে একটি স্বাধীন দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    ৩) সেখানে তিতুমীর নিজেকে 'বাদশা', মৈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুমকে সেনাপতি ঘোষণা করে স্বল্পকালীন স্বাধীন সরকার চালিয়েছিলেন।

    শেষপর্যন্ত ইংরেজদের কামানের আঘাতে তাঁর বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয় এবং তিনি নিহত হন। মূলত এ কারণেই তিনি ইতিহাসের স্মরণীয় হয়ে আছেন।

    ৩.৯) শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশ কেন মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) বিরোধিতা করেছিল?

    শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশের মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭ খ্রিঃ) বিরোধিতা করার পিছনে যুক্তি ছিল—

    ১) শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি অংশ মনে করেছিল যে, বিদ্রোহিরা সফল হলে ভারতে মধ্যযুগীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ইংরেজরা যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছিল তা ব্যহত হবে।

    ২) শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশ ইংরেজ সরকারের অধীনে কর্মরত ছিল। বিদ্রোহিরা সফল হলে তাদের কাজ হারাবার আশঙ্কায় তারা মহাবিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল।

    ৩) উনিশ শতকের বাংলা তথা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ব্যহত হতে পারে, এই আশঙ্কায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজ এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল।

    ৩.১০) ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয় কেন?

    সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদের পরিবর্তে উপহাসমূলক ও বিদ্রূপাত্মক সমালোচনার জন্য ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়।

    যে কোন বিষয় ও ঘটনাকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজ সরল ও আনন্দদায়ক করতে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করা হয়। অসাধারণ ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী ছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর যাঁর বিভিন্ন চিত্রে উপনিবেশিক সমাজ ব্যবস্থার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। গিরিন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৭২ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে অমৃতবাজার পত্রিকায় মিউনিসিপ্যাল আইনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বাংলা ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেন।

    ৩.১১) নবগোপাল মিত্র কে ছিলেন?

    ইংরেজ সরকার ও খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তরিতকরণ ও হিন্দুধর্মের বিরোধিতার ফলে হিন্দুরা যখন নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে হীনমন্যতায় ভুগছিলেন সেই সময় হিন্দুদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা, জাতীয়তাবাদ ও স্বদেশ প্রেমের বিস্তার ঘটাতে নবগোপাল মিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।

    হিন্দুকেন্দ্রিক ভারতে পুনর্জাগরণের উদ্দেশ্যে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে 'হিন্দুমেলা' প্রতিষ্ঠা করেন।

    তিনি জাতীয় প্রতীকগুলির মর্যাদা দান, দেশীয় ভাষার চর্চা, হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরবগাঁথার প্রচার, শরীর চর্চার মাধ্যমে আত্মশক্তি জাগরণে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

    এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ন্যাশনাল প্রেস, ন্যাশনাল পেপার, ন্যাশানাল সোসাইটি, ন্যাশানাল স্কুল, ন্যাশনাল থিয়েটার, ন্যাশনাল জিমনাসিয়ম এবং ন্যাশানাল সার্কাস ইত্যাদি। এই প্রভূত কর্মকান্ডের জন্য তাঁর ডাকনাম দেওয়া হয়েছিল 'ন্যাশনাল মিত্র'।

    ৩.১২) উনিশ শতকের বাংলায় জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের কীরূপ ভূমিকা ছিল।

    ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'আনন্দমঠ' উপন্যাস, 'বলাদর্শন' পত্রিকা প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে ইংরেজ সরকারের ভারতীয়দের ওপর অকথ্য অত্যাচারের নগ্নরূপ তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সুমহান দিকগুলিরও সূক্ষাতিসুক্ষভাবে বিশ্লেষণ করেন। তিনি 'আনন্দমঠ' উপন্যাসের মাধ্যমে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে 'বন্দেমাতরম' সঙ্গীতের ব্যবহার করেন যা পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের মূল মন্ত্রে পরিণত হয়ে ওঠে।

    ৩.১৩) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?

    বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯০৬ খ্রিঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল-

    ১) ঔপনিবেশিক শিক্ষার বিকল্পরূপে জাতীয় আদর্শ অনুসারে সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা।

    ২) মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশসেবার মনোভাব জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি তাদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও জাতীয়তাবোধের প্রসার ঘটানো।

    ৩.১৪) 'বিদ্যাসাগর সার্ট' বলতে কী বোঝায়?

    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা মুদ্রণে অক্ষর বিন্যাসের সমস্যা দূরীকরণে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ছেদ, যাতি চিহ্নের ব্যবহার সহ বাংলা বর্ণ বিন্যাস ও সাজানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারে এর নাম হয় 'বিদ্যাসাগর সাট'।

    ৩.১৫) বাংলা ছাপাখানার বিকাশে লাইনোটাইপ প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?

    সারিবদ্ধভাবে লেখা ছাপানোর পদ্ধতিকে ‘লাইনোটাইপ’ বলা হয়। লাইনোটাইপ-এর বিশেষত্ব হল —
    ১) এতে বিভিন্ন ধরনের কি-বোর্ড রয়েছে। অক্ষর, যুক্তাক্ষর, বিরামচিহ্ন ও স্পেস একসঙ্গে ছাপানো যায়।
    ২) এই প্রক্রিয়ায় খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন, বই প্রভৃতি দ্রুত এবং সহজে ছাপানো সম্ভব হয়।

    লাইনোটাইপের আবিষ্কার ছাপাখানার ইতিহাসে বিপ্লব ঘটায়, এর সৃষ্টিকর্তা হলেন সুরেশচন্দ্র মজুমদার।

    ৩.১৬) গ্রামীণ শিল্প ও বৃত্তি শিক্ষার প্রসারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান কীরূপ ছিল?

    ঔপনিবেশিক কেরানি তৈরি শিক্ষার সমালোচনা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভরশীল করতে গ্রামীণ শিল্প ও বৃত্তি শিক্ষার উপর জোর দিয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি বীরভূমে শান্তিনিকেতনের সুরুল গ্রামে শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন; যেখানে সমবায় পদ্ধতিতে চাষবাস, পশুপালন এবং গ্রামীণ কুটির শিল্পমূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেন।

    আরও প্রশ্ন ও উত্তর :

    মন্তব্যসমূহ

    বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

    অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

    কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

    ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

    খুৎকাঠি প্রথা কী?

    খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

    নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

    ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

    নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

    নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

    ইলবার্ট বিল কি?

    লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

    ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

    ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

    মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

    রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

    তিন আইন কী?

     তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত। 

    শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

    'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত।