উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মূলত তারই উদ্যোগে ১৮১৭ সালে 'ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি' গড়ে ওঠে। পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে সহায়তা করার জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা, প্রকাশ ও বিতরণের উদ্দেশ্যে তিনি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শিক্ষার প্রসারের জন্য কম খরচে অথবা বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের বিতরনের জন্য এই প্রতিষ্ঠান প্রচুর পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে।
তাঁরই সক্রিয় উদ্যোগে ১৮১৭ সালে গড়ে ওঠে হিন্দু কলেজ। ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন 'পটলডাঙ্গা একাডেমি' যা বর্তমানে 'হেয়ার স্কুল' নামে পরিচিত। তাঁর উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় সিমলা স্কুল ও আরপুলি স্কুল নামে আরও দুটি স্কুল।
নারীশিক্ষার প্রসারেও তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নেন।
কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য তিনি এদেশীয় ছাত্রদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেন।
এইভাবে নতুন নতুন বিদ্যালয় স্থাপন ও শিক্ষার প্রসারের জন্য নিজের যাবতীয় অর্থ ব্যয় করে তিনি শেষ জীবনে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বাংলা তথা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে তার সর্বস্ব ত্যাগ করে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
বিকল্প প্রশ্ন :
📗📗 বাংলায় শিক্ষা সংস্কারের ইতিহাসে ডেভিড হেয়ার কী কারণে খ্যাতি লাভ করে আছেন?
📘 ডেভিড হেয়ার সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (দুই-তিন বাক্যে উত্তর) অর্থাৎ ২ মার্কসের প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন