১) ভারতীয় অরণ্য আইন কি?
২) ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন প্রবর্তন করে?
- উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো।
২) ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন প্রবর্তন করে?
উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো।
৩) বারাসাত বিদ্রোহ কী?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিতুমীর বা মীর নিসার আলী। তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে মঈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এই ঘটনা বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
৪) বাঁশেরকেল্লা কী?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিতুমীর বা মীর নিসার আলী। তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে মঈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে বাঁশ দিয়ে একটি দুর্গ তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই ইতিহাসে ‘বাঁশেরকেল্লা’ নামে পরিচিত।
৫) তিন কাঠিয়া প্রথা কী?
এটা ষষ্ঠ অধ্যায়ের প্রশ্ন।
৬) খুৎকাঠি প্রথা কী?
খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল।
ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
অবশেষে 1908 সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে।
৭) দাদন প্রথা কী?
‘দাদন’ হল ধরনের ঋণ দেওয়া বা নেওয়ার ব্যবস্থা। 18 শতকে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটলে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিক লাভের আশায় বাংলার নীলচাষীদের অগ্রিম টাকা দিয়ে (ঋণ দিয়ে) নীল চাষে বাধ্য করতে থাকে।
কৃষি জমিতে নীল চাষে বাধ্য করানোর জন্য নীলকরদের দ্বারা নীলচাষীদের দেওয়া এই অগ্রিম টাকা বা ঋণ দেওয়ার প্রথা ‘দাদন’ নামে পরিচিত।
৮) সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন?
১৭৬৩-১৮০০ সাল পর্যন্ত চলা এই বিদ্রোহ কয়েকটি কারণে ব্যর্থ হয়।
১) ১৭৬৬ সাল থেকে সন্ন্যাসী ফকির দের মধ্যে আত্মকলহ এর ফলে বিদ্রোহীরা দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
২) এই বিদ্রোহের প্রথম সারির নেতারা যেমন মজনু শাহ ভবানী পাঠক দের মৃত্যু হলে উপযুক্ত নেতৃত্তের অভাব দেখা দেয়।
৩) ব্রিটিশদের আধুনিক ও উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও সাংগঠনিক শক্তির সাথে লড়াই করার মত অস্ত্র ও সংগঠন বিদ্রোহীদের ছিলনা।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।
৯) ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য ও আদর্শ কি ছিল?
ওয়াহাবি কথার অর্থ হল নবজাগরণ। তাই ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্মের প্রচলিত সংস্কার গুলি দূর করে পবিত্র কোরআনের আলোকে ইসলামের শুদ্ধিকরণ।
এই কাজে তারা আরবের অভিনেতা আব্দুল ওয়াহাবের আদর্শ অনুসরণ করে এই আন্দোলন সংগঠিত করেন। যার মূল কথা হলো ইসলাম ধর্মের সংস্কার সাধন করা।
তবে ইসলামের নীতি ও আদর্শের দ্বারা পরিচালিত হলেও এই আন্দোলনে নির্যাতিত ও দরিদ্র নিম্নবর্ণের হিন্দুরা শামিল হয়। ফলে এই আন্দোলন দ্রুত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের চরিত্র গ্রহণ করে।
১০) ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন?
ফরাজী শব্দের অর্থ হলো ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
মূলত একেশ্বরবাদ সামাজিক সাম্য সহ কোরআনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করার জন্য ১৮২০ সালে মৌলভী হাজী শরীয়ত উল্লাহ যে সংস্কার আন্দোলন গড়ে তোলেন তা ফরাজি আন্দোলন নামে পরিচিত।
সুতরাং এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্যই ছিল ইসলামের শুদ্ধিকরণ করে ধর্মীয় পুনর্জাগরণ ঘটানো।
তবে শরীয়তউল্লাহ মৃত্যুর পর তার পুত্র মোহাম্মদ মুসিন বা দুধু মিয়া এই আন্দোলনকে অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৃষক আন্দোলনের পরিণত করেন।
ফলে এই আন্দোলন ক্রমশ ব্রিটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় বলে অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ এবং ডঃ অভিজিৎ দত্ত মনে করেন।
১১) তিতুমীর স্মরণীয় কেন?
১২) দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন?
জেমস লং দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নজরে আনার চেষ্টা করেন নীলচাষীদের দুর্দশার কথা।
১৭) দার উল হারব এবং দারুল ইসলাম কথার অর্থ কি?
দার-উল-হারব শব্দের অর্থ হলো বিধর্মীদের দেশ। বাংলাদেশ ওয়াহাবি ও ফরাজী আন্দোলনের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষকে বিধর্মীদের শাসিত দেশ বলে চিহ্নিত করা হয় এবং জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ার ডাক দেয়া হয়।
অন্যদিকে দার-উল-ইসলাম শব্দের অর্থ হলো ইসলামের পবিত্র ভূমি বা দেশ। আন্দোলনকারীরা ব্রিটিশ শক্তিকে হঠিয়ে দেশকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাসযোগ্য করে তোলার কথা বলে তাদেরকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উৎসাহিত করার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করতো।
১৮) নীলকররা নীল চাষীদের উপর কিভাবে অত্যাচার করত লেখ।
১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নীল চাষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিল বাংলার ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
এই বিদ্রোহের পিছনে যে সমস্ত কারণ কার্যকরী ছিল তাদের মধ্যে নীল চাষীদের উপর অকথ্য অত্যাচার সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই অত্যাচারের মাধ্যমে তারা নীলচাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতো। এক্ষেত্রে চাষীদের শারীরিক প্রহার, তাদের গরু-বাছুর নীলকুঠিতে আটকে রাখা, ঘরে আগুন লাগানো, তাদের স্ত্রী-কন্যার সম্মানহানি এবং নীলকুঠিতে আটকে রাখার মত বিষয়গুলি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল।
এইসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইন-আদালত গেলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যেত না। এ সমস্ত কারণে নীল চাষীর ক্রমশ সঙ্গবদ্ধ হয়ে বিদ্রোহের পথে অগ্রসর হয়
১৯) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?
আঠারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াড় জনজাতির মানুষেরা ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু করে তা ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত।
আঠারশ সালের জানুয়ারি মাসে গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি অনেক চেষ্টায় এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই বিদ্রোহের ফলে,
১) চুয়ার দের এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল যা পরবর্তীকালে ভারতের শিক্ষিত শিক্ষিত সম্প্রদায় অনুপ্রাণিত করেছিল প্রায় 100 বছর পরে।
২) জমিদার ও কৃষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিদ্রোহের শামিল হয়েছিল যা সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না।
৩) তাদের এই আন্দোলনের ফলে বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে দুর্গম বনাঞল কে নিয়ে জঙ্গলমহল নামে একটি বিশেষ জেলা গঠন করতে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়।
৪) এবং পরবর্তীকালে ভূমি রাজস্ব নির্ধারণের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়।
৩) বারাসাত বিদ্রোহ কী?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিতুমীর বা মীর নিসার আলী। তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে মঈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এই ঘটনা বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
৪) বাঁশেরকেল্লা কী?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিতুমীর বা মীর নিসার আলী। তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে মঈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে বাঁশ দিয়ে একটি দুর্গ তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই ইতিহাসে ‘বাঁশেরকেল্লা’ নামে পরিচিত।
৫) তিন কাঠিয়া প্রথা কী?
এটা ষষ্ঠ অধ্যায়ের প্রশ্ন।
৬) খুৎকাঠি প্রথা কী?
খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল।
ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
অবশেষে 1908 সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে।
৭) দাদন প্রথা কী?
‘দাদন’ হল ধরনের ঋণ দেওয়া বা নেওয়ার ব্যবস্থা। 18 শতকে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটলে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিক লাভের আশায় বাংলার নীলচাষীদের অগ্রিম টাকা দিয়ে (ঋণ দিয়ে) নীল চাষে বাধ্য করতে থাকে।
কৃষি জমিতে নীল চাষে বাধ্য করানোর জন্য নীলকরদের দ্বারা নীলচাষীদের দেওয়া এই অগ্রিম টাকা বা ঋণ দেওয়ার প্রথা ‘দাদন’ নামে পরিচিত।
৮) সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন?
১৭৬৩-১৮০০ সাল পর্যন্ত চলা এই বিদ্রোহ কয়েকটি কারণে ব্যর্থ হয়।
১) ১৭৬৬ সাল থেকে সন্ন্যাসী ফকির দের মধ্যে আত্মকলহ এর ফলে বিদ্রোহীরা দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
২) এই বিদ্রোহের প্রথম সারির নেতারা যেমন মজনু শাহ ভবানী পাঠক দের মৃত্যু হলে উপযুক্ত নেতৃত্তের অভাব দেখা দেয়।
৩) ব্রিটিশদের আধুনিক ও উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও সাংগঠনিক শক্তির সাথে লড়াই করার মত অস্ত্র ও সংগঠন বিদ্রোহীদের ছিলনা।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।
৯) ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য ও আদর্শ কি ছিল?
ওয়াহাবি কথার অর্থ হল নবজাগরণ। তাই ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্মের প্রচলিত সংস্কার গুলি দূর করে পবিত্র কোরআনের আলোকে ইসলামের শুদ্ধিকরণ।
এই কাজে তারা আরবের অভিনেতা আব্দুল ওয়াহাবের আদর্শ অনুসরণ করে এই আন্দোলন সংগঠিত করেন। যার মূল কথা হলো ইসলাম ধর্মের সংস্কার সাধন করা।
তবে ইসলামের নীতি ও আদর্শের দ্বারা পরিচালিত হলেও এই আন্দোলনে নির্যাতিত ও দরিদ্র নিম্নবর্ণের হিন্দুরা শামিল হয়। ফলে এই আন্দোলন দ্রুত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের চরিত্র গ্রহণ করে।
১০) ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন?
ফরাজী শব্দের অর্থ হলো ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
মূলত একেশ্বরবাদ সামাজিক সাম্য সহ কোরআনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করার জন্য ১৮২০ সালে মৌলভী হাজী শরীয়ত উল্লাহ যে সংস্কার আন্দোলন গড়ে তোলেন তা ফরাজি আন্দোলন নামে পরিচিত।
সুতরাং এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্যই ছিল ইসলামের শুদ্ধিকরণ করে ধর্মীয় পুনর্জাগরণ ঘটানো।
তবে শরীয়তউল্লাহ মৃত্যুর পর তার পুত্র মোহাম্মদ মুসিন বা দুধু মিয়া এই আন্দোলনকে অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৃষক আন্দোলনের পরিণত করেন।
ফলে এই আন্দোলন ক্রমশ ব্রিটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় বলে অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ এবং ডঃ অভিজিৎ দত্ত মনে করেন।
১১) তিতুমীর স্মরণীয় কেন?
উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো।
১২) দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন?
উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো।
১৩) দামিন-ই-কোহ কি?
দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ হল পাহাড়ে প্রান্তদেশ। রাজমহল পার্বত্য অঞ্চল এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত অঞ্চল এই নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করলে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের আদি বাসভূমি ছোটনাগপুর রাচি হাজারীবাগ বীরভূম বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ছেড়ে রাজমহল পার্বত্য অঞ্চল সহ মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বসবাস শুরু করেন। তারাই এই অঞ্চলের নাম দেন দামিন-ই-কোহ।
উল্লেখ্য, এই অঞ্চলের তারা ইংরেজ ও তার সহযোগী জমিদার ও মহাজনদের শোষণ ও অত্যাচারের শিকার হয় এবং ১৮৫৫ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যা সাঁওতাল বিদ্রোহ সাঁওতাল হুল নামে পরিচিত।
১৪) মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে খুৎকাঠি প্রথা বা যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে।
এছাড়া তাদের ১) চিরাচরিত আইন শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ভেঙে দেয়,
২) তাদের বেগার শ্রম দিতে বাধ্য করে,
৩) ইংরেজ আশ্রিত বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের জমি জায়গা দখল করে,
৪) নামমাত্র মজুরিতে চা বাগানে কাজ করতে বাধ্য করে এবং
৫) সর্বোপরি নানা কৌশলে মিশনারীরা তাদের খৃষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে থাকে।
এ সমস্ত কারণে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে একটি নতুন ধর্মের প্রচার করে মুন্ডারা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বহিরাগতদের বিতাড়িত করে স্বাধীন মহারাজ প্রতিষ্ঠা করা।
১৫) নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকা কি ছিল?
১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নীল চাষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিল বাংলার ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
এই বিদ্রোহকে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সমর্থন করে নীল চাষীদের পক্ষে দাঁড়ায়। এদের মধ্যে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১) তিনি তার পত্রিকার মাধ্যমে নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করে নীল বিদ্রোহীদের পক্ষে জনমত গঠন করেন।
২) তার নীলা নিরলস প্রচেষ্টা ও ক্ষুরধার লেখনীর গনি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের ইংরেজদের সম্পর্কে মোহভঙ্গ ঘটে এবং তারা কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে।
৩) এছাড়া তিনি নীলচাষীদের আর্থিক সহায়তা এবং মামলা মোকদ্দমা চালানোর ক্ষেত্রে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করে বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
১৬) নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কি ছিল?
নীলবিদ্রোহ (1859 খ্রিঃ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ ।
এই বিদ্রোহেই প্রথম খ্রিস্টান মিশনারিরা বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইংল্যান্ডের চার্চ মিশনারি সোসাইটির 3 জন সদস্য, জার্মান মিশনারির বমভাইটস, ফ্রেডারিক সুর, জে.জি. লিংকে, সর্বোপরি জেমস লঙ -এর ভূমিকা গুরুত্ব পূর্ণ
১৩) দামিন-ই-কোহ কি?
দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ হল পাহাড়ে প্রান্তদেশ। রাজমহল পার্বত্য অঞ্চল এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত অঞ্চল এই নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করলে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের আদি বাসভূমি ছোটনাগপুর রাচি হাজারীবাগ বীরভূম বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ছেড়ে রাজমহল পার্বত্য অঞ্চল সহ মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বসবাস শুরু করেন। তারাই এই অঞ্চলের নাম দেন দামিন-ই-কোহ।
উল্লেখ্য, এই অঞ্চলের তারা ইংরেজ ও তার সহযোগী জমিদার ও মহাজনদের শোষণ ও অত্যাচারের শিকার হয় এবং ১৮৫৫ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যা সাঁওতাল বিদ্রোহ সাঁওতাল হুল নামে পরিচিত।
১৪) মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে খুৎকাঠি প্রথা বা যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে।
এছাড়া তাদের ১) চিরাচরিত আইন শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ভেঙে দেয়,
২) তাদের বেগার শ্রম দিতে বাধ্য করে,
৩) ইংরেজ আশ্রিত বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের জমি জায়গা দখল করে,
৪) নামমাত্র মজুরিতে চা বাগানে কাজ করতে বাধ্য করে এবং
৫) সর্বোপরি নানা কৌশলে মিশনারীরা তাদের খৃষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে থাকে।
এ সমস্ত কারণে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে একটি নতুন ধর্মের প্রচার করে মুন্ডারা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বহিরাগতদের বিতাড়িত করে স্বাধীন মহারাজ প্রতিষ্ঠা করা।
১৫) নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকা কি ছিল?
১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নীল চাষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিল বাংলার ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
এই বিদ্রোহকে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সমর্থন করে নীল চাষীদের পক্ষে দাঁড়ায়। এদের মধ্যে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১) তিনি তার পত্রিকার মাধ্যমে নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করে নীল বিদ্রোহীদের পক্ষে জনমত গঠন করেন।
২) তার নীলা নিরলস প্রচেষ্টা ও ক্ষুরধার লেখনীর গনি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের ইংরেজদের সম্পর্কে মোহভঙ্গ ঘটে এবং তারা কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে।
৩) এছাড়া তিনি নীলচাষীদের আর্থিক সহায়তা এবং মামলা মোকদ্দমা চালানোর ক্ষেত্রে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করে বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
১৬) নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কি ছিল?
নীলবিদ্রোহ (1859 খ্রিঃ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ ।
এই বিদ্রোহেই প্রথম খ্রিস্টান মিশনারিরা বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইংল্যান্ডের চার্চ মিশনারি সোসাইটির 3 জন সদস্য, জার্মান মিশনারির বমভাইটস, ফ্রেডারিক সুর, জে.জি. লিংকে, সর্বোপরি জেমস লঙ -এর ভূমিকা গুরুত্ব পূর্ণ
জেমস লং দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নজরে আনার চেষ্টা করেন নীলচাষীদের দুর্দশার কথা।
১৭) দার উল হারব এবং দারুল ইসলাম কথার অর্থ কি?
দার-উল-হারব শব্দের অর্থ হলো বিধর্মীদের দেশ। বাংলাদেশ ওয়াহাবি ও ফরাজী আন্দোলনের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষকে বিধর্মীদের শাসিত দেশ বলে চিহ্নিত করা হয় এবং জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ার ডাক দেয়া হয়।
অন্যদিকে দার-উল-ইসলাম শব্দের অর্থ হলো ইসলামের পবিত্র ভূমি বা দেশ। আন্দোলনকারীরা ব্রিটিশ শক্তিকে হঠিয়ে দেশকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাসযোগ্য করে তোলার কথা বলে তাদেরকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উৎসাহিত করার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করতো।
১৮) নীলকররা নীল চাষীদের উপর কিভাবে অত্যাচার করত লেখ।
১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নীল চাষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিল বাংলার ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
এই বিদ্রোহের পিছনে যে সমস্ত কারণ কার্যকরী ছিল তাদের মধ্যে নীল চাষীদের উপর অকথ্য অত্যাচার সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই অত্যাচারের মাধ্যমে তারা নীলচাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতো। এক্ষেত্রে চাষীদের শারীরিক প্রহার, তাদের গরু-বাছুর নীলকুঠিতে আটকে রাখা, ঘরে আগুন লাগানো, তাদের স্ত্রী-কন্যার সম্মানহানি এবং নীলকুঠিতে আটকে রাখার মত বিষয়গুলি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল।
এইসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইন-আদালত গেলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যেত না। এ সমস্ত কারণে নীল চাষীর ক্রমশ সঙ্গবদ্ধ হয়ে বিদ্রোহের পথে অগ্রসর হয়
১৯) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?
আঠারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াড় জনজাতির মানুষেরা ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু করে তা ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত।
আঠারশ সালের জানুয়ারি মাসে গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি অনেক চেষ্টায় এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই বিদ্রোহের ফলে,
১) চুয়ার দের এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল যা পরবর্তীকালে ভারতের শিক্ষিত শিক্ষিত সম্প্রদায় অনুপ্রাণিত করেছিল প্রায় 100 বছর পরে।
২) জমিদার ও কৃষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিদ্রোহের শামিল হয়েছিল যা সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না।
৩) তাদের এই আন্দোলনের ফলে বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে দুর্গম বনাঞল কে নিয়ে জঙ্গলমহল নামে একটি বিশেষ জেলা গঠন করতে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়।
৪) এবং পরবর্তীকালে ভূমি রাজস্ব নির্ধারণের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়।
প্রশ্নগুলোর উত্তর আলাদা আলাদা ভাবে পেতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করো।
অন্যান্য প্রশ্ন :
- ভারতীয় অরণ্য আইন কী?
- ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল?
- বারাসাত বিদ্রোহ কী?
- বাঁশেরকেল্লা কী?
- খুৎকাঠি প্রথা কী?
- দাদন প্রথা কী?
- সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন?
- ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল?
- ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন?
- তিতুমীর স্মরণীয় কেন?
- দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন?
- দামিন-ই-কোহ কী?
- মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?
- নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল?
- নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল?
- 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী?
- নীলকররা নীল চাষীদের উপর কীভাবে অত্যাচার করত লেখ।
- চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন