সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দু-তিন বাক্যে উত্তর দাও, তৃতীয় অধ্যায়।

১) ভারতীয় অরণ্য আইন কি? 
- উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো। 

২) ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন প্রবর্তন করে?
উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো। 

৩) বারাসাত বিদ্রোহ কী?

বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিতুমীর বা মীর নিসার আলী। তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে মঈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এই ঘটনা বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

৪) বাঁশেরকেল্লা কী?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিতুমীর বা মীর নিসার আলী। তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে মঈনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে বাঁশ দিয়ে একটি দুর্গ তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই ইতিহাসে ‘বাঁশেরকেল্লা’ নামে পরিচিত।

৫) তিন কাঠিয়া প্রথা কী?
এটা ষষ্ঠ অধ্যায়ের প্রশ্ন।

৬) খুৎকাঠি প্রথা কী?
খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল।
ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
অবশেষে 1908 সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে।

৭) দাদন প্রথা কী?
‘দাদন’ হল ধরনের ঋণ দেওয়া বা নেওয়ার ব্যবস্থা। 18 শতকে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটলে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিক লাভের আশায় বাংলার নীলচাষীদের অগ্রিম টাকা দিয়ে (ঋণ দিয়ে) নীল চাষে বাধ্য করতে থাকে।
কৃষি জমিতে নীল চাষে বাধ্য করানোর জন্য নীলকরদের দ্বারা নীলচাষীদের দেওয়া এই অগ্রিম টাকা বা ঋণ দেওয়ার প্রথা ‘দাদন’ নামে পরিচিত।

৮) সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন?
১৭৬৩-১৮০০ সাল পর্যন্ত চলা এই বিদ্রোহ কয়েকটি কারণে ব্যর্থ হয়।
১) ১৭৬৬ সাল থেকে সন্ন্যাসী ফকির দের মধ্যে আত্মকলহ এর ফলে বিদ্রোহীরা দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
২) এই বিদ্রোহের প্রথম সারির নেতারা যেমন মজনু শাহ ভবানী পাঠক দের মৃত্যু হলে উপযুক্ত নেতৃত্তের অভাব দেখা দেয়।
৩) ব্রিটিশদের আধুনিক ও উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও সাংগঠনিক শক্তির সাথে লড়াই করার মত অস্ত্র ও সংগঠন বিদ্রোহীদের ছিলনা।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।

৯) ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য ও আদর্শ কি ছিল?
ওয়াহাবি কথার অর্থ হল নবজাগরণ। তাই ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্মের প্রচলিত সংস্কার গুলি দূর করে পবিত্র কোরআনের আলোকে ইসলামের শুদ্ধিকরণ।

এই কাজে তারা আরবের অভিনেতা আব্দুল ওয়াহাবের আদর্শ অনুসরণ করে এই আন্দোলন সংগঠিত করেন। যার মূল কথা হলো ইসলাম ধর্মের সংস্কার সাধন করা।

তবে ইসলামের নীতি ও আদর্শের দ্বারা পরিচালিত হলেও এই আন্দোলনে নির্যাতিত ও দরিদ্র নিম্নবর্ণের হিন্দুরা শামিল হয়। ফলে এই আন্দোলন দ্রুত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের চরিত্র গ্রহণ করে।

১০) ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন?
ফরাজী শব্দের অর্থ হলো ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য।

মূলত একেশ্বরবাদ সামাজিক সাম্য সহ কোরআনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করার জন্য ১৮২০ সালে মৌলভী হাজী শরীয়ত উল্লাহ যে সংস্কার আন্দোলন গড়ে তোলেন তা ফরাজি আন্দোলন নামে পরিচিত।

সুতরাং এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্যই ছিল ইসলামের শুদ্ধিকরণ করে ধর্মীয় পুনর্জাগরণ ঘটানো।

তবে শরীয়তউল্লাহ মৃত্যুর পর তার পুত্র মোহাম্মদ মুসিন বা দুধু মিয়া এই আন্দোলনকে অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৃষক আন্দোলনের পরিণত করেন।

ফলে এই আন্দোলন ক্রমশ ব্রিটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় বলে অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ এবং ডঃ অভিজিৎ দত্ত মনে করেন।

১১) তিতুমীর স্মরণীয় কেন?
উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো। 

১২) দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন?
উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো। 

১৩) দামিন-ই-কোহ কি?
দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ হল পাহাড়ে প্রান্তদেশ। রাজমহল পার্বত্য অঞ্চল এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত অঞ্চল এই নামে পরিচিত।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করলে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের আদি বাসভূমি ছোটনাগপুর রাচি হাজারীবাগ বীরভূম বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ছেড়ে রাজমহল পার্বত্য অঞ্চল সহ মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বসবাস শুরু করেন। তারাই এই অঞ্চলের নাম দেন দামিন-ই-কোহ।

উল্লেখ্য, এই অঞ্চলের তারা ইংরেজ ও তার সহযোগী জমিদার ও মহাজনদের শোষণ ও অত্যাচারের শিকার হয় এবং ১৮৫৫ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যা সাঁওতাল বিদ্রোহ সাঁওতাল হুল নামে পরিচিত।

১৪) মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে খুৎকাঠি প্রথা বা যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে।

এছাড়া তাদের ১) চিরাচরিত আইন শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ভেঙে দেয়,
২) তাদের বেগার শ্রম দিতে বাধ্য করে,
৩) ইংরেজ আশ্রিত বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের জমি জায়গা দখল করে,
৪) নামমাত্র মজুরিতে চা বাগানে কাজ করতে বাধ্য করে এবং
৫) সর্বোপরি নানা কৌশলে মিশনারীরা তাদের খৃষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে থাকে।

এ সমস্ত কারণে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে একটি নতুন ধর্মের প্রচার করে মুন্ডারা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বহিরাগতদের বিতাড়িত করে স্বাধীন মহারাজ প্রতিষ্ঠা করা।

১৫) নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকা কি ছিল?
১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নীল চাষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিল বাংলার ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

এই বিদ্রোহকে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সমর্থন করে নীল চাষীদের পক্ষে দাঁড়ায়। এদের মধ্যে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১) তিনি তার পত্রিকার মাধ্যমে নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করে নীল বিদ্রোহীদের পক্ষে জনমত গঠন করেন।
২) তার নীলা নিরলস প্রচেষ্টা ও ক্ষুরধার লেখনীর গনি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের ইংরেজদের সম্পর্কে মোহভঙ্গ ঘটে এবং তারা কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে।
৩) এছাড়া তিনি নীলচাষীদের আর্থিক সহায়তা এবং মামলা মোকদ্দমা চালানোর ক্ষেত্রে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করে বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

১৬) নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কি ছিল?
নীলবিদ্রোহ (1859 খ্রিঃ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ ।

এই বিদ্রোহেই প্রথম খ্রিস্টান মিশনারিরা বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইংল্যান্ডের চার্চ মিশনারি সোসাইটির 3 জন সদস্য, জার্মান মিশনারির বমভাইটস, ফ্রেডারিক সুর, জে.জি. লিংকে, সর্বোপরি জেমস লঙ -এর ভূমিকা গুরুত্ব পূর্ণ

জেমস লং দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নজরে আনার চেষ্টা করেন নীলচাষীদের দুর্দশার কথা।

১৭) দার উল হারব এবং দারুল ইসলাম কথার অর্থ কি?
দার-উল-হারব শব্দের অর্থ হলো বিধর্মীদের দেশ। বাংলাদেশ ওয়াহাবি ও ফরাজী আন্দোলনের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষকে বিধর্মীদের শাসিত দেশ বলে চিহ্নিত করা হয় এবং জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ার ডাক দেয়া হয়।

অন্যদিকে দার-উল-ইসলাম শব্দের অর্থ হলো ইসলামের পবিত্র ভূমি বা দেশ। আন্দোলনকারীরা ব্রিটিশ শক্তিকে হঠিয়ে দেশকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাসযোগ্য করে তোলার কথা বলে তাদেরকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উৎসাহিত করার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করতো।

১৮) নীলকররা নীল চাষীদের উপর কিভাবে অত্যাচার করত লেখ।
১৮৫৯-৬০ সালে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নীল চাষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিল বাংলার ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

এই বিদ্রোহের পিছনে যে সমস্ত কারণ কার্যকরী ছিল তাদের মধ্যে নীল চাষীদের উপর অকথ্য অত্যাচার সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই অত্যাচারের মাধ্যমে তারা নীলচাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতো। এক্ষেত্রে চাষীদের শারীরিক প্রহার, তাদের গরু-বাছুর নীলকুঠিতে আটকে রাখা, ঘরে আগুন লাগানো, তাদের স্ত্রী-কন্যার সম্মানহানি এবং নীলকুঠিতে আটকে রাখার মত বিষয়গুলি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল।

এইসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইন-আদালত গেলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যেত না। এ সমস্ত কারণে নীল চাষীর ক্রমশ সঙ্গবদ্ধ হয়ে বিদ্রোহের পথে অগ্রসর হয়

১৯) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?
আঠারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াড় জনজাতির মানুষেরা ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু করে তা ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত।

আঠারশ সালের জানুয়ারি মাসে গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি অনেক চেষ্টায় এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই বিদ্রোহের ফলে,
১) চুয়ার দের এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল যা পরবর্তীকালে ভারতের শিক্ষিত শিক্ষিত সম্প্রদায় অনুপ্রাণিত করেছিল প্রায় 100 বছর পরে।
২) জমিদার ও কৃষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিদ্রোহের শামিল হয়েছিল যা সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না।
৩) তাদের এই আন্দোলনের ফলে বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে দুর্গম বনাঞল কে নিয়ে জঙ্গলমহল নামে একটি বিশেষ জেলা গঠন করতে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়।
৪) এবং পরবর্তীকালে ভূমি রাজস্ব নির্ধারণের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়।


প্রশ্নগুলোর উত্তর আলাদা আলাদা ভাবে পেতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করো।

অন্যান্য প্রশ্ন :
  1. ভারতীয় অরণ্য আইন কী?
  2. ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল?
  3. বারাসাত বিদ্রোহ কী?
  4. বাঁশেরকেল্লা কী?
  5. খুৎকাঠি প্রথা কী?
  6. দাদন প্রথা কী?
  7. সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন?
  8. ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল?
  9. ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন?
  10. তিতুমীর স্মরণীয় কেন?
  11. দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন?
  12. দামিন-ই-কোহ কী?
  13. মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?
  14.  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল?
  15. নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল?
  16. 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী?
  17. নীলকররা নীল চাষীদের উপর কীভাবে অত্যাচার করত লেখ।
  18. চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?

মন্তব্যসমূহ

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।