অথবা
ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা পিতা জহরলাল নেহরু চিঠিগুলির গুরুত্ব লেখ।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম উপাদান হিসেবে নিঃসন্দেহে ব্যক্তিগত চিঠিপত্র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরূপ একটি ব্যক্তিগত চিঠি পত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "লেটার্স ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার"। নিম্নে এই চিঠির গুরুত্ব আলোচনা করা হল :
১) চিঠিপত্র সেন্সর :
গ্রন্থটির ভূমিকা থেকে জহরলাল নেহেরুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও কারাবরণের কথা যেমন জানা যায়, ঠিক সেরকমই সে সময় কারাগারে জেল বন্দির ঘন ঘন যে চিঠি লেখা যেত না সে সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
২) পিতার উপদেশ:
1928 খ্রিস্টাব্দে জহরলাল নেহেরু এলাহাবাদের জেল থেকে তার দশ বছর বয়সী কন্যা ইন্দিরা গান্ধীকে যে 30 টি চিঠি লিখেছিলেন, সেই চিঠিতে কন্যার প্রতি একজন স্নেহময় পিতার অমূল্য তত্ত্বাবধান ও উপদেশ রয়েছে।
৩) অর্থনৈতিক দুর্দশা :
এই চিঠিতে তিনি ভারতের অর্থনৈতিক বৈষম্য, খাদ্য সংকট, গরিবি প্রভৃতি ভারতবর্ষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং তার কারণও তুলে ধরেন।
৪) সভ্যতার প্রতিষ্ঠা :
বুদ্ধি কিভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে চতুর ও শক্তিশালী করে তুলল, কিভাবে ধর্ম বিশ্বাস এর প্রচলন হল, অর্থবহ শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে কিভাবে ভাষার উদ্ভব হলো, প্রাচীনকালের কিভাবে সমাজ সভ্যতা রাজতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হল প্রভৃতি সহজ ভাবে তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে এই পত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
মূল্যায়ন :
জহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির সাহিত্যিক মূল্য অপরিসীম। ভারতবর্ষের ঔপনিবেশিক শাসন, ভারতে সভ্যতার অগ্রগতি, আর্যদের আগমন, রামায়ণ ও মহাভারতের আদর্শ, শক্তিশালী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি নানা বিষয় এই চিঠিপত্রে স্থান পেয়েছে যা এই চিঠির গুরুত্বকে অমূল্য করেছে।
বিকল্প প্রশ্ন :
১) ব্যক্তিগত চিঠিপত্র কিভাবে আধুনিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে ওঠে দেখাও।
২) ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠির ঐতিহাসিক গুরুত্ব।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন