বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সংঘটিত হয় তার নাম ১) 'বয়কট' ও ২) 'স্বদেশি আন্দোলন'।
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...
বঙ্গভঙ্গের সাথে বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলনের সম্পর্ক কী।
উত্তরমুছুনলর্ড কার্জন বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য বাংলাকে ভাগ করেন। এই ঘটনা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।
উত্তরমুছুনবঙ্গভঙ্গের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলায় দুটি আন্দোলন সংঘটিত হয়। একটি বয়কট, অন্যটি স্বদেশি।
সুতরাং বঙ্গভঙ্গের সঙ্গে বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলনের সম্পর্ক হল :
১) বঙ্গভঙ্গ হল বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলনের কারণ।
২) বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলন হল বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়া।
-----////----