সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তিন আইন কী?

ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন' পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং ১৮৭২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রথা নিষিদ্ধ এবং  অসবর্ণ বিবাহ বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন' নামে পরিচিত। 

কাকে কেন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের 'ম্যাগনাকার্টা' বলা হয়?

উত্তর : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের জন্য  লর্ড হার্ডিঞ্জ  ১৮৪৪ সালে ঘোষণা করেন যে, সরকারি চাকরিতে ইংরেজি ভাষা জানা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই কাজকে আরও উৎসাহিত করার জন্য ১৮৫৪ সালে কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি  চার্লস উড  একটি নির্দেশনামা প্রকাশ করেন। (এই নির্দেশনামা  'উডের ডেসপ্যাস'  নামে পরিচিত।) এই নির্দেশনামায় প্রকাশিত হওয়ার ফলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই পর্বেই ১) কোলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ২) একটি পৃথক শিক্ষাদপ্তর প্রতিষ্ঠা হয়। ৩) শিক্ষক-শিক্ষন বিদ্যালয় স্থাপন করা। ৪) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর এই কারণেই এই নির্দেশনামাকে 'ম্যাগনাকার্টা বা মহাসনদ বলা হয়। 

উডের ডেসপ্যাচ কী?

উত্তর : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের জন্য লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৮৪৪ সালে ঘোষণা করেন যে, সরকারি চাকরিতে ইংরেজি ভাষা জানা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই কাজকে আরও উৎসাহিত করার জন্য ১৮৫৪ সালে কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড একটি নির্দেশনামা প্রকাশ করেন। এই নির্দেশনামা 'উডের ডেসপ্যাস' নামে পরিচিত। এই নির্দেশনামায় সুপারিশগুলি হল - ১) কোলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। ২) একটি পৃথক শিক্ষাদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা। ৩) শিক্ষক-শিক্ষন বিদ্যালয় স্থাপন করা। ৪) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ৫) বিদ্যালয়গুলিতে সরকারি অনুদান দেওয়া। ৬) মাতৃভাষায় বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করা। ৭) স্ত্রীশিক্ষার ব্যবস্থা করা।

৬.৫ বিবৃতি : গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্যাঙ্গচিত্রগুলিতে বাঙালি বাবুদের সমালোচনা করেছেন।

৬.৫ বিবৃতি : গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্যাঙ্গচিত্রগুলিতে বাঙালি বাবুদের সমালোচনা করেছেন। ✔️ব্যাখ্যা - ১ : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুরাগী ছিলেন। ব্যাখ্যা - ২ : বাঙালি বাবুরা ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী ছিলেন। ব্যাখ্যা - ৩ : বাঙালি বাবুরা দরিদ্র ছিলেন।

৬.৪ বিবৃতি : রবীন্দ্রনাথ গোরা উপন্যাস লিখেছিলেন

৬.৪ বিবৃতি : রবীন্দ্রনাথ গোরা উপন্যাস লিখেছিলেন ব্যাখ্যা - ১ : পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনার জন্য। ব্যাখ্যা - ২ : ঔপনিবেশিক শাসনকে সমালোচনা করার জন্য। ✔️ব্যাখ্যা - ৩ : সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য।

৬.৩ বিবৃতি : শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি বড় অংশ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি।

৬.৩ বিবৃতি : শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি বড় অংশ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি। ব্যাখ্যা - ১ : বিদ্রোহীরা বহু সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল। ব্যাখ্যা - ২ : এই বিদ্রোহ ছিল মূলত অশিক্ষিত মানুষের বিদ্রোহ। ✔️ব্যাখ্যা - ৩ : শিক্ষিত বাঙালিদের অনেকেই ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করত।

৬.২ বিবৃতি : সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান হয়।

৬.২ বিবৃতি : সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান হয়। ✔️ব্যাখ্যা - ১ : ব্রিটিশ সরকার বুঝেছিল ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে সুবিশাল ভারতের শাসনভার দেওয়া ঠিক হবে না। ব্যাখ্যা - ২ : ব্রিটেনের জনগণ চাইছিল ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেন আর না থাকে। ব্যাখ্যা - ৩ : এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে উঠেছিল?

৬.১ বিবৃতি : সিপাহি বিদ্রোহকে অনেকেই ভারতের জাতীয় বিদ্রোহ বলে মনে করেন না।

৬.১ বিবৃতি : সিপাহি বিদ্রোহকে অনেকেই ভারতের জাতীয় বিদ্রোহ বলে মনে করেন না। ✔️ব্যাখ্যা - ১ :বিদ্রোহে কোনো জাতীয় নেতা এবং জাতীয় লক্ষ্য ছিল না। ব্যাখ্যা - ২ :এই বিদ্রোহে সিপাহিরা কেবল তাদের স্বার্থই দেখেছিল। ব্যাখ্যা - ৩ : বিদ্রোহীদের মধ্যে ছিটেফোঁটা শিক্ষা ছিল না।

মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ডালহৌসি। - ২০১৭

মিথ্যা

ম্যাপ পায়েংটিং। সেট - ১

ম্যাপ পয়েন্টিং। সেট - ১ বাম দিকে প্রশ্ন। ডানদিকে ম্যাপে উত্তর দেখাচ্ছে। ৬ নং স্লাইডে সম্পূর্ণ উত্তর দেখাচ্ছে

৪) চতুর্থ অধ্যায়। স্তম্ভ মেলাও। তৃতীয় সেট।

উত্তর ‘ ক ’ - স্তম্ভ ‘ খ ’- স্তম্ভ ৩.১ গোরা ১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩.২ অন্নদামঙ্গল ২ ভরতচন্দ্র রায়গুণকার ৩.৩ লাঙল ৩ কাজী নজরুল ইসলাম

চতুর্থ অধ্যায় (স্তম্ভ মেলাও), দ্বিতীয় সেট

উত্তর : ‘ ক ’ -   স্তম্ভ ‘ খ ’-  স্তম্ভ ৩.১ মোপলা বিদ্রোহ ১ মালাবার উপকূল ৩.২ রাম্পা আন্দোলন ২ আল্লুরি সীতারাম রাজু ৩.৩ বিরূপ বস্ত্র (গ্রন্থ) ৩ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুর্থ অধ্যায় (স্তম্ভ মেলাও) প্রথম সেট

উত্তর : ‘ ক ’ -  স্তম্ভ ‘ খ ’-  স্তম্ভ ৩.১ বাংলার টলস্টয় ১ মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দী ৩.২ মজদুর মহাজন ২ এম কে গান্ধি ৩.৩ গণবাণী ৩ মুজফফর আহমেদ

'সত্যানন্দ' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?

উত্তর : 'সত্যানন্দ' চরিত্রটি 'আনন্দমঠ' উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?

'গোরা' উপন্যাসটি কত সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়?

উত্তর : 'গোরা' উপন্যাসটি ১৯১০ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়?

'গোরা' উপন্যাসটি কত সালে রচিত হয়?

উত্তর : 'গোরা' উপন্যাসটি ১৯০৭-১৯০৯ সালে রচিত হয়?

'সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন' কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর : 'সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন' ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

'হিন্দুমেলা'র অপর নাম কী?

উত্তর : 'হিন্দুমেলা'র অপর নাম 'চৈত্র মেলা'।

কে উনিশ শতককে 'সভাসমিতির যুগ' বলে অভিহিত করেছেন?

উত্তর : উনিশ শতককে 'সভাসমিতির যুগ' বলে অভিহিত করেছেন ড. অনিল শীল।

'ভারতসভা' কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর : 'ভারতসভা' কোলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

মহাবিদ্রোহের পর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে কোথায় নির্বাসন দেওয়া হয়?

উত্তর : মহাবিদ্রোহের পর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে রেঙ্গুনে (বর্তমান নাম - ইয়াঙ্গুন) নির্বাসন দেওয়া হয়?

'ভাইসরয়' কথাটির অর্থ কী?

উত্তর : 'ভাইসরয়' কথাটির অর্থ হল 'রাজপ্রতিনিধি'।

'এইটটিন ফিফটি সেভেন' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?

উত্তর : 'এইটটিন ফিফটি সেভেন' গ্রন্থটি রচনা করেন ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন।

'দি গ্রেট রেবেলিয়ান' গ্রন্থটি কার রচনা?

উত্তর : 'দি গ্রেট রেবেলিয়ান' গ্রন্থটি রচনা করেন অশোক মেহেতা।

জমিদার সভার প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তর : জমিদার সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজা রাধাকান্ত দেব।

কাকে জমিদার সভার প্রাণপুরুষ বলা হয়?

উত্তর : দ্বারকানাথ ঠাকুরকে জমিদার সভার প্রাণপুরুষ বলা হয়।

কে 'সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন'কে জাতীয় কংগ্রেসের দিকে প্রথম পদক্ষেপ বলেছেন?

উত্তর : 'সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন'কে 'জাতীয় কংগ্রেসের দিকে প্রথম পদক্ষেপ' ('জাতীয় কংগ্রেসের মহড়া') বলেছেন ড. অমলেশ ত্রিপাঠি।

'বেঙ্গলি' পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

উত্তর : 'বেঙ্গলি' পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন  সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়  ।

'ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনে'র প্রতিষ্ঠা কবে হয়?

উত্তর : 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনে'র প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৫১ সালে।

'বাংলা সাহিত্যের স্বভাবকবি' কাকে বলা হয়?

উত্তর : 'বাংলা সাহিত্যের স্বভাবকবি' বলা হয় গোবিন্দ্রচন্দ্র দাসকে

'খল ব্রাহ্মণ' চিত্রটি কে অঙ্কন করেন?

উত্তর : 'খল ব্রাহ্মণ' চিত্রটি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর অঙ্কন করেন?

চতুর্থ অধ্যায়, অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (এক বাক্যে উত্তর)

১) কোন গ্রন্থকে 'স্বদেশ প্রেমের গীতা' বলা হয়? উত্তর : আনন্দমঠকে 'স্বদেশ প্রেমের গীতা' বলা হয়। ২) 'হিন্দুমেলা'র প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন? উত্তর : হিন্দু মেলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ৩) 'খল ব্রাহ্মণ' চিত্রটি কে অঙ্কন করেন? উত্তর : 'খল ব্রাহ্মণ' চিত্রটি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর অঙ্কন করেন? ৪) 'ভারতমাতা' চিত্রটি কে অঙ্কন করেন? উত্তর : 'ভারতমাতা' চিত্রটি অঙ্কন করেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ৫) 'বাংলা সাহিত্যের স্বভাবকবি' কাকে বলা হয়? উত্তর : 'বাংলা সাহিত্যের স্বভাবকবি' বলা হয় গোবিন্দ্রচন্দ্র দাসকে ৬) 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনে'র প্রতিষ্ঠা কবে হয়? উত্তর : 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনে'র প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৫১ সালে। ৭) 'বেঙ্গলি' পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন? উত্তর : 'বেঙ্গলি' পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় । ৮) কে 'সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন'কে জাতীয় কংগ্রেসের দিকে প্রথম পদক্ষেপ বলেছেন? উত্তর : 'সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন'কে

'ভারতমাতা' চিত্রটি কে অঙ্কন করেন?

'ভারতমাতা' চিত্রটি অঙ্কন করেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

'হিন্দুমেলা'র প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?

উঃ 'হিন্দুমেলা'র প্রথম সম্পাদক ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

খেলাধুলার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থ ও তার লেখকের নাম লেখো।

খেলাধুলার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থ ও তার লেখকের হল :             গ্রন্থের নাম                                  লেখকের নাম ১) ক্রিকেট ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া ---------  বোরিয়া মজুমদার ২) এ সোশ্যাল হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ফুটবল : স্ট্রাইজিং টু স্কোর  -----কৌশিক বন্দোপাধ্যায়। ৩) বিদ্রোহী মারাদোনা -----------------রূপক সাহা 

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ। এখানে থাকে সমগ্র মানব সমাজের সমগ্র অংশের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার বা উত্থান-পতনের বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ। -----x-------- আরও জানতে এখানে ক্লিক করো ।

খেলার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

খেলার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ঐতিহাসিকের নাম হল রামচন্দ্র গুহ, বোরিয়া মজুমদার, জে এ ম্যাসন, রিচার্ড হোল্ট প্রমুখ। 

'সাব-অলটার্ন' বা 'নিন্মবর্গীয় ইতিহাসচর্চা'র সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

'সাব-অলটার্ন' বা 'নিন্মবর্গীয় ইতিহাসচর্চা'র সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ঐতিহাসিকের নাম হল রনজিৎ গুহ, পার্থ চ্যাটার্জি, শাহিদ আমিন, সুমিত সরকার, গৌতম ভদ্র, জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে, দীপেশ চক্রবর্তী, সুদীপ্ত কবিরাজ প্রমুখ। এই ধারার প্রবর্তক হলেন রনজিৎ গুহ। 

নিন্মবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে কী বোঝ?

১৯৮০ -র দশক থেকে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাসচর্চায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি চালু হয়। জাতি-ধর্ম-শ্রেণি-লিঙ্গ যে-কোন দিক থেকেই যারা সমাজের নিম্নস্তরভুক্ত তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দিয়ে এই ধারায় ইতিহাসচর্চা করা হয়। ইতিহাসের এই ধারাকে 'সাব-অলটার্ন' বা 'নিন্মবর্গীয় ইতিহাসচর্চা' নামে পরিচিত।

'আধুনিক ইতিহাসের জননী' কাকে কেন বলা হয়?

নতুন সামাজিক ইতিহাসকে আধুনিক ইতিহাসের জননী বলা হয়। কারণ বর্তমানকালে সমাজের সবস্তরের মানুষকে নিয়ে ইতিহাস চর্চা করা হয় নতুন সামাজিক ইতিহাসে। শুধুমাত্র বহুচর্চিত প্রতিবাদী আন্দোলন নয়, সমাজজীবনের বিভিন্ন পরিসরে আপাত তুচ্ছ ঘটনাবলীও এই ইতিহাসে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। 

'পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট' কী?

'পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট' হচ্ছে একটি ইতিহাস বিষয়ক পত্রিকা। এর মাধ্যমে  নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার সমর্থক একটি ঐতিহাসিক গোষ্ঠী ইতিহাস চর্চা করেন। এঁরা মূলত ব্রিটিশ ঐতিহাসিক গোষ্ঠী। 

'অ্যানাল স্কুল' কী?

১৯৬০-৭০-এর দশক থেকে ইউরোপে নিচুতলা থেকে সামগ্রিক ইতিহাস (TOTAL HISTORY)  বা নতুন সামাজিক ইতিহাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ফ্রান্সের কয়েকজন ঐতিহাসিক। এদের মধ্যে মার্ক ব্লখ, লুসিয়েন ফেবর, ফার্নান্দ ব্রদেল, লাঁদুরি প্রমুখের নাম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এঁদের দ্বারা পরিচালিত ঐতিহাসিক গোষ্ঠী 'অ্যানাল স্কুল' নাম পরিচিত। 

আধুনিক ইতিহাস চর্চার নানা বৈচিত্রগুলি সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করো।

অথবা, সাম্প্রতিককালে ইতিহাসের আলোচনার বিষয়বস্তুর  নানা শাখা সংক্ষেপে লেখো। ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ। এখানে থাকে সমগ্র মানব সমাজের সমগ্র অংশের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার বা উত্থান-পতনের বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ। তাই আধুনিক ইতিহাসচর্চায় বৈচিত্র্য এসেছে। নতুন সামাজিক ইতিহাস : কিন্তু অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের আলোচনাও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই এই ইতিহাস নতুন সামাজিক ইতিহাস নামে পরিচিত। জার্মান দার্শনিক কার্ল মার্কস , ভারতীয় ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার ও  ইরফান হাবিব , ফরাসি ঐতিহাসিক মার্ক ব্লখ এই ধরার ইতিহাস চর্চা করেছেন। খেলার ইতিহাস : আধুনিক ইতিহাসের চর্চায় খেলার ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ, এই ইতিহাস সমাজ-সংস্কৃতির আলোচনায় ও জাতীয়তাবাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এধরনের ইতিহাস চর্চায় জে এ ম্যাসান, রিচার্ড হোল্ড ('স্পোর্টস অ্যান্ড দ্য ব্রিটিশ - আ মডার্ন হিস্ট্রি'), রামচন্দ্

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।