ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ। কিন্তু অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথাও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ শতক থেকে ইতিহাসচর্চার এই ধারা 'আধুনিক ইতিহাসচর্চা' নামে পরিচিত।
এইভাবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মানবজাতির অতীতকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করার রেওয়াজ শুরু হয়েছে, সেই সঙ্গে নতুন নতুন বিষয় ইতিহাসের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর এই কারণে ইতিহাসচর্চা হয়ে উঠেছে বৈচিত্রপূর্ণ।
আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্ৰসমূহ :
আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্ৰসমূহকে নিম্নলিখিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
১) নতুন সামাজিক ইতিহাস : বিশশতকে সমাজের উঁচুতলার মানুষের সাথে সাথে নিচুতলার মানুষের জীবনযাপনের কথা ইতিহাসের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। এই ধরণের ইতিহাসচর্চা 'নতুন সামাজিক ইতিহাস' নামে পরিচিত। কার্ল মার্কস, মার্ক ব্লখ, রনজিৎ গুহ প্রমুখ এই ধরণের ইতিহাসচর্চার প্রচারক ও প্রসারক।
২) খেলার ইতিহাস : খেলাধুলার বিষয়টিও এই সময় ইতিহাসের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। কারণ, জাতির আত্মপরিচয়ে খেলাধুলার যোগ খুবই গভীর। এবিষয়ে জে এ ম্যাসন, রিচার্ড হোল্ট, রামচন্দ্র গুহ বোরিয়া মজুমদার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।এভাবে খেলাধুলা ইতিহাসের বিষয় হওয়ায় ইতিহাসচর্চায় বৈচিত্র এসেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন