ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ। অর্থাৎ সভ্যতার আদি পর্ব থেকে কীভাবে মানব সভ্যতা একটু একটু করে উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছেছে তার ধারাবাহিক বিবরণ থাকে ইতিহাসের পাতায়। সুতরাং ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি : ১) মানব সভ্যতার কীভাবে উৎপত্তি হয়েছে। ২) এই সভ্যতা কীভাবে একটু একটু করে উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছেছে। এবং ৩) এই বিবরণ পাঠের মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের চলার পথকে কীভাবে আরও মসৃণ করে তোলা যায়।
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে