‘হিন্দু মেলা’র চারটি উদ্দেশ্য ও চারটি সীমাবদ্ধতা লেখো।
![]() |
হিন্দু মেলা’র চারটি উদ্দেশ্য ও সীমাবদ্ধতা |
হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য :
হিন্দু মেলার দ্বিতীয় অধিবেশনেই সম্পাদক জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন- আমাদের এই মিলন সাধারণ ধর্ম-কর্মের জন্য নয়, কোনো বিশেষ সুখের জন্য নয়, কোনো আমোদ-প্রমোদের জন্য নয়। এটি স্বদেশের জন্য, ভারতের জন্য। হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল -
- সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে হিন্দুধর্মের অতীত গৌরবের কথা ছড়িয়ে দেওয়া।
- দেশীয় ভাষা চর্চা করা, জাতীয় প্রতীকগুলিকে মর্যাদা দেওয়া প্রভৃতি।
- প্রাচীন হিন্দু ঐতিহ্য তুলে ধরে নবগোপাল মিয় এদেশে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসার প্রতিরোধের উদ্যোগ নেন।
- এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে যুবকদের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি ও শৃংখলাবন্ধ হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা বৃটিশ স্যগ্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হতে পারে।
- সাধারণ মানুষকে তাদের অতীত ঐতিহ্য সম্বন্ধে অবহিত করা হয়।
- কবি, সাহিত্যক, চিন্তাবিদ, শিল্পীদের অবদান সম্পর্কে সচেতন করা। শিল্পী, লেখকদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
হিন্দু মেলার সীমাবদ্ধতা :
- শুধু হিন্দু ও হিন্দু জাতীয়তাবাদে গুরুত্ব দেয়ায় তা সাম্প্রদায়িকতা দোষে দুষ্টু হয়ে পড়ে।
- বছরে শুধু একবার মেলার আয়োজন করা হতো। ফলে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ এর বিকাশের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
- এই মেলা হত উত্তর কলকাতায়। ফলে গ্রামবাংলায় এর কোন প্রভাব পড়েনি।
- এই মেলা হিন্দু জাগরণের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী সমর্থন করেনি।
- রাজনৈতিক কর্মকান্ডে গুরুত্ব না দিয়ে শুধুমাত্র দেশাত্মবোধ প্রচারের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বহীন বলে মনে হয়েছিল।
----------xx--------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন