ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? ফরাজী শব্দের অর্থ হলো ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য। মূলত একেশ্বরবাদ সামাজিক সাম্য সহ কোরআনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করার জন্য ১৮২০ সালে মৌলভী হাজী শরীয়ত উল্লাহ যে সংস্কার আন্দোলন গড়ে তোলেন তা ফরাজি আন্দোলন নামে পরিচিত। সুতরাং এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্যই ছিল ইসলামের শুদ্ধিকরণ করে ধর্মীয় পুনর্জাগরণ ঘটানো। তবে শরীয়তউল্লাহ মৃত্যুর পর তার পুত্র মোহাম্মদ মুসিন বা দুধু মিয়া এই আন্দোলনকে অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৃষক আন্দোলনের পরিণত করেন। ফলে এই আন্দোলন ক্রমশ ব্রিটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় বলে অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ এবং ডঃ অভিজিৎ দত্ত মনে করেন। বিকল্প প্রশ্ন : ১) ফরাজি শব্দের অর্থ কী? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? ২) ফরাজি আন্দোলনের চরিত্র কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজ
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে