সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর। আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সরকারি নথিপত্র । এই সরকারি নথিপত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পদাধিকারী যেমন পুলিশ, গোয়েন্দা বা সরকারি আধিকারিকদের রিপোর্ট, প্রতিবেদন, বিবরণ ও চিঠিপত্র ইত্যাদি। সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব : ১) সরকারি প্রতিবেদন : সরকারের আধিকারি, গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারী, পুলিশ বা গোয়েন্দা, প্রভৃতিরা বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন পাঠাতো সরকারের কাছে। এই প্রতিবেদনগুলি থেকে ওই সময়ের বিভিন্ন আন্দোলন বা গুপ্তবিপ্লবী কার্যকলাপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়। ২) বিশেষ কমিশনের প্রতিবেদন: সরকার বিশেষ বিশেষ সমস্যার জন্য কমিশন গঠন করতো এবং সেই কমিশন সরকারকে রিপোর্ট জমা দিত। এই রিপোর্টেগুলো থেকেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, সাইমন কমিশনের প্রতিবেদন থেকে সমকালীন শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করা যায়। তাই এই প্রতিবেদনগুলিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৩) চিঠিপত্রের আদান-প্রদান : সরকারি ব্যবস্থায় চিঠিপত্র আদান-প্রদান করা একটি স্বাভাবিক ঘ
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে