রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাভাবনার সমালোচনামূলক আলোচনা করো। - ২০২৩ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাভাবনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচক ছিলেন। তিনি বিদেশী ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার বিরোধী ছিলেন। তাঁর মতে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা ভারতীয়দের মধ্যে ভেদাভেদ ঘটাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষার হেরফের, তোতাকাহিনী, শিক্ষার বিকিরণ প্রভৃতি প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করা যায়। তাঁর মতে, শিক্ষা হবে মানবজীবনের পূর্ণতাদানের চাবিকাঠি। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনার বৈশিষ্ট্য : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গুরুকুল শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। প্রকৃতি পাঠ কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। মানব প্রকৃতির সাথে বিশ্বপ্রকৃতির মেলবন্ধন ঘটানো, প্রকৃতির কোলে বসে শিক্ষাগ্রহণের কথা বলেন। চার দেওয়ালের পরিবর্তে খোলা আকাশের তলায় আলো, বাতাস, গাছপালার মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের কথা বলেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ব্রহ্ম বিদ্যালয়' সূচনা করেন। 'গোলদীঘির গোলামখানা' ছেড়ে আসার জন্য তিনি সরব হন। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও ভারতীয় সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটানোর উল্লেখ করার কথা বলেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব...
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো অথবা টীকা লেখা : সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ আইন পাশ করেছিল, তা ভারতীয় উপজাতিদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়, যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল— ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার:- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত : ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলে সাঁও...