বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব' এর ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। বিদ্রোহ , অভ্যুত্থান ও বিপ্লব তিনটি শব্দ আপাতভাবে একইরকম মনে হলেও ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তিনটি শব্দের মধ্যে মূলগত পার্থক্য আছে। বিদ্রোহ : যেমন বিদ্রোহের ভিত্তি হল প্রতিবাদ। প্রচলিত ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ ও বিরোধিতা করা। স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী, স্বশস্ত্র বা অস্ত্রছাড়া আন্দোলন। মূলত শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ। এটি একক বা সমষ্টিগত দুইভাবে সংঘটিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ নীল-বিদ্রোহ । তবে এর প্রকৃতি হল ধীরগতিতে পরিবর্তন ঘটে। অভ্যুত্থান : এর মূল চরিত্র হল সামরিক এবং প্রধান লক্ষ্যবস্তু হল কোন সরকার বা রাষ্ট্রব্যবস্থা। এটি আবশ্যিকভাবে সমষ্টিগত হবে। কখনো কখনো নিজ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি অংশের প্রতিবাদ হিসাবে আকস্মিকভাবে এটি ঘটে থাকে। যেমন- ১৯৪৬ খ্রিঃ ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নৌবিদ্রোহ 'কে অভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। বিপ্লব: বিপ্লব হল প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন। এটি সশস্ত্র বা অস্ত্রহীন অথবা শান্তিপূর্ণও হতে পারে। এটির সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাব অনেক বেশি। বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে