'গোরা' উপন্যাসের দিয়ে কীভাবে স্বদেশভাবনা বা জাতীয়তাবোধ : উত্তর : গোরা’ উপন্যাস একটি স্বাদেশিক উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র গোরা, যাঁকে রবীন্দ্রনাথ একজন নির্ভেজাল দেশপ্রেমিক রূপে গড়ে তুলেছেন। ‘গোরা’ উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন্দ্রীয় চরিত্র গোরার বক্তব্য ও কার্যকলাপের মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে গঠনমূলক ও সমন্বয়বাদী জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। ‘গোরা’ উপন্যাসের ভূমিকা : প্রথমত, গোঁরা উপন্যাসে গোরার চোখে দেশের অগণিত দরিদ্র মানুষের দুঃখকষ্ট ধরা পড়েছে। অশিক্ষিত মানুষের প্রতি এদেশীয় ইংরেজি জানা তথাকথিত শিক্ষিত ও ভদ্রবেশী মানুষের অবজ্ঞা ও বিদ্রুপ তাঁকে গভীরভাবে আহত করেছে। দ্বিতীয়ত, নায়ক গোরার কাছে পার্থিব প্রেম-ভালোবাসা, দেশাত্মবোধের কাছে হার মেনেছে। তাই তিনি তাঁর প্রেমিকা সুচরিতার প্রেমবন্ধন ছিন্ন করে দূরে সরে গিয়েছেন। তৃতীয়ত, ব্রাহ্মনেতা পরেশবাবুকে গোঁরা একদিন বলেছেন, ‘আপনি আমাকে আজ সেই দেবতার মন্ত্র দিন, যিনি হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান-ব্রাক্ষ্মণ সকলেরই....যিনি ভারতবর্ষের দেবতা।' এই উক্তির মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন গোরার অন্তরে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে