রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন কেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতেসরকার কর্তৃক যে প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় তা উপনিবেশিক শিক্ষা নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাশ্চাত্য শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক হলেও তিনি এই ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই শিক্ষাব্যবস্থায়, তাঁর কথায়, 'ছাত্ররা দুই-চার পাত কলে-ছাঁটা বিদ্যা লইয়া বাড়ি ফেরে।' ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা : ভারতের অতীত ঐতিহ্য স্থান পায়নি : ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতের গৌরবোজ্জ্বল অতীত, সাংস্কৃতিক মহিমা ও জাতীয় ঐতিহ্যের কোন স্থান ছিল না এই শিক্ষায় মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা খুবই সমস্যায় পড়ে। ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের চার দেয়ালের শ্রেণীকক্ষে আটকে যান্ত্রিক উপায়ে পাঠদান করা হতো। ফলে শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে শিশুরা আনন্দ পেতনা। উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরাতার চারপাশের প্রাবন্ধ প্রাণবন্ত জগতের সঙ্গে শি
কে কত সালে ‘কৃষক-প্রজা পার্টি’ গড়ে তোলেন? এই দল গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী ছিল? কৃষক-প্রজা পার্টি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য 'কৃষক-প্রজা পার্টি'র প্রতিষ্ঠাতা : আবুল কাশেম ফজলুল হক, যিনি 'শের-ই-বেঙ্গল' নামে পরিচিত ছিলেন, ১৯৩৬ সালে বাংলা প্রদেশে 'কৃষক-প্রজা পার্টি' গড়ে তোলেন। প্রকৃতপক্ষে আইন অমান্য আন্দোলন পর্বে ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত 'নিখিলবঙ্গ প্রজা সমিতি'র নাম পরিবর্তন করে 'কৃষক-প্রজা পার্টি' করা হয়। 'কৃষক-প্রজা পার্টি' প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : ১৯৩৬ সালে কৃষক প্রজা পার্টি তাদের ইস্তাহারে দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করে। ভারতে একটি দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা, ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক ধর্মীয় ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ করা, ভারতের মুসলমান ও মুসলমানদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ঐক্য স্থাপন করা, জমিদারি প্রথা অবসানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা, এবং খাজনার হার কমানো, কৃষকদের সুদ-মুক্ত ঋণ প্রদান করা, দেশব্যাপী খাল খনন করা, বিনা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা ইত্যাদি । সর্বোপরি, 'কৃষক-প্রজা পার্টি' বাংলার পিছিয়ে পড়া কৃষক শ্রেণির মধ্যে রাজনৈত