সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

দশম শ্রেণি : সর্বশেষ প্রকাশিত প্রশ্নোত্তর

পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় কেন?

ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় কেন? পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় কেন? মধুসূদন গুপ্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজে চারজন সহযোগী ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম শবদেহ ব্যবচ্ছেদ করেন। এটি ছিল হিন্দু সমাজের জন্য একটি বৈপ্লবিক কার্যক্রম। মূলত, এই কারণেই ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ স্মরণীয় হয়ে আছে। -------xx------ এই প্রশ্নটি যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন ? তিনি কী জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন? ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাসে ১৮৩৬ সাল বিখ্যাত কেন?  আধুনিক ভারতে কত সালে, কোথায় প্রথম শবদেহ ব্যবচ্ছেদ করা হয়? কার নেতৃত্বে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছিল? কলকাতা মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে ১৮৩৬ সাল স্মরণীয় কেন?  এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল : মেকলে মিনিটস কী? ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী'? 'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণীয় কেন ? হার্...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো?

 পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো?  পরিবেশের ইতিহাস বলতে কী বোঝো? আধুনিক বিশ্বে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের জীবনধারন প্রণালী, রীতিনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন, তাদের সংস্কৃতি, ধর্মাচার ও সমাজের প্রকৃতি, এক কথায় মানব সভ্যতা, পরিবেশ দ্বারা গভীরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং যে পঠনপাঠন বিদ্যার মাধ্যমে মানব সভ্যতার ওপর পরিবেশের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এবং মানুষ পরিবেশ সচেতন হয়ে ওঠে, তাকে পরিবেশের ইতিহাস বলা হয়। সংক্ষেপে, একটি জাতি বা তার সভ্যতা পরিবেশ দ্বারা কীভাবে কতটা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তা জানার জন্য পরিবেশের ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ----xx---- এই প্রশ্নটি আর যেভাবে আসতে পারে : পরিবেশের ইতিহাস কী? পরিবেশের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? মানব সভ্যতার ওপর পরিবেশের ইতিহাসের প্রভাব কতটা? পরিবেশের ইতিহাস কাকে বলে?? এর গুরুত্ব লেখো। এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো হল : ইতিহাস কী? 'অ্যানাল স্কুল কী? এটি কীজন্য বিখ্যাত? নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে কী বোঝো? নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার স...

কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল?

কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল? - ২০২০, ২০২৩ কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল? স্বাধীন ভারত সরকার তেলেগু ভাষাভাষীদের দাবির ভিত্তিতে ১৯৫৩ সালে স্বতন্ত্র ভাষাভিত্তিক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ গঠন করলে এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ভারতের অন্যান্য ভাষা গোষ্ঠীর মানুষরাও আন্দোলনের নামে। ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে গঠিত আন্দোলনের হিংসাত্মক প্রভাব কমাতে এবং অঙ্গরাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণ নির্ধারণের নীতি তৈরীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ১৯৫৩ সালে আগস্ট মাসে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করেন।  কমিশনের মোট সদস্য ছিলেন তিনজন। এরা হলেন বিচারপতি ফজল আলী, কে. এম পানিক্কর, ও হৃদয়নাথ কুঞ্জুর। ---------xx------- এই প্রশ্নটি আর যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : কত সালে কেন রাজ্য  পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়েছিল? রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের পটভূমি উল্লেখ করো। কে কী উদ্দেশ্যে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করেছিলেন? কত সালে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছিল? এই কমিশনের সদস্যদের নাম লেখো। রাজ্য পুনর্গঠন বিষয়ক আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ১৯৫৩ কেন...

'চুইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

কোম্পানির শিক্ষাক্ষেত্রে 'চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝায়? 'চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? উঃ জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি লর্ড মেকলে ভারতে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর এক প্রস্তাবে লর্ড বেন্টিঙ্ক'কে বলেন যে, জল যেভাবে ওপর থেকে নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ভারতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটলে তা ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। মেকলের এই নীতিই 'চুঁইয়ে পড়া নীতি' নামে পরিচিত। -------xx------ এই প্রশ্নটি আর যে যে ভাবে আসতে পারে : চুইয়ে পড়া নীতি কী? কে কি উদ্দেশ্যে চুইয়ে পড়া নীতির প্রস্তাব করেছিলেন? চুইয়ে পড়া নীতি তত্ত্বটি কোন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত? কিভাবে এই নীতি কার্যকরী হবে বলেভাবা হয়েছিল? চুইয়ে পড়া নীতির প্রবর্তক কে? কেন তিনি এই নীতির প্রস্তাব করেছিলেন? চুইয়ে পড়া নীতিগ্রহণ করার কারণ কি ছিল? শিক্ষা সংস্কার বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি হল : মেকলে মিনিটস কী? ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 'মেকলে মিনিটস'র অবদান কী'? 'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? কাদম্বিনী বস...

সরদার প্যাটেলকে ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয় কেন?

সরদার প্যাটেলকে ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয় কেন? সরদার প্যাটেলকে ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয় কেন? স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলকে ‘ ভারতের   লৌহ-মানব’ বলা হয়।  কারণ - তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব ভিপি মেনান ও বড়লাট মাউন্টব্যাটেনের সহযোগিতায় কূটনীতি ও যুদ্ধনীতির মাধ্যমে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারত ভুক্ত করে দেশকে রাজনৈতিক সংকটমুক্ত করেন।  তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভারতের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বা পাকিস্তানের পক্ষে যোগদানে ইচ্ছুক দেশীয়রাজ্যগুলো ভারতভুক্ত হলে ভারতবর্ষের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ১৯২৮ সালে বারদৌলি সত্যাগ্রহের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.০৩ শতাংশ করতে সরকারকে বাধ্য করেন। এক কথায়, দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতীয়করণ করা এবং দেশের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় তাঁর এই লৌহকঠিন মানসিকতার কারণে তাঁকে ‘ ভারতের লৌহমানব’ বলা হয়। -----------xx----------- এই প্রশ্নটিই অন্য যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : কাকে, কেন ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয়? সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল কে ছিলেন? তাঁকে কেন ভারতের লৌহমানব বলা হয়? স্বাধীন ভারতের ঐক্য ...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন কেন?

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন কেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতেসরকার কর্তৃক যে প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় তা উপনিবেশিক শিক্ষা নামে পরিচিত।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাশ্চাত্য শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক হলেও তিনি এই ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই শিক্ষাব্যবস্থায়, তাঁর কথায়, 'ছাত্ররা দুই-চার পাত কলে-ছাঁটা বিদ্যা লইয়া বাড়ি ফেরে।' ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা : ভারতের অতীত ঐতিহ্য স্থান পায়নি : ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতের গৌরবোজ্জ্বল অতীত, সাংস্কৃতিক মহিমা ও জাতীয় ঐতিহ্যের কোন স্থান ছিল না এই শিক্ষায় মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।  ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা খুবই সমস্যায় পড়ে।  ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের চার দেয়ালের শ্রেণীকক্ষে আটকে যান্ত্রিক উপায়ে পাঠদান করা হতো।  ফলে শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে শিশুরা আনন্দ পেতনা। উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরাতার চারপাশের প্রাবন্ধ প্র...

কৃষক-প্রজা পার্টি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য

 কে কত সালে ‘কৃষক-প্রজা পার্টি’ গড়ে তোলেন? এই দল গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী ছিল? কৃষক-প্রজা পার্টি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য 'কৃষক-প্রজা পার্টি'র প্রতিষ্ঠাতা : আবুল কাশেম ফজলুল হক, যিনি 'শের-ই-বেঙ্গল' নামে পরিচিত ছিলেন, ১৯৩৬ সালে বাংলা প্রদেশে 'কৃষক-প্রজা পার্টি' গড়ে তোলেন। প্রকৃতপক্ষে আইন অমান্য আন্দোলন পর্বে ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত 'নিখিলবঙ্গ প্রজা সমিতি'র নাম পরিবর্তন করে 'কৃষক-প্রজা পার্টি' করা হয়। 'কৃষক-প্রজা পার্টি' প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : ১৯৩৬ সালে কৃষক প্রজা পার্টি তাদের ইস্তাহারে দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করে। ভারতে একটি দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা,  ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক ধর্মীয় ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ করা,  ভারতের মুসলমান ও মুসলমানদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ঐক্য স্থাপন করা,  জমিদারি প্রথা অবসানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা, এবং খাজনার হার কমানো, কৃষকদের সুদ-মুক্ত ঋণ প্রদান করা, দেশব্যাপী খাল খনন করা, বিনা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা ইত্যাদি ।  সর্বোপরি, 'কৃষক-প্রজা পার্টি' বাংলার পিছিয়ে পড়া কৃষক শ্রেণির মধ্যে রাজনৈত...

‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স’ কে কী উদ্দেশ্যে গড়ে তুলেছিলেন?

 ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স’ কে কী উদ্দেশ্যে গড়ে তুলেছিলেন? ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স’ কে কী উদ্দেশ্যে গড়ে তুলেছিলেন? ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে জুলাই কলকাতার প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স প্রতিষ্ঠা করেন।  আইএসিএস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : ‘ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞান সভা’ বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল : সরকারি অনুদান ছাড়া বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রসার ঘটানো  বিজ্ঞান আন্দোলনকে জনপ্রিয় ও প্রসারিত করা  তরুণ ছাত্র সমাজে মৌলিক বিজ্ঞানের অনুশীলন ও গবেষণার প্রতি উৎসাহ গড়ে তোলা  দেশের উন্নতিতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা  মৌলিক বিজ্ঞানের  চর্চা ও গবেষণাকে ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণের মাধ্যমে মানবজাতিকে সুখকর জীবন যাপনের দিকে চালিত করা। ---------xx-------- আইএসিএস বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন ? বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় ...

হিন্দু মেলা’র চারটি উদ্দেশ্য ও সীমাবদ্ধতা

‘হিন্দু মেলা’র চারটি উদ্দেশ্য ও চারটি সীমাবদ্ধতা লেখো। হিন্দু মেলা’র চারটি উদ্দেশ্য ও সীমাবদ্ধতা হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : হিন্দু মেলার দ্বিতীয় অধিবেশনেই সম্পাদক জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন- আমাদের এই মিলন সাধারণ ধর্ম-কর্মের জন্য নয়, কোনো বিশেষ সুখের জন্য নয়, কোনো আমোদ-প্রমোদের জন্য নয়। এটি স্বদেশের জন্য, ভারতের জন্য। হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল - সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে হিন্দুধর্মের অতীত গৌরবের কথা ছড়িয়ে দেওয়া।  দেশীয় ভাষা চর্চা করা, জাতীয় প্রতীকগুলিকে মর্যাদা দেওয়া প্রভৃতি।  প্রাচীন হিন্দু ঐতিহ্য তুলে ধরে নবগোপাল মিয় এদেশে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসার প্রতিরোধের উদ্যোগ নেন।  এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে যুবকদের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি ও শৃংখলাবন্ধ হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা বৃটিশ স্যগ্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হতে পারে। সাধারণ মানুষকে তাদের অতীত ঐতিহ্য সম্বন্ধে অবহিত করা হয়।  কবি, সাহিত্যক, চিন্তাবিদ, শিল্পীদের অবদান সম্পর্কে সচেতন করা। শিল্পী, লেখকদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করা।...

মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী?

মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী? মোপলা বিদ্রোহের কারণ কী? What is the cause of Moplah rebellion? ১৯২১ সালে মালাবার উপকূলের মোপলা কৃষকরা মহম্মদ হাজির নেতৃত্বে জমিদার শ্রেণীর সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ মোপলা বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহের কারণগুলি হলো - কেরালার মালাবার অঞ্চলে রাজস্বের হার ছিল অত্যন্ত বেশি। অত্যধিক হারে রাজস্ব দিতে গিয়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে যেত।  এই অঞ্চলের অস্পষ্ট প্রজাস্বত্ব আইনের সুযোগ নিয়ে সরকার ও জমিদাররা মোপলা কৃষকদের উপর তীব্র শোষণ চালাত। ব্রিটিশ সরকার তাদের এই অভিযোগের সমাধান করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না। ----------xx----------- এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : মোপলা বিদ্রোহের ঐতিহাসিক পটভূমি।

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি

উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?  ভারতে ইংরেজদের প্রবর্তিত উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। কারণ - এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল পুঁথিগত। বাস্তবমুখী প্রযুক্তিবিদ্যার অভাব ছিল আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। ফলে উচ্চ পর্বের শহরের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা লাভের সুযোগ পেলেও ইংরেজি ভাষায় অজ্ঞ বাংলার বৃহত্তম গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষ এই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়নি।  কলেজ ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি।  এই শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। -----------xx------------ এই বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলি সংক্ষেপে লেখ

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির অবদান উনিশ শতকে জাতীয়তাবাদের উন্মেষে আনন্দমঠ উপন্যাসটির কিরূপ অবদান ছিল? আনন্দমঠ উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 1882 সালে রচনা করেন। উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদের উত্থানে এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। যেমন - এই গ্রন্থটি স্বদেশপ্রেমের উত্থান ঘটায়। কারণ গ্রন্থটিতে বলা হয়েছিল যে দেশপ্রেম হলো ধর্ম এবং দেশ সেবা হল পূজা।  এই উপন্যাসে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে রচিত বন্দে মাতারাম সংগীতটি পরাধীন ভারতের বিপ্লবী মন্ত্রী পরিণত হয়েছিল?  এই গ্রন্থটি দেশের যুবসমাজকে স্বদেশ ভক্তি, ত্যাগ ও সেবা ধর্মের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে স্বদেশ প্রেমের গীতারূপে চিহ্নিত হয়। -------------xx-------------- এই অধ্যায়ের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে লেখা ও রেখার কীভাবে ফুটে উঠেছিল ?

ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?

 ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?  ফরাজী আন্দোলন কি নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল? হাজী শরীয়তুল্লাহ ইসলাম ধর্মের সংস্কার ও শুদ্ধিকরণের জন্য ফরাজি আন্দোলনের সূচনা করলেও পরবর্তীকালে তার পুত্র দদুমিয়া এই আন্দোলনকে ধর্মীয় মোড়ক থেকে বের করে এনে একে সার্থক কৃষক আন্দোলনে উন্নীত করেছিলেন। জমি আল্লাহর দান সেখানে কর ধার্য করার অধিকার জমিদারের নেই -  দুদুমিয়ার এই বক্তব্যে হিন্দু মুসলমান কৃষক আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং ঐক্যবদ্ধ জমিদার বিরোধী তথা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই এই আন্দোলনকে নিছক ধর্মীয় আন্দোলন না বলে একে জমিদার মহাজন ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন বলাই শ্রেয়। -----------xx-------- ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর : ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ কী ? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ? দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন ?

চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব

 চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল? চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব Significance of Chuar Rebellion ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এই বিদ্রোহের ( চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব ) হল - চুয়াড় বিদ্রোহে জমিদার ও নিরক্ষর ছোঁয়ার কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়. এই বিদ্রোহের পর সরকার বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করে। এই বিদ্রোহের পর সরকার এই অঞ্চলে নিলামের মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নীতি ত্যাগ করে। --------------------xx---------------- চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর ঃ চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা করো । ( প্রশ্নের মান - ৮ ) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল ? ( প্রশ্নের মান - ৪ ) চুয়ার বিদ্রোহের গুরুত্ব উল্লেখ করো। ( প্রশ্নের মান - ২ )

নববিধান কী?

 নববিধান কী? নববিধান কী? কেশবচন্দ্র সেনের হিন্দু মতে নিজ কন্যার বিবাহ, রামকৃষ্ণ প্রীতি, খ্রিস্টপ্রীতি, চৈতন্য প্রীতি ইত্যাদি বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু, দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ তরুণ ব্রাহ্মরা ১৮৭৮ সালে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই পরিস্থিতিতে কেশবচন্দ্র সেন তার উদারপন্থী অনুগামীদের নিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শে নববিধান ঘোষণা করেন। কেশবচন্দ্র সেন-এর নেতৃত্বে নববিধানকে আদর্শ করে গড়ে ওঠা সংগঠনটি নববিধান   নামে পরিচিত। --------------xx------------- এই বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর ঃ কে, কবে, কেন 'নববিধান সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন ? 'ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ' কেন বিভক্ত হয় ? 'ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র ফল কী হয়েছিল ? ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে'র (সমাজ সংস্কার আন্দোলনের) ফলাফল কী হয়েছিল ?

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর...

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার।...

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহ...

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি...

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত। 

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল?