রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন কেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতেসরকার কর্তৃক যে প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় তা উপনিবেশিক শিক্ষা নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাশ্চাত্য শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক হলেও তিনি এই ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই শিক্ষাব্যবস্থায়, তাঁর কথায়, 'ছাত্ররা দুই-চার পাত কলে-ছাঁটা বিদ্যা লইয়া বাড়ি ফেরে।' ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা : ভারতের অতীত ঐতিহ্য স্থান পায়নি : ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতের গৌরবোজ্জ্বল অতীত, সাংস্কৃতিক মহিমা ও জাতীয় ঐতিহ্যের কোন স্থান ছিল না এই শিক্ষায় মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা খুবই সমস্যায় পড়ে। ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের চার দেয়ালের শ্রেণীকক্ষে আটকে যান্ত্রিক উপায়ে পাঠদান করা হতো। ফলে শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে শিশুরা আনন্দ পেতনা। উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরাতার চারপাশের প্রাবন্ধ প্র...
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপ...